ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১

ঢাকার দনিরাত

মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ২১:০৭, ১ জুলাই ২০২৪

ঢাকার দনিরাত

ঢাকার নেতিবাচক দিক নিয়ে আর কত সংবাদ হবে

আষাঢ়কে শেষ পর্যন্ত আষাঢ়ই মনে হচ্ছে, ঢাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বর্ষা মৌসুম বাঙালির জন্য বিশেষ আনন্দ নিয়ে আসে, কিন্তু পাশাপাশি দুর্ভোগের শঙ্কাও দেখা দেয়। কেননা বেশি বৃষ্টি মানেই শহুরে জলাবদ্ধতা। মালিবাগ, শান্তিনগর, মগবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়কে পানি জমে পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে রবিবার শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য। ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে জনকণ্ঠ পুরো পাতা সচেতনতা ও সুপারিশধর্মী অভিমতও প্রকাশ করেছিল কয়েক বছর আগে।

মুশকিল হলো পরিকল্পনা ও আন্তরিকতার অভাব থেকেই যাচ্ছে। ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক নিয়ে আগে মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) তৈরি করতে হবে। কিন্তু মাস্টারপ্ল্যান তৈরি না করেই বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করা হচ্ছে। তাই কোটি কোটি টাকা খরচ করা হলেও এর সুফল পাচ্ছেন না ঢাকাবাসী।

শহরে ধর্ষণ বনরূপায় বন্যেরা
বিমানবন্দরের কাছেই খিলক্ষেত। সেখানে ঝোপঝাড় রয়েছে। অনেকটা বনের মতোই। এলাকাটির নাম বনরূপা। বনের রূপ সুন্দর, কিন্তু তাকে অসুন্দর করেছে মানুষরূপী কতিপয় বন্য। এরা ধর্ষক। মহানগর ঢাকার একেবারে পাঁজরে এমন দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার বিবরণ শুনলে শঙ্কিত হতে হয়।
সংবাদে প্রকাশ খিলক্ষেত এলাকায় স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে এক নারী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে খিলক্ষেত থানা পুলিশ। ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই নারী শুক্রবার সন্ধ্যায় তার স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে বের হন। তারা খিলক্ষেত থানা এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বনরূপা এলাকায় গেলে সেখানে আবুল কাশেম ওরফে সুমন নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে সাতজনের দল তাদের অপহরণ করে। ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীকে বনরূপা এলাকার ঝোপঝাড়ের ভেতরে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্বামীর কাছে ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা।

মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য ছেড়ে দিলে তিনি বেরিয়ে এসে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। পুলিশ খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বনরূপা এলাকায় যায়। পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা ঝোপঝাড়ের ভেতরে বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। ভোর ৪টার দিকে পুলিশ সেখান থেকে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। 
ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ওই নারী পুলিশকে জানিয়েছেন, চারজন দুর্বৃত্ত তাকে ধর্ষণ করেছে। পরে পুলিশ শনিবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি কাশেমসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কাশেম জানায়, ওই নারীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল; তাকে বিয়ে না করায় পরিকল্পিতভাবে দলবল নিয়ে ওই নারীকে তুলে এনে ধর্ষণ করা হয়েছে।
ধর্ষক কাশেমের যুক্তি অদ্ভুত। তদন্তের মধ্য দিয়েই এর সত্য-মিথ্যার বিষয়টি স্পষ্ট হবে। যদি আপাতত ধরে নেওয়া যায় যে ধৃত ধর্ষকের কথাই ঠিক, তাহলে বুঝতে হবে মানুষের কী পরিমাণ অধঃপতন হয়েছে। ভালোবাসার মানুষকে কেউ বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণ করায়! যাই হোক, অনেকের মনে পড়ে যাবে যে কয়েক বছর আগে ঠিক একই জায়গায় এক বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থী নারীকে এক ধর্ষক সন্ধ্যার আবছা অন্ধকারের ভেতর টেনে নিয়ে যায় ঝোপঝাড়ের মধ্যে এবং ধর্ষণ করে। পরে নানাভাবে প্রমাণের চেষ্টা করা হয় যে ধর্ষক হলো পাগল ভবঘুরে। এর আগেও সে আরও ধর্ষণ করেছে।

কথা হচ্ছে জায়গাটা যখন অনিরাপদ সেক্ষেত্রে সেখানে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো দরকার। ঢাকা শহরে প্রকাশ্য স্থানে ঘুরে বেড়াতে গিয়ে কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হবেন, এটা সাংঘাতিক কথা। এ শহর নারীদের জন্য নিরাপদ করে গড়ে তোলার দায় শুধু পুলিশের নয়, নাগরিকদেরও। 

