ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১

টরন্টোর চিঠি

সন্তান মানুষ করার নিয়মকানুন

ড. শামীম আহমেদ

প্রকাশিত: ২১:০১, ২ জুলাই ২০২৪

সন্তান মানুষ করার নিয়মকানুন

সন্তান মানুষ করার নিয়মকানুন

এই সেমিস্টারে ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোতে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছি ‘Issues in Child Health and Development’ নামে একটি কোর্স। আমার ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯১ জন। এদের অর্ধেকের বেশি ষরভব science Avi psychology-তে মেজর করছে। এদের মধ্যে ৯০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী। শুধু এই কোর্সে নয়, জনস্বাস্থ্যের যতটা কোর্স পড়াই, তার অধিকাংশেই ৯০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থীর উপস্থিতি। নারী শিক্ষার্থীরা মেধাবী হয়, তাদের ক্লাসে মনোযোগও বেশি থাকে।

লিঙ্গের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন করার কারণ নেই। কিন্তু গত ৭ বছরে কানাডায় শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি নারীদের অগ্রযাত্রা। গবেষণায়ও তাই। এবং সত্য কথা বলতে, তারা পড়ালেখায় যতটা মনোযোগী, যতটা বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে, সেটিও সম্ভবত এই দেশগুলো জ্ঞানভিত্তিক অর্জনে কেন এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, তার একটি নিদর্শন। বাংলাদেশ কেন গত ৫০ বছরে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে এত দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে গেছে, তার একটি বড় কারণ নারীদের শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। 
এই কোর্সটি বেশ 'sensitive’, এই কারণে যে এখানে বিভিন্ন শিশুর বেড়ে ওঠার সময় নানা অভিজ্ঞতা কীভাবে তাদের পূর্ণবয়স্ক জীবনে প্রভাব রাখে, সেটি আলোচনা করতে হয়। সেই ১৬০০ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানী, মনস্তত্ত্ববিদ, শিক্ষাবিদদের রেখে যাওয়া নানা 'theoretical perspectives’ নিয়ে বিশদ আলোচনা করতে হয় এবং অনেক সময় সেসব আলোচনা কিঞ্চিত অস্বস্তিকরও বটে। যেমন আমার ক্লাসের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন ঋৎবঁফ. ফ্রয়েডের বেশিরভাগ তত্ত্বের কেন্দ্রে আছে যৌনতা এবং যৌনতাভিত্তিক বিতর্ক।

যৌনতাকে বাদ দিয়ে ফ্রয়েডের তত্ত্ব আলোচনা করার সুযোগ নেই। ফ্রয়েড ছাড়া অন্যান্য বিজ্ঞানীরা যেসব তত্ত্ব আলোচনা করেছেন, তারাও এসব বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। একটা উদাহরণ দেই। বিজ্ঞানীরা বলেন, অনেক ছেলে শিশুই বেড়ে ওঠার সময় প্রথম আকর্ষণ বোধ করে তার মায়ের প্রতি, যেমনটা মেয়ে শিশু করে তার বাবার প্রতি। এর একটি গাল ভরা ইংরেজি ধারণাও আছে-  ঙবফরঢ়ঁং ঈড়সঢ়ষবী. এছাড়া শিশুকালে যৌন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার শিশুরা বড় হলে কী ধরনের জটিলতায় ভোগে, শিশুকালে বাবা-মার আদর না পেলে বা একটি ভঙ্গুর সংসারে বড় হলে কিংবা বাবা-মা’র ডিভোর্স হয়ে গেলে সেসব ঘটনা কীভাবে শিশুর মনোযোগে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে, সেই আলোচনাও করতে হয়।

খুব অল্প সংখ্যক শিশু এইসব ঞৎধঁসধ থেকে পুরোপুরি বের হয়ে আসতে পারে। পশ্চিমা বিশ্বে বেড়ে ওঠা মানুষের একটা বড় অংশ নিয়মিত মনোবিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হয়ে অতীতের সঙ্গে বোঝাপড়া করে এইসব বিষাদ, ক্ষত অনেকাংশে কাটিয়ে উঠতে পারলেও আমাদের দেশের এটি খুব কম মানুষের পক্ষেই এখনও সম্ভব হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে শিশুকাল থেকে বয়ে আনা ঞৎধঁসধ কাটিয়ে ওঠা তো দূরে থাকুক, সেগুলো নিজের ভেতরে বহন করে নিজের আশপাশের মানুষকেও প্রভাবিত করে। 

