ঢাকা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রে চলমান দাবদাহের খবর
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার এই দাবদাহ দীর্ঘদিনের পরিবেশ ধ্বংসের ফল। কোটি মানুষের আবাসনের সুযোগ করে দেওয়া এবং রাস্তাঘাট তৈরির জন্য হাজার হাজার বৃক্ষ কেটে ফেলা হয়েছে। খালগুলো ভরাট করা হয়েছে। তীব্র গরমে তাই তাপ শোষিত হবে কী উপায়ে? মানুষ ছায়া পাবে কোথায়? পাশাপাশি শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে তাপ আরও ছড়াচ্ছে। আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজধানী
ঢাকা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রে চলমান দাবদাহের খবর প্রথম পাতায় গুরুত্বের সঙ্গে ছাপা হয়েছে। রবিবারে কয়েকটি কাগজের সংবাদ শিরোনাম ছিল- ভয়ংকর হয়ে উঠছে এপ্রিল; বাতাসে আগুনের হলকা; বাতাসে মরুর অগ্নিহলকা; প্রচ- গরমে হাঁসফাঁস দেশ, ৩ মৃত্যু; ঢাকায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড; ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা মরুতে সহনীয়, গ্রীষ্মম-লীয় দেশে প্রাণঘাতী; তীব্র দহন স্কুল কলেজ বন্ধ। শিরোনামই জানান দিচ্ছে অসহনীয় গরম ও তার পাশর্^ প্রতিক্রিয়ার কথা।
অন্যদিকে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে মশার দৌরাত্ম। ঘর-দোর-জানালা সব বন্ধ থাকার পরেও কিভাবে এত শত শত মশা ঘরের ভেতর চলে আসে রাতের বেলা! আমি জানি না পাঠক, আপনার ঘরের কি অবস্থা? তবে ঢাকায় যে মশা হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে এবং সিটি কর্পোরেশন অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে- এতে কোনো সন্দেহ নেই। একবার ডেঙ্গু শুরু হলে কি সামাল দেওয়া যাবে?
মশার কয়েল- স্প্রে- চাইনিজ ব্যাট- সব রকম অস্ত্রই আমরা ব্যবহার করে চলেছি মশার বিরুদ্ধে। কিন্তু রেহাই মিলছে না। সত্যি সত্যি এবার মশা মারতে কামান দাগা লাগবে। ভাই মেয়র, ফগার মেশিনগুলো দফতর থেকে বের করার নির্দেশ জারি করেন। মশার জন্য না যায় শান্তিমতো বই পড়া কিংবা টিভি দেখা।
গরমে আরাম উধাও
প্রথমে তিন দিনের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল, পরে জানা গেল চলমান তাপপ্রবাহ চলবে কমপক্ষে মোট দশ দিন। যশোরে ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে, ঢাকায় ৪০; সত্যিই দুশ্চিন্তার বিষয়।
ফেসবুক এক আজব জায়গা, সেখানে কৌতুক ও পরিহাসের সীমা-পরিসীমা নেই। দেশের চিফ হিট অফিসারের কথা অনেকেরই মনে পড়ে গেছে প্রচ- গরমে। এক বছর আগে ভদ্রমহিলা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাই তিনি কেন, একশ’ টা হিট অফিসার ঢাকায় নিয়োগ পেলেও এক বছরে গরম এক ডিগ্রি কমানো সম্ভব নয়। এই সাধারণ বিজ্ঞান ফেসবুক প্রজন্ম বোঝে না, তারা আছে ট্রল নিয়ে। ওই পদে নারী নিয়োজিত থাকায় তাদের সুবিধাই হয়েছে, একজন নারীকে হেনস্তা করার চাইতে সুখ আর কিসে আছে?