বর্ষারাগে ছায়ানট
শুক্রবার সন্ধ্যায় ছায়ানট ভবনে গিয়েছিলাম সংস্থাটির বর্ষার আয়োজন উপভোগ করতে। আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি ছিল এ আয়োজন। ঘোষিত সময়ে অনুষ্ঠান শুরু করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণে ছায়ানট বরাবরই উত্তীর্ণ। মাত্র পাঁচ মিনিট পরে শুরু হলো অনুষ্ঠান। বেগম সুফিয়া কামাল ছিলেন ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। প্রতিবছরই তাঁর স্মরণে ছায়ানট যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেটি হয়ে ওঠে বর্ষার অনুষ্ঠান। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বলা দরকার, আষাঢ় মাসেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন সুফিয়া কামাল। 
অনুষ্ঠান সাজানো হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের কিছু বর্ষার গান দিয়ে। এইসব গানে তারা যেসব রাগের প্রয়োগ করেছেন, সেসব রাগের শাস্ত্রীয় পরিবেশনাও অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হয়। বিষয়টি ছায়ানটের নিয়মিত শ্রোতাদের জন্য অভিনবই বটে। অনুষ্ঠানে পরিবেশিত রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের গানগুলো শাস্ত্রীয় রাগ মেনে সুরারোপিত হলেও কিছু গানের কিছু স্থান মূল রাগ থেকে কিঞ্চিত সরে গিয়ে গানে নতুন রূপ যুক্ত করেছে। যেমন, রাগ মিয়াকি মল্লারে রাগ মিরা মল্লারের সুর শোনা গেছে, বাগেশ্রী কানাড়ায় কোমল ধৈবত যুক্ত হয়েছে, রাগ কেদারে রাগ জয়জয়ন্তীর সুর ভেসে উঠেছে, আবার রাগ মেঘে কোমল গান্ধারের প্রয়োগ ঘটেছে। 
রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের পাঁচটি করে মোট দশটি গান এবং ওই দশটি গানে যেসব রাগের ছোঁয়া রয়েছে সেগুলো শাস্ত্রীয় সংগীতের শিল্পীদের দিয়ে পরিবেশনা, সব মিলিয়ে কুড়িটি পরিবেশনাই উপভোগ্য ও যথেষ্ট সম্পন্ন কাজ। নির্বাচিত গানগুলোয় মূলত বর্ষা আবাহন ও বর্ষাবন্দনাই প্রধান, সেইসঙ্গে ভাবুক ও প্রেমিক-মনে তার বিচিত্র প্রভাবও প্রকাশিত। ছায়ানট মানের সঙ্গে আপোস করে না বলে প্রতিটি পরিবেশনাই ছিল শ্রুতিসুখকর। তবু আলাদাভাবে যাদের কথা না বললেই নয় তারা হলেন : (উভয় কবির গানে) লাইসা আহমেদ লিসা, সেমন্তী মঞ্জরী, দীপ্র নিশান্ত, নাহিয়ান দুরদানা শুচি, সুমন মজুমদার ও মিরাজুল জান্নাত সোনিয়া; আর শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশনে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন লায়েকা বশীর, স্বপ্না সাহা, প্রিয়ন্ত দেব, সমুদ্র শুভম ও আফরোজা রূপা। যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীদেরও ধন্যবাদ প্রাপ্য।
একটা কথা না বললেই নয়। শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশনার আগে দু’কথায় রাগের পরিচয় তুলে ধরলে ভালো হতো।  

মহানগরীর মহাঅস্বস্তি
পাঠক বলতেই পারেন, ঢাকার দিনরাত কলামে ঢাকার নেতিবাচক দিক নিয়ে আর কত লেখা হবে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবেই যখন বারবার ঢাকার নেতিবাচক চিত্র উঠে আসে তখন আমরা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না। আমাদের রাজধানী ঢাকা যে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে, আবারও তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার পেল। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের দ্য গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৪-এ বিশ্ব বাসযোগ্যতার সর্বশেষ সূচকে এ নগরীর অবস্থান গত বছরের চেয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে চলে গেছে আরও তলানিতে। ১৭৩টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান এখন ১৬৮তম। ঢাকার চেয়ে পিছিয়ে আছে বিশ্বের মাত্র পাঁচটি শহর। ঢাকা কেবল এ বছরই নয়, ২০১২ সাল থেকে নিয়মিত বসবাস অযোগ্য শহরের তালিকার শেষ দশের মধ্যে স্থান পেয়ে আসছে। এটি আমাদের জন্য একটি গ্লানির বিষয়, মহানগরীরও কি এতে মহাঅস্বস্তি হয় না?
অপরিকল্পিত নগরায়ণ, অতিরিক্ত দূষণ, জনসংখ্যার অতি ঘনত্ব ইত্যাদি কারণে নগরীর পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর ক্রমাগত পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। তাপমাত্রা বৃদ্ধিও ঢাকা নগরীর বসবাসের অযোগ্য হয়ে ওঠার একটি কারণ বৈকি। এ নগরীর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে প্রভাবটা পড়ছে তা ‘হিট আইল্যান্ড ইফেক্ট’ নামে পরিচিত। এর মাশুল দিতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
ঢাকাকে বাঁচাতে চাই পরিকল্পিত নগরায়ণের মাধ্যমে সবুজ অংশ বাড়ানো। সেই সঙ্গে কড়াকড়িভাবে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বায়ুদূষণ কমিয়ে আনা। দ্বিতীয়ত, ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট যে বিষয়গুলোকে বাসযোগ্য শহরের মাপকাঠি নির্ধারণ করেছে, সেগুলোয় দৃষ্টি দিতে হবে। যেমন-স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো। এসব ক্ষেত্রে অবস্থার উন্নতি ঘটাতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর কাজ হতে হবে পরিবেশবান্ধব। রাজধানীতে কোনো প্রকল্প গ্রহণের সময় এ চিন্তা মাথায় রাখতে হবে।

