ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১

একবিংশ শতাব্দীর গণহত্যা

ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর

প্রকাশিত: ২২:২১, ৩০ জুন ২০২৪

একবিংশ শতাব্দীর গণহত্যা

.

১৯৪৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাফায়েল লেমকিন ২য় বিশ্বযুদ্ধকালীন জার্মান নাজিবাদের ইহুদি জাতিকে হত্যা করার ঘৃণিত অপচেষ্টাকে পৃথক বিশেষত্ব প্রদানের লক্ষ্যে জেনোসাইড বাগণহত্যাকেঐতিহাসিক সামাজিক প্রত্যয় হিসেবে সভ্য গণতান্ত্রিক সমাজে ঘৃণিতব্য শব্দ অবয়বে ব্যবহার শুরু করেন। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ গণহত্যাবিষয়ক আন্তর্জাতিক কনভেনশন গ্রহণ করার প্রক্রিয়ায় গণহত্যার অপরাধ বন্ধকরণ দমন করার দায়িত্ব লক্ষ্য সিদ্ধান্তরূপে গ্রহণ করে। এই সিদ্ধান্তে (২য় অনুচ্ছেদ) বলা হয় যে, একটি দল বা গোত্রের সদস্যগণকে () হত্যাকরণ, () গুরুতরভাবে শারীরিক মানসিক ক্ষতি সাধন, () আংশিক বা সার্বিকভাবে শারীরিক ধ্বংসের উদ্দেশ্যে জীবনের ক্ষতি সাধন, () তাদের জন্মদান করার প্রক্রিয়া বন্ধকরণের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং () দলের বা গোত্রের শিশুদের তাদের জাতিসত্তা বিনষ্টকরণের উদ্দেশ্যে অন্য দলে স্থানান্তরকরণ গণহত্যা হিসেবে বিবেচ্য।

উপরোক্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী বিংশ শতাব্দীতে প্রথম গণহত্যার অপরাধে দায়ী হয় ২য় বিশ^যুদ্ধের সময় হিটলার কর্তৃক সৃজিত পরিচালিত গেষ্টাপো বাহিনী। পাঁচ বছরে তারা প্রায় ৬০ লাখ অর্থাৎ গড়ে প্রতি বছর ১২ লাখ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে। প্রায় ১০ বছর আগে পশ্চিম বার্লিনের পশ্চিমাংশে যেসব বাড়ি থেকে গেস্টাপোরা নিরপরাধ ইহুদি নাগরিকদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল এবং ফলত যারা আর কোনোদিন ফেরত আসেননি সেসব গৃহবাসীর দোরপ্রান্তে লেখা পরিচিতি দেখে কয়েক ঘণ্টার জন্য নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছিলাম আমি স্ত্রী সিতারা। তেমনি নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছিলাম মানুষ নামি জানোয়ারদের নিষ্ঠুরতার বিবরণ চিহ্ন দেখে ম্যাথহসেনে এখনো রক্ষিত নিরপরাধ মুক্তিকামী মানুষের বন্দিশালায়। পোল্যান্ডের অসউইহজে নিরপরাধ লাখো ইহুদিকে বন্দি হত্যা করার নিষ্ঠুর কাহিনী এখনো মানুষ হিসেবে আমাদের পরিচিতিকে নিশ্চুপতায় ম্লান করে। তেমনি বাকরুদ্ধ হয়ে দেখেছি ভলগোগ্রাডে স্বাধীনতা রক্ষায় নিবেদিত মানুষের প্রাণের প্রতিধ্বনি অবলোকন স্মরণ করে। এর বিপরীতে স্তব্ধ হয়ে শুনেছি ২য় বিশ্বযুদ্ধকালে ২০ লক্ষাধিক জার্মানের সোভিয়েত সৈন্যদের হাতে নিধন হওয়ার কথা। ইউরোপের বিভিন্ন নগর জায়গায় নাজিদের অত্যাচার তথা গণহত্যা বিষয়ক চিহ্ন স্মারকগুলো যথাযথভাবে রক্ষা করা হয়েছে বলে পরবর্তী সময় পূর্ব ইউরোপে জাতিগত সমায়ন্তরিক বিভেদ সত্ত্বেও ফ্যাসিবাদ-উত্তর আর কোনো নারকীয় ঘটনা ঘটেনি।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বর্বরতা বাংলাদেশে মাসে ৩০ লাখ নিরপরাধ স্বাধীনতাকামী মানুষকে হত্যা, থেকে লাখ অবলা নারীকে ধর্ষণ, কোটি মানুষকে স্বদেশের বাস্তু থেকে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অন্য কোনো দেশে এত অল্প সময়ে এত সংখ্যক নিরপরাধ মানুষ হত্যা করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হয়ে বাংলাদেশ দেখল তার কাছে গণহত্যার অপরাধী দোসর হিসেবে পশ্চিম পাকিস্তানি ৯৪ হাজার সৈন্য, ৫০০০ পুলিশ, ৩০০০ বেসামরিক কর্মচারী এবং এদের প্রায় ২০০০ পারিবারিক সদস্য শাস্তির অপেক্ষায় বন্দিদশায় আটক হয়েছিল। এদের মধ্যে ৯০,০০০ পরাজিত বন্দি পাকিস্তানি সৈন্য ৩০০০ বেসামরিক কর্মচারী ভারতের মধ্যস্থতায় পাকিস্তানে ফেরত যায়।