তাই তারা কোমর বেঁধে চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের অহেতুক সমালোচনা করে চলেছেন। একটি টিভি চ্যানেলে তিনি ঘরের বাইরে বেরুনোর আগে কী করণীয় সে সম্পর্কে যা বলেছেন, সেটি সচেতন যে কোনো ব্যক্তিই, বিশেষ করে নারীরা করে থাকেন। যেমন একটা পানির বোতল ও ছাতা ব্যাগের মধ্যে রাখা। কেউ কেউ মিনি হাতপাখাও রাখেন। এখন কেউ কেউ ব্যাটারিচালিত ছোট্ট ফ্যানও রাখেন। আর ছেলেরা সাধারণত রোদে গেলে ক্যাপ পরেন।
তাই এই পরামর্শগুলো দিয়ে তিনি কোনো অপরাধ করেননি। অথচ তার সাক্ষাৎকারের নিউজ ক্লিপের পোস্টে বেশিরভাগই হা হা (অট্টহাসি) রিঅ্যাক্ট পড়েছে। একজন ফটোগ্রাফার ফেসবুকার ছোট্ট ভিডিও সংযোজন করে দেখিয়েছেন যে একজন নারী চলতি পথে মিনি চার্জার ফ্যান ডানহাতের মুঠোয় ধরে মুখের কাছে মাঝেমধ্যে আনছেন। অর্থাৎ তিনি ঢাকা মহানগরীর প্রচণ্ড দাবদাহের ভেতরে মুখে হাওয়ার পরশ বুলোচ্ছেন। এ ভিডিও আবার সবাই পছন্দও করছেন।
তাহলে বুশরা আফরিন মন্দ কী বললেন? সত্যি বলতে কি, আমাদের ফেসবুক প্রজন্মর মধ্যে কাউকে অসম্মান করার মানসিকতা মহামারির মতো ছড়িয়ে গেছে। আর নারী হলে এই বিশ্রি প্রবণতা বহুগুণ বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। পঞ্জিকা অনুসারে শুধু বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসই নয়, শীতঋতুর দেড় দু’মাস ছাড়া সব সময়েই গরম থাকে। বৈশাখ মাত্র শুরু হলো বলে এই মাস কিংবা আগামী মাসেই কেবল তীব্র গরম থাকবে, এমন নয়। তাই গরমে জীবনযাপন সহনীয় করার কথা ভাবতে হবে, সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। দেশে ক্রমান্বয়ে জনসংখ্যা বেড়েছে, পক্ষান্তরে কমেছে সবুজ ভূমি, দখল-দূষণে কমেছে নদী ও জলাশয়। ফলে, তাপ শোষণের ক্ষেত্রে একটা বড় ধরনের পঙ্গুদশায় পড়েছে দেশ।
এসবই মনুষ্যসৃষ্ট দুর্গতি। অপরিণামদর্শী মানুষই জলাধার সংকুচিত করে ফেলেছে, বনভূমি কেটে সাবাড় করেছে। ঢাকা শহরের কথাই ভাবা যাক। কোটি মানুষের আবাসনের সুযোগ করে দেওয়া এবং রাস্তাঘাট তৈরির জন্য হাজার হাজার বৃক্ষ কেটে ফেলা হয়েছে। খালগুলো ভরাট করা হয়েছে। তীব্র গরমে তাই তাপ শোষিত হবে কী উপায়ে? মানুষ ছায়া পাবে কোথায়? পাশাপাশি শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে তাপ আরও ছড়াচ্ছে। বায়ুপ্রবাহের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে।
আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজধানী। এরই মধ্যে তাপমাত্রা চল্লিশ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে। ভয়াবহ অবস্থা, সন্দেহ নেই। এইসঙ্গে যোগ করা জরুরি যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেও পৃথিবী উষ্ণ হয়ে উঠছে। এর নেতিবাচক শিকার বাংলাদেশ। ফলে, গ্রীষ্মকাল শুরু না হতেই মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষ হাঁসফাঁস করছে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ইতোমধ্যেই দু দফায় তিন যোগ তিন মোট ছয়দিনের জন্য দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কিছু আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের সংবাদ এসেছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সবে তো শুরু। সামনে আরও ঘোষণা আসতে পারে। হিটস্ট্রোকে একাধিক মৃত্যুর খবরও আছে।