এসব বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা যদি আন্তরিক হন এবং জনসচেতনতা  তৈরির উদ্যোগ নেন, তাহলে আমাদের রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য করে তোলা কঠিন কিছু নয়। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেছেন, রাজধানীর ৯৫ শতাংশ আবাসস্থলেরই কোনো বৈধ অনুমোদন নেই। এটা তো সাংঘাতিক কথা! প্রশ্ন হলো, ঢাকায় অনুমোদনহীন গৃহনির্মাণ কি চলতেই থাকবে?

বুলডোজারের নিচে খামার
কোরবানি ঈদের সময় ছাগলকা-ে এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর ফাঁসলেন আর এরপরই সিটি করপোরেশন তৎপর হয়ে ওই ছাগলটির খামার গুঁড়িয়ে দিল অবৈধ স্থাপনার কথা বলে। বিষয়টি কৌতূহল-উদ্দীপকই বটে। বোঝা যাচ্ছে ঘটনা না ঘটলে এসব অবৈধ উচ্ছেদের গল্প শোনা যায় না। এখন জানা যাচ্ছে, সাদিক অ্যাগ্রোর কোনো অনুমতিই ছিল না, তাই ভাঙা হলো পুরো খামার।
একটি খামার করতে যেসব অনুমতির প্রয়োজন, এর কিছুই না থাকায় শনিবার আরেক দফা অভিযান চালিয়ে সাতমসজিদ হাউজিংয়ের সাদিক অ্যাগ্রোর পুরো খামার ভেঙে দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার সাতমসজিদ হাউজিংয়ের ১ নম্বর সড়কের শেষ প্রান্তে থাকা সাদিক অ্যাগ্রোর খামারটি ছিল একেবারে রামচন্দ্রপুর খালের পাড় ঘেঁষে। অথচ খালের প্লাবন ভূমির ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করতে উচ্চ আদালতের আদেশ রয়েছে। এ ছাড়া স্থাপনা নির্মাণের জন্য (খামার) সাদিক অ্যাগ্রোর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতিও ছিল না। খামারের জন্য সিটি করপোরেশনের থেকেও নেওয়া হয়নি কোনো ট্রেড লাইসেন্স।
অভিযান পরিচালনা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-ও-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ। তিনি বলেন, ওই দিন (বৃহস্পতিবার) আংশিক ভেঙে দিয়ে তাদের ট্রেড লাইসেন্স, ফার্মের স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি এসব চাওয়া হয়েছিল। তারা সেদিন এসবের কিছুই দিতে পারেনি। সেদিন তারা নিজেরাই ভেঙে দেবে বলে দুই দিন সময় নিয়েছিল। আজ গিয়ে দেখা যায়, ভাঙেনি, তাই বাকিটাও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আবাসিক এলাকায় কোনো খামার করার সুযোগ নেই বলেও তিনি জানান।
অভিযানে সাদিক অ্যাগ্রোর খামারটি ছাড়াও আরও ৯টি অবৈধ পাকা স্থাপনা, একটি হাউজিংয়ের ফটক ও আশপাশের কিছু ছোট স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। এ ছাড়া শুক্রবার থেকে উদ্ধারকৃত খালের জায়গা পুনরায় দখল হওয়া ঠেকাতে খনন করা শুরু হয়েছে। দুই দিনে রামচন্দ্রপুর খাল থেকে ১০ টন বর্জ্যও পরিষ্কার করা হয়েছে। আর তিন দিনের অভিযানে ৭০টির বেশি স্থাপনা ভেঙে প্রায় ২০ বিঘা জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।

কোরবানির জন্য এই সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়েছিলেন এনবিআরের সদস্য মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তুমুল আলোচনা হয়। এরপর মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসে। মতিউরকে এরই মধ্যে এনবিআর থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩০ জুন ২০২৪

[email protected]

×