বাংলাদেশে মাত্র মাস ২২ দিনে পাকসেনারা হত্যা করে ৩০ লাখ মানুষ। সব বিচারেই পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে এই গণহত্যা বিশ্বে ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ে সর্ববৃহৎ গণহত্যা। কেবলমাত্র৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানিরা হত্যা করেছিল ৫০ হাজার নিরপরাধ মানুষ। এই নৃশংস ঘটনার স্মরণে ২০১৭ সালের ১১ মার্চ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হয়। এর আগে ২০১৫ সালে জাতিসংঘ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশের গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক গণহত্যার অংশ হিসেবে ঘোষণা করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের। ২০১৭ সালের ২৫ মার্চের পরে এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়ার জন্য একটি আইন পাস করা হয় বাংলাদেশ সংসদে। এর আগে বেসরকারি উদ্যোগে ২০০১ সালে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের দাবি প্রথমবার তোলা হয়; কিন্তু তৎকালীন সরকারি উদ্যোগের অভাবে তা গৃহীত হয়নি। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকারি প্রচেষ্টার সমর্থনে ২০টি রাষ্ট্র সম্মতি দেয়। আন্তর্জাতিক বা জাতিসংঘের এরূপ সম্মতি বা সমর্থন পাওয়ার জন্য ন্যূনপক্ষে ৮০টি রাষ্ট্রের সমর্থন পাওয়া প্রয়োজন এবং তার জন্য সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতির অবর্তমানে বাংলাদেশ স্বাধীনতা উত্তরকালে গণহত্যা যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার শাস্তির জন্য একনিষ্ঠভাবে এগিয়ে গেছে। পাকিস্তানিদের দালাল হিসেবে ৭৪৪১ জন দেশবিরোধীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ৭৩টি বিশেষ আদালতে ৭৫২ জনকে যথা আইন দন্ড দেওয়া হয়। ৩০-১১-১৯৭৩ তারিখ বঙ্গবন্ধু ধর্ষণ, খুন, অগ্নিসংযোগের দায়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বাদ দিয়ে ২৬০০০ অপরাধীকে মুক্তি দেন। পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমান আরও ১১০০০ অপরাধীকে মুক্তি দিয়ে ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর দালাল আইন বাতিল করেন। ১৯৭৩ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন গ্রহণ করে বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ চালানো হতে থাকে। ১৯৯২ সালে জনগণের ট্রাইব্যুনাল জনরোষের প্রতিফলন হিসেবে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি রাজাকার গোলাম আযমের যুদ্ধকালীন অপরাধের গণবিচার সম্পূর্র্ণ করে তাকে প্রতীকী মৃত্যুদন্ড দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দায়িত্ব নিয়ে ২০১১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন। এই ট্রাইব্যুনাল ইতোমধ্যে গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, কামরুজ্জামান, কাদের মোল্লা, সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী প্রমুখ যুদ্ধ অপরাধীকে মৃতুদন্ড দিয়েছেন।