এই বিষয়গুলো অত্যন্ত জটিল এবং অনেকে হয়তো ভাবতেও পারবেন না একজন মানুষ কেন তার কাজে প্রত্যুৎপন্নমতি কিংবা আরেকজন কেন শ্লথ। তার কারণ হয়তো লুকিয়ে আছে তার শৈশবের কোনো কাজ করা ভীতি বা ট্রমা। অথবা কিছু মানুষ কেন নেতৃত্বে ভালো কিংবা কিছু মানুষ কেন ভিড়ের মাঝে লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে। এর কারণ হয়তো নির্ভর করে বেড়ে ওঠার সময় তার বাবা-মা তার সঙ্গে কেমন আচরণ করেছে, তার ওপর। শিশুর বেড়ে ওঠায় অভিভাবকের ভূমিকা অপরিসীম।

যেসব শিশুর বাবা-মা উষ্ণ ও আন্তরিক, তারা সন্তানকে জড়িয়ে ধরেন, আদর করেন, ঘন ঘন তাদের সঙ্গে হেসে কথা বলেন। এমন বাবা-মা’রা যতœবান ও সহায়ক হন। সন্তানের সঙ্গে থাকাটা যে তারা উপভোগ করেন, সেটি প্রকাশ করতে তারা দ্বিধাবোধ করেন না। এমন বাবা-মা প্রায় কখনই সন্তানকে শারীরিকভাবে শাসন করেন না। অন্যদিকে রাশভারী, গম্ভীর ও কড়া বাবা-মা তাদের সন্তানের সঙ্গ পছন্দ করেন না এবং তাদের প্রতি টানও অনুভব করেন না। অনেকে সন্তানের জন্মকে তাদের জীবনের নানা অর্জনের প্রধান অন্তরায় মনে করেন।

তারা সন্তানের ব্যবহার নিয়ে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, অন্য মানুষের সামনে বলে থাকেন - ‘আমার বাচ্চা এমন হওয়ার কথা না!’ এইসব কথা তারা সন্তানের সামনে বলে সন্তানকে আহত করেন এবং এসব সন্তান ভবিষ্যতে দ্বিধান্বিত, আতঙ্কিত, আগ্রাসী মানুষ হিসেবে বড় হয়। 
আর উষ্ণ, শোভন ও আন্তরিক বাবা-মায়ের সন্তানরা বেড়ে ওঠার সময়ে নিজেরা নিজেদের গড়ে তোলার জন্য কিছু নির্দিষ্ট আচরণ গড়ে তোলে, তারা নিজেরাই নিজেদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কী করা উচিত, আর কী করা উচিত নয়- তার একটা তালিকা মনে মনে অজান্তেই সাজিয়ে ফেলে। এসব সন্তানদের বিবেক পরিষ্কার হয়, তারা ঠিক এবং বেঠিকের মধ্যে পার্থক্য করতে শেখে।

এই প্রশ্ন করা খুব স্বাভাবিক যে, কেন কিছু বাবা-মা অভিভাবক হিসেবে চমৎকার হন আর কেউ কেউ হন ব্যর্থ! এর পেছনে বিজ্ঞানীরা একাধিক কারণ দেখিয়ে থাকেন। যেমন- কিছু অভিভাবকের ক্ষেত্রে তাদের পড়াশোনা ও চিন্তা তাদের নির্দিষ্ট পথ দেখায়, আবার কিছু ক্ষেত্রে অভিভাবকরা কেবল শিশুকালে নিজেরা তাদের বাবা-মার কাছে যে আচরণ পেয়েছে, সন্তানের সঙ্গেও একই আচরণ করবে, তাদের নিজস্ব বুদ্ধিবিবেচনা কাজে লাগিয়ে শৈশবের ট্রমা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয় না।

