ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

রোহিঙ্গা সমাধান এক জটিল সমীকরণ

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ২৬ অক্টোবর ২০২২; আপডেট: ১৩:৩৯, ২৬ অক্টোবর ২০২২

রোহিঙ্গা সমাধান এক জটিল সমীকরণ

লেখক: কাওসার রহমান, চিফ রিপোর্টার, দৈনিক জনকণ্ঠ।

মিয়ানমারে এখন গৃহযুদ্ধ চলছে। বিশেষ করে দেশটির আরাকান ও চীন প্রদেশের গৃহযুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। আরাকান প্রদেশের যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের ওপর। একাধিকবার গোলা ও মর্টাশেল এসে পড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তে। বার্মিজ মিলিটারির যুদ্ধ বিমান বাংলাদেশের আকাশ সীমা লংঘন করছে। অভ্যন্তরীণ গোলযোগে মিয়ানমার থেকে মর্টারশেল এসে বাংলাদেশের সীমানায় পড়ে হতাহতের ঘটনায় উদ্বিগ্ন ঢাকা। এ নিয়ে চার দফা মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে প্রতিবাদও জানানো হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তাদের সেনাবাহিনীকে সংযত ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। এর বাইরেও আসিয়ানভূক্ত এবং আসিয়ান দেশের বাইরের দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের ডেকে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছে। অবশ্য শেষবারে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে এ বিষয়ে ‘ব্যাখ্যা’ দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জ ফিও উইন। তিনি এ ঘটনার পুরো দায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছেন।

মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে ওই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জ ফিও উইনের বৈঠক হয়। বৈঠকে মহাপরিচালক সীমান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন বলেও পোস্টে উল্লেখ করা হয়। পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, তিনি এ ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর পুরো দায় চাপিয়ে দাবি করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে ওই সংগঠন দুটি এসব কাজ (বাংলাদেশে বোমা, গুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপ) করছে, যাতে করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পর্ক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

মিয়ানমারের এই আচরণ থেকে এটা বুঝা যায় যে, মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে গায়ে পড়ে যুদ্ধে জড়াতে চাইছে। তবে বাংলাদেশ এ ব্যাপারে সামরিকভাবে পাল্টা জবাব না দিয়ে কূটনৈতিক পথেই এগুচ্ছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ প্রয়োজনে জাতিসংঘে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সঠিক পথেই আছে বলা যায়। যদিও কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে এই সময়ে যুদ্ধে না জড়িয়ে বাংলাদেশকে সীমান্তে শক্তি প্রদর্শন করা প্রয়োজন। আমেরিকার সাবেক একজন নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনেক আগেই বলেছেন পেছনে সেনাবাহিনীর শক্তি না থাকলে কোনো কূটনীতি সফল হয় না। কাজেই পাওয়ার পজিশন থাকতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের মুল চাওয়া হলো রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান। অর্থাৎ বাংলাদেশে অবস্থানকারী ১১ লাখ রোহিঙ্গার মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন। মিয়ানমার পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিচ্ছে তা কী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের পথে যথেষ্ট! নাকি এক্ষেত্রে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশের নীতি কৌশল পাল্টানো বা নতুন কৌশল গ্রহণ প্রয়োজন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আলোচনার আগে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি একটু পর্যালোচনাপ করে নেয়া যাক। আমরা দেখেছি যে, সরকার উৎখাতের পরপরই অং সান সু চিকে গৃহবন্দি করা হয়। এরপর সু চির মুক্তির দাবিতে কয়েক সপ্তাহ ব্যাপক গণআন্দোলন চলেছে। অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক জান্তাকে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে বিরোধিতা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিদ্রোহ।

মিয়ানমারের পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অভ্যুত্থানের পৌনে দুই বছর পরও দেশটির নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনীর হাতে আসেনি। অভ্যুত্থানের পর থেকে মোট সাতটি অঞ্চলে- কাচিন, কাইয়া, কাইয়িন, সিন, রাখাইন এবং দেশের মধ্যাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্য যেমন ম্যাগুই এবং জাগাই অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হচ্ছে।