মানুষই একমাত্র জীব যার অভিযোজন ক্ষমতা বিস্ময়কর। পরিবর্তিত পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানুষ খাপ খাইয়ে নেওয়ার সংগ্রাম করে। বেঁচে থাকার পথ বের করে নেয়। চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের সময়েই নয়, বছরভরই গরমে জীবনযাপনে মানুষকে সমর্থ ও অভ্যস্ত হতে হবে। সেজন্য মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। যেমনটা আমরা মেনেছিলাম করোনাকালে। গরমের কিছু বিপদ আপদ আছে।
শিশু ও বয়স্কদের বিপদ বেশি। তারা সহজেই গরমে কাবু হয়ে যান। শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে যাদের দিনের বেলা সূর্যের নিচে যেতেই হয়, তাদের ঝুঁকি বেশি। হিটস্ট্রোকের কারণে মানুষ মারা যায় বলে এ বিষয়ে বিশেষ প্রচার দরকার। গরমে কিছুটা আরাম পেতে কী কী খাওয়া দরকার, কী ধরনের পোশাক পরিধান করা চাই, এসব বিষয়ে জেনে নেওয়া জরুরি।
গণমাধ্যম এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। গরমে স্বাভাবিকভাবেই পানি পানের চাহিদা বেড়ে যায়। কম পানি খেলে পানিশূন্যতা হতে পারে। পরে সেখান থেকে জটিল রোগ। অন্যদিকে বিশুদ্ধ পানির সংকটও বাড়তে পারে। অসতর্ক মানুষ দূষিত পানি পান করে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে চলে যেতে পারে।
চলমান তাপপ্রবাহের সময় শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সরকারের দিকে না তাকিয়ে বিত্তবান ব্যক্তিবর্গ ভূমিকা রাখতে পারেন। শুধু মানুষের কথা ভাবলে চলবে না, আমাদের জীবনযাপনের চৌহদ্দিতেই যেসব পশুপাখির বসবাস, তাদের পানির চাহিদা মেটানোর দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নেওয়া চাই। জলাশয় পুনরুদ্ধার ও ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা এখনই গ্রহণ না করলে সামনে আরও দুর্দিন আসতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার এই দাবদাহ দীর্ঘদিনের পরিবেশ ধ্বংসের ফল। ঢাকার অত্যধিক জনসংখ্যাও নাকি একটি কারণ অতিগরমের। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পরিবেশ দপ্তরের মতে, সাধারণত প্রতি ১০ লাখ লোকের জন্য যেকোনো এলাকার তাপমাত্রা ১.৮ থেকে ৫.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বাড়তে পারে। আবার মানুষের শরীরের একটি নিজস্ব তাপমাত্রা রয়েছে, যাকে বলা হয় মেটাবোলিক হিটিং।
প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই তাপমাত্রার পরিমাণ ১০০ ওয়াট। অর্থাৎ একটি স্থানে বিপুলসংখ্যক মানুষ থাকলে সেখানে শুধু মানুষের কারণেই তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি হবে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা যায় রান্না করা ও বর্জ্য পোড়ানোর কাজে আগুন জ্বালানোর কথাও। প্রায় ২০ লাখ পরিবারের ২০ লাখ চুলায় গড়ে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন ঘণ্টা করে রান্নার কাজ চলে। শহরের প্রচুর মানুষ এখনো রান্নার কাজে কাঠ পোড়ায়। যত্রতত্র বর্জ্য পোড়ানো একটি বড় সমস্যা। প্লাস্টিকজাতীয় বর্জ্য পোড়ানোর ফলে বিভিন্ন বিষাক্ত গ্যাস ও ক্ষতিকর মাইক্রো প্লাস্টিক বাতাসকে দূষিত করছে। তা ছাড়া বাতাসে ভাসমান এই প্লাস্টিক কণাগুলোও তাপ ধরে রাখে।