তাই দেখবেন অনেক অভিভাবক বলেন, আমাদের বাবা-মা আমাদের মেরে পিঠের চামড়া তুলে ফেলেছে, আর আজকালকার বাচ্চাকে একটা থাপ্পড়ও দেওয়া যায় না। অর্থাৎ তারা মনে করেন, তাদের বাবা-মা তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করে ঠিক করেছেন এবং তাদেরও সেই একই অধিকার আছে। এমন বাবা-মা’রাই অনেকে সন্তানের গৃহশিক্ষক কিংবা মাদ্রাসার হুজুরদের বলেন, ‘মাংস আমার, হাড় আমার!’ এসব পিতামাতা আদতে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতকে কীভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছেন, তার বিন্দুমাত্র ধারণা তাদের ভেতরে কাজ করে না। 
তবে বিজ্ঞানীরা এও বলেছেন, সবটা আচরণগত নয়, কিছু ক্ষেত্রে বংশগত অর্থাৎ ডিএনএ কিংবা জিনের মাধ্যমে মানুষের আচরণের অনেকটাই তাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে তাদের ভেতর চলে আসে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে এই বিশেষ আচরণগুলো কয়েক প্রজন্ম ধরে বংশের ভেতর লালন করতে হবে। এটি মনে রাখা জরুরি যে, শিশুর সঙ্গে শারীরিক শাসন করা অন্যায় মানেই এই নয় যে, বাবা-মা তাদের কোনো ধরনের শাসনই করবেন না। বিষয়টি বরং উল্টো।

শিশুদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা যাবে না, বটে তবে তাদের শৃঙ্খলা শেখানো জরুরি। কেন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে হবে, কেন পড়ালেখায় ভালো করা দরকার, কেন গরিব-দুখী মানুষদের জন্য কাজ করতে হবে, প্রাণীদের প্রতি দয়াবান হতে হবে-  এই মৌলিক বিষয়গুলো শেখানোর দায়িত্ব বাবা-মার। কিন্তু কিছু বাবা-মা সন্তানদের ওপর জোর-জবরদস্তি করেন, কোনো কিছু ব্যাখ্যা করেন না। যেমন- আপনি যদি আপনার সন্তানকে বলেন, তুমি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, তুমি রাত ৯টার পর জেগে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে না, সেটি খুবই স্বাভাবিক।

এইক্ষেত্রে আপনার সন্তান যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কেন আমি রাত ৯টার পর মোবাইল ব্যবহার করব না, আর আপনি বলেন, এটা আমার ইচ্ছা। আমি বলেছি, তাই ব্যবহার করবে না-  সেই ক্ষেত্রে সন্তান এই নির্দেশ আদতে মানবে না। কিন্তু আপনি যদি সন্তানকে বুঝিয়ে বলেন যে, রাতের বেলা মূলত আমাদের শরীর বিশ্রাম চায়, সারাদিনের সব ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে নিতে চায় এবং রাতের বেলা ঘুমালে শরীর যে পরিমাণ শক্তি জোগান দিতে পারে যা পরবর্তী দিনের স্কুল-কলেজে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শিখতে সহায়তা করবে, তাহলে তার জন্য বোঝা সহজ হবে।

কিংবা ধরুন, আপনি যদি আপনার ছোট শিশুকে বলেন, চুলার কাছে যাবে না, তাহলে বরং তার চুলার কাছে যাওয়ার আগ্রহ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। আপনাকে বুঝিয়ে বলতে হবে চুলায় আগুন জ্বলে, আগুন একটি দাহ্য পদার্থ, এটি তোমাকে পুড়িয়ে দেবে, ব্যথা দেবে। এভাবে কথা বলে একজন শিশুও নির্দেশনার পেছনে যৌক্তিকতা খুঁজে পায়। 
বিজ্ঞানীরা খতিয়ে দেখেছেন, যেসব বাবা-মা একাধারে সন্তানকে কঠোর নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে বড় করেন, আবার তাদের আদর-যতœ করেন, ভালো কাজে উৎসাহ দেন, তারাই পরবর্তী জীবনে সবচেয়ে সফল হয়।

এসব সন্তান মানুষ হিসেবে আত্মবিশ্বাসী, আত্মমর্যাদা, সামাজিক কর্মকা-ে প্রগতিশীল এবং নেতৃত্বদানে পারদর্শী হয়। কিন্তু যেসব বাবা-মা সন্তানকে শাসন করতে গিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন, আবার আদর-যতœও করেন না, তাদের সন্তানরা বড় হয়ে যথার্থ মানুষ হন না। এমন আচরণের শিকার ছেলে শিশুরা বড় হয়ে আগ্রাসী, সবটাতে আপত্তি, প্রতিবাদ করা শুরু করে। অন্যদিকে এভাবে বড় হওয়া কন্যা সন্তানরা বড় হলে পরনির্ভরশীল হয়, নিজেরা কিছুই করতে পারে না, প্রাপ্তবয়সেও বাবা-মা কিংবা সঙ্গীর ওপর নির্ভর করে থাকে।