১৯৬৬ সালে প্রথিতযশা দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল ভিয়েতনামে দৃশ্যমান গণহত্যা বিষয়ে বিশ^বাসীর চেতনাবোধ জাগরিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক যুদ্ধ অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করেছিলেন। ভিয়েতনামে ফরাসী উপনিবেশকালীন এবং তারপরে উত্তর ভিয়েতনাম থেকে উৎসারিত স্বাধীনতা সংগ্রামে দক্ষিণ কোরীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় জনবিরোধী শক্তি বিরোধিতায় যারা প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের কথা বিশ^বাসীর কাছে উপস্থাপন করেছিলেন এই ট্রাইব্যুনাল। এই ট্রাইব্যুনালের সম্মানী সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন বার্ট্রান্ড রাসেল, আর নির্বাহী সভাপতি হয়েছিলেন ফরাসী দার্শনিক লেখক জাঁ পল সাত্রে। এই ট্রইব্যুনালের সদস্য হয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের ২৩ জন কৃতী সচেতন নাগরিক। এই ট্রাইব্যুনাল ভিয়েতনামের বাইরে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার করার সমর্থন সন্দীপণ যুগিয়েছিল। গত শতাব্দীর শেষ দিকে এপ্রিল জুলাই৯৪- আফ্রিকার রুয়ান্ডায় হুতো টুটসী উপজাতীয়দের গৃহযুদ্ধের সময় ১০০ দিনে গণহত্যায় প্রাণ দিতে হয়েছিল প্রায় ১০ লাখ টুটসী উপজাতীয়কে। এই গণহত্যার হোতা ছিল হুতো উপজাতীয়রা। এর প্রতিশোধে রুয়ান্ডার টুটসী উপজাতীয়রা রুয়ান্ডার দেশপ্রেমিক দলের আওতায় পাশর্^বর্তী উগান্ডার সহায়তায় রুয়ান্ডায় অনুপ্রবেশ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজাতীয় হুতোদের আক্রমণ করে প্রায় লাখ জনগণকে হত্যা এবং . লাখ নারীকে ধর্ষণ করে।

এতে বিশ্ববাসী হতবাক হয়। কিন্তু গণহত্যা প্রতিরোধে কেউ এগিয়ে আসেনি। দুই উপজাতীয়দের সামরিক সদস্যরা কেন্দ্রীয় সরকারের দৃঢ়তার অনুপস্থিতিতে হত্যার নির্যাতনের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছিল। ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘ রুয়ান্ডার এই অপরাধের প্রতিবিধানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত তানজানিয়ার আরুশায় স্থাপিত এই আদালত অপরাধীদের বিচার করে; কিন্তু সকল অপরাধীকে বিচার শাস্তি প্রদান সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়। রুয়ান্ডার গণহত্যার এই নিন্দনীয় রেশ এখনো শেষ হয়নি, হুতো টুটসী উপজাতীয়দের কোন্দল এবং পাশর্^বর্তী দেশসমূহের পক্ষপাতিত্ব উৎসারিত হিংসাত্মক কাজের পরিসমাপ্তি এখনো ঘটেনি। রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালী থেকে এখন দৃঢ়তা নিষ্ঠুরতার সঙ্গে টুটসী উপজাতীয় উদ্ভূত নেতা পল কাগামে দেশটিকে শাসন করছেন। গত এপ্রিল তিনি অন্যান্য আফ্রিকান ইউরোপীয় জননেতাকে নিয়ে রুয়ান্ডার গণহত্যার ৩০ বছর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্্যাপন স্মরণ করেছেন। তার দৃঢ় রূঢ় শাসনের বিরোধিতা করেছেন হুতো উপজাতি থেকে বেরিয়ে আসা নেত্রী ভিক্টোরী ইঙ্গাবায়ার। তিনি রুয়ান্ডার সমকালীন দৃঢ় নিষ্ঠুর শাসনের বিকল্পে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মানবাধিকারসম্মত উন্নয়নের দাবিদার। তার মতে রুয়ান্ডার ৩০ বছর আগের গণহত্যাও সমকালীন একনায়কত্বভিত্তিক শাসনের অভিশাপ কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজন হবে ন্যায়বিচারভিত্তিক প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের। আর প্রয়োজন হবে পাশর্^বর্তী কঙ্গোতে রুয়ান্ডান টুটসী গোত্রের আরেক অংশের সামরিক বাহিনীর অভিযান অত্যাচার বন্ধকরণ। কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে রুয়ান্ডার ক্ষমতাসীন টুটসী গোত্রের বাস আধিপত্য এখনো বিরাজমান (দ্রষ্টব্য : ডেকলান ওয়ালস, (Rawnda Tiwn 30th Anniversaries Tell Tale of Progress and Repression, Nwe York Times, April 7, 2024)|  