গরম থেকে বাঁচার উপায় কী। ঢাকা শহরের এই ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সর্বপ্রথম যে পদক্ষেপ নিতে হবে তা হলো, শহরের প্রতিটি ফাঁকা স্থানে গাছ লাগাতে হবে। সড়ক বিভাজকে শোভাবর্ধক গাছ ছাড়াও ভূমির ধরনের ভিত্তিতে বিভিন্ন রকম উপকারী বৃক্ষ যেমন ফলের গাছ, ঔষধি গাছ, কাষ্ঠল গাছও রোপণ করতে হবে। ছাদবাগান বাড়াতে হবে। দখলকৃত জলাভূমি উদ্ধার করতে হবে।
চিত্রপ্রেমীদের জন্য সুসংবাদ
চিত্রপ্রেমীদের জন্য সুখবর। ধানম-ির দুটি কাছাকাছি আর্ট গ্যালারিতে দুটি চিত্র প্রদর্শনী চলছে। ফ্রেঞ্চ কালচারাল সেন্টারে (আলিয়ঁস ফ্রঁসেসে) চলছে সুরঞ্জনা ভট্টাচার্যের শিল্প প্রদর্শনী; আর সফিউদ্দিন শিল্পালয়ে চলছে নুরুন নাহার পাপার ৫০ বছরের শিল্পযাত্রা নিয়ে প্রদর্শনী ‘আমি এক যাযাবর’।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সফিউদ্দিন শিল্পালয়ে যখন পৌঁছুই ততক্ষণে নিচতলায় আয়োজিত উদ্বোধনী আলোচনা শেষ। প্রচুর শিল্পরসিকের উপস্থিতি। সিঁড়ি দিয়ে উঠে যাই গ্যালারিতে। এখানে প্রথম আসা। তাই শিল্পী সফিউদ্দিনের চিত্রকর্ম ও ব্যবহার্য জিনিসপত্রের প্রদর্শনী কক্ষও ঘুরে দেখি। এখানে সংরক্ষিত পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের আলোকচিত্রসমূহ গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে সে সময়কার গ্রামবাংলা ও ঢাকা শহরকে অুনভব করা যায়।
আসা যাক বৈচিত্রের অনুসন্ধানী চিত্রকর নুরুন নাহার পাপা প্রসঙ্গে। নানা মাধ্যমের প্রয়োগে বিচিত্র পথে ধাবিত তার ক্যানভাস। মূর্ত থেকে বিমূর্ত সবই উজ্জ্বল রঙে উদ্ভাসিত। একটি ছবিতে দিগন্ত বিস্তৃত ময়দানে খাদ্যের সন্ধানে সমবেত একঝাঁক কাক। আরেকটি ক্যানভাসে বর্ণিল পেখম মেলেছে ময়ূর। দীঘল কেশের নারীকে দেওয়ালে হেলান দিয়ে সূচিকর্মে নিমগ্ন থাকার দৃশ্যের মাঝে উঠে এসেছে চিরচেনা গ্রামীণ জীবন। বিপ্লবী চে গুয়েভারাকে পাওয়া যায় দুটি ছবিতে, শিল্পী দালিও আছেন একটিতে। রঙ ও রূপপিয়াসিদের জন্যে অঢেল আনন্দ উপকরণ রয়েছে পাপার ছবিতে।
সুরঞ্জনার চিত্র প্রদর্শনী সম্পর্কে লেখক আলম খোরশেদ বলছেন : ‘চিত্রকলায় কোলাজ একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় মাধ্যম, যা মূলত করা হয় কাগজ আর আঠা দিয়ে। কেউ কেউ কাপড় কেটেও আঠা দিয়ে ক্যানভাসের গায়ে সেঁটে দিয়ে এটা করে থাকেন। এবার একজনকে আমরা দেখতে পেলাম কাপড় কেটে, নিজহাতে সেগুলো সীবন তথা সেলাই করে নতুন এক শিল্পকর্ম তৈরি করতে, যার নাম তিনি দিয়েছেন, ‘সীবিত কোলাজ’।
তিনি এই বাংলাদেশেরই মেয়ে সুরঞ্জনা ভট্টাচার্য, ছোটবেলায় মা-মাসীদের কাছে তো বটেই, এমনকি পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে বিদ্যালয়েও সেলাই শিখেছিলেন। এছাড়া দীর্ঘদিন সুলেখক ও ভাষাবিদ জীবনসঙ্গী শিশির ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্যারিস, মন্ট্রিয়ল, জাপানে থাকার সুবাদে প্রচুর বিশ্বখ্যাত শিল্পীর বহুবিধ শিল্পকর্ম দেখার মাধ্যমে নিজস্ব শিল্পদর্শনের চোখ ও শিল্পসৃষ্টির বোধও তৈরি হয়ে যায় তাঁর। সেসব কাজে লাগিয়েই তিনি নিজেই অতঃপর ‘সীবিত কোলাজ’ মাধ্যমে আপন হৃদয় ও মননের মাধুরী মিশিয়ে শিল্পসৃষ্টির সাধনায় নিজেকে ন্যস্ত করেন।’
২১ এপ্রিল ২০২৪