তারাও অযৌক্তিক আবেগ-অভিমানের বহির্প্রকাশ ঘটায় তাদের আচরণে। এছাড়াও বিজ্ঞানীরা খতিয়ে দেখেছেন, যেসব বাবা-মা’রা সন্তানকে মোটেও নিয়ন্ত্রণ করেন না, অতিরিক্ত আদর-যতœ করেন, তাদের সন্তানরা বড় হয়ে পরনির্ভরশীল হয়, আত্মকেন্দ্রিক হয়। আর যেসব বাবা-মা সন্তানকে শাসনও করেন না, আদরও করেন না, তারা স্কুল-কলেজে ভালো করে না, জীবনে ভুলত্রুটি করে এবং মাদকাসক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। 
সন্তান বড় করার আসলে কোনো শতভাগ সফল সূত্র নেই। তবে বেড়ে ওঠার সময় সন্তানকে আদর করে বুকে নেওয়া, হেসে কথা বলা, মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া জরুরি। আমাদের নবীও (সা.) কিন্তু একই দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। সন্তানকে প্রশংসা করা উচিত, তাদের যৌক্তিকভাবে শাসন করা উচিত, তারা কী করতে পারবে, কী করতে পারবে না, সেটি পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলা উচিত যুক্তি সহকারে।

শিশুরা অনেক সময় কান্নাকাটি করে, আবেগ দেখিয়ে না খেতে চাইলে, উপহারের জন্য কান্নাকাটি করলে সেটি অবশ্যই প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। নিয়মের ক্ষেত্রে যৌক্তিক এবং স্থির অবস্থানে থাকতে হয়, যাতে সন্তান অভিভাবকদের দৃঢ় অবস্থান বুঝতে পারে। অন্যদিকে সন্তানের ওপর অতিরিক্ত বিধিনিষেধের বেড়াজাল চাপানো উচিত নয়। তাদের সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলা উচিত নয়, কিংবা মারধর করা উচিত নয়। একই সঙ্গে শিশুদের সব আবদার রক্ষা করা ভীষণ ক্ষতিকর।

সন্তান বড় হওয়ার সময় বাবা-মার উচিত তাদের আত্মবিশ্বাসী হতে সহায়তা করা। কিছুটা দূরত্ব তৈরি করা। যেমন- সন্তান স্কুলে যাওয়া শুরু করলে, তাদের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমানো উচিত নয়। সন্তান আরও বড় হলে তাদের নিজের জগৎ তৈরি করার সুযোগ করে দিতে হয়। সন্তান ১৬ বছর হয়ে যাওয়ার পরেও বাবা-মা তাদের সঙ্গে বেশি সংযুক্ত থাকলে, সেসব সন্তান পরবর্তী জীবনে নিজের সংসার ও নিজের সঙ্গীর প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারে না। 
শিশুর বেড়ে ওঠা একটি অত্যন্ত জটিল বিষয়, তবে কঠিন না। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এসব জরুরি জিনিস শেখানো হয় না। তাই অনেক কিছুই আমরা সঠিক সময়ে জানতে পারি না। আমরা আমাদের প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের অনেক আচরণের জন্য সবটাকে দায়ী করলেও তার বীজ যে শৈশবে বাবা-মা হিসেবে আমরাই বপন করেছি, সেটি অনুধাবন করার মতো যথেষ্ট শিক্ষা আমাদের থাকে না।

তাই কানাডায় এসে যখন দেখেছি, বাবা-মা খুব ছোট শিশুদের সঙ্গে প্রতিদিন রুটিন ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন, অনেক ছোটখাটো জিনিস ধৈর্য ধরে বুঝিয়ে দেন, তখন মুগ্ধ হয়েছি। আবার এই বাবা-মাই সন্তান ১৬ বছর হওয়ার পর তার সঙ্গে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব তৈরি করেন, যাতে সন্তান নিজের দায়িত্ব নেওয়া শুরু করে এবং নিজের সংসারের প্রতি মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়। 
সামনের দিনগুলোতে এসব জরুরি বিষয়ে পাঠকদের জন্য আরও লিখব ভাবছি। সবাই ভালো থাকবেন। 

জুলাই ১, ২০২৪

[email protected]

×