পৃথিবীর গণহত্যার সাম্প্রতিক ইতিহাসে নাম উঠে এসেছে ফিলিস্তিন ইসরাইলের চলমান সংঘর্ষ। গত বছরের অক্টোবর ফিলিস্তিনি হামাস দলের দ্বারা অতর্কিতভাবে ইসরাইলের ১২০০ নিরপরাধ নাগরিককে হত্যার প্রতিশোধে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৭৫০০ শান্তিকামী নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে (দ্রষ্টব্য : . মহীউদ্দীন খান আলমগীর, ফিলিস্তিন-ইসরাইলের সংঘাত : সমকালীন অনুধাবন, জনকণ্ঠ, মে , ২০২৪ইং) এর মধ্যে রয়েছে ১৬ হাজারের বেশি শিশু। এর বিপরীতে হামাস ১২০ জন ইসরাইলিকে গাজার গুপ্ত স্থানে জিম্মি করে রেখেছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে হামাসের এই অতর্কিত আক্রমণ কিয়দংশে তাদের প্রতিদন্দি আলফাতাহ গ্রুপের সম্ভাব্য আধিপত্য খর্ব করার জন্য প্রযোজিত হয়েছিল। হামাস-আলফাতাহ দ্বন্দ্ব এবং এদের বাইরে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধ সহিংসতা গণহত্যার প্রতিফলন হিসেবে ঘৃণার্হ্য। কয়েক যুগ ধরে ফিলিস্তিনি এলাকার পারস্পরিক সংঘাত নিরসনে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে সমকালীন বিশ্ব তারুণ্য তাদের অবস্থান সমর্থন মানবতার অনুকূলে তুলে ধরছে, ধর্মের মোড়কে মানবতাকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার তৎপরতা পরিহার করার দাবি সোচ্চারিত করছে (দ্রষ্টব্য : টমাস ফ্রিডম্যান, ইসরাইল সংঘাত নিরসন, নিউইয়র্ক টাইমস, এপ্রিল ১০, ২০২৪ইং) এই সংঘাত নিরসনে সক্ষমতা বিশে^ মানবতাবোধের অস্তিত্ব সক্ষমতার পরিচিতি দাবি তুলে ধরবে। এক্ষেত্রে নীরবতা, অসঙ্গতি অসফলতা সভ্যতার বিস্তৃতিতে পৃথিবীবাসীর পরিচিতিকে ম্লান করে তুলবে।

সভ্যতার সফলতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজন হবে () মানবতার চেতনাবোধের বিস্তৃতি সমর্থন, () সকল রাষ্ট্র কর্তৃক জাতিসংঘের গৃহীত গণহত্যাবিষয়ক আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসরণ এবং () মানবাধিকার লংঘনের প্রতিকূলে দৃঢ় নিশ্চিত বিচার শাস্তির বিধান। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, মানবাধিকারে বিশ্বাসী সফল জাতি রাষ্ট্রের সমর্থন দৃঢ়তর হবে এবং গণহত্যার প্রতিকূলে বিশ্ববাসীর ঘৃণা বিরোধিতা সভ্যতাকে জয়ী করার নিরবিচ্ছিন্ন সংগ্রামকে বিস্তৃত বিশেষায়িত করবে বলে আমাদের আশা।

লেখক : সাবেক মন্ত্রী

×