এসব রাজ্যের মধ্যে সিন, কাইয়া, ম্যাগুই এবং জাগাই রাজ্য অতীতে খুব শান্তিপূর্ণ ছিল, সেখানে কোনো লড়াই-সংঘাত ছিল না। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর বিরোধীদের দমন করতে ব্যাপক শক্তি ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী। এখন মিয়ানমারের কোনো কোনো অঞ্চলে একাধিক বাহিনীর সঙ্গে লড়তে হচ্ছে সামরিক জান্তাকে। এই মূহুর্তে চারটি রাজ্যে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাত তীব্র রূপ নিয়েছে। এর মধ্যে রাখাইন অন্যতম, এবং এই সহিংসতার ছোঁয়া এসে লেগেছে বাংলাদেশেও।

কেবল অভ্যুত্থানবিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী নয়, এখন জান্তাবিরোধী যেকোন মত-প্রকাশ বা কর্মকাণ্ডও দমন করা হচ্ছে। প্রকাশ্যে হামলা, নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার এবং গুমের ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) নানাভাবে চাপে রাখা হচ্ছে। নিপীড়নের মুখে লক্ষ লক্ষ মানুষ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশ ও ভারতে।
সর্বশেষ পরিস্থিতি হলো, রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড যেভাবে দমন করা হয়েছে তাতে এখন প্রকাশ্যে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু নিষ্ঠুরতার সঙ্গে যেভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সামরিক জান্তা দমন করেছে, তাতে করে বর্মীয় জনগোষ্ঠী, যারা দেশের মূল জনগোষ্ঠী, যাদের মধ্যে এতদিন অস্ত্র ধরার প্রবণতা ছিল না, সেই জনগোষ্ঠী এখন অস্ত্র ধরছে।

এখন কেবল এনএলডি নয়, তার পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং এর মধ্যে উপজাতীয় বিভিন্ন গোষ্ঠী ইতোমধ্যেই যারা সংগ্রামে শামিল হয়েছিল, তারা সবাই মিলে একটা সমান্তরাল সরকার গঠন করেছে, যা ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট নামে পরিচিত। এই ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য প্রচারণা চালাতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা করেছেন আসিয়ান ও মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সমান্তরাল সরকারের পাশাপাশি মিয়ানমারের তরুণ প্রজন্মের বহু মানুষ এখন সশস্ত্র গোষ্ঠীতে যোগ দিচ্ছে এবং সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এদের একটি বড় অংশ গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের নেতাকর্মী, এবং সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার। অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে নতুন প্রায় ১০০টির মত সশস্ত্র গোষ্ঠী আত্মপ্রকাশ করেছে এবং এদের বেশিরভাগই দুর্গম এলাকাভিত্তিক। আর গোষ্ঠীগুলো সারাদেশের গণতন্ত্রপন্থীদের সংগঠিত করে একটি বাহিনী গঠন করেছে, যার নাম দেয়া হয়েছে পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স- পিডিএফ। এই বাহিনী এখন সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন শহর এবং গ্রামে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমারের জান্তা দেশটির অর্ধেকেরও বেশি এলাকার নিয়ন্ত্রণ বা কর্তৃত্ব হারিয়েছে। এক হিসাব অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমার্ধে মিয়ানমারের ৫২ শতাংশ এলাকা জান্তাবিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তবে এটি স্থায়ী নয়। দখল-পাল্টাদখল, কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে। ফলে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছে সামরিক বাহিনী। এখন উত্তর রাখাইন রাজ্য, চিন রাজ্য, শান ও কাচিন এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে বার্মিজ সেনাবাহিনী। তারা ভারী অস্ত্র ও ট্যাংকের সহায়তায় অনেকগুলো শহরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তারা সেখানকার একাধিক গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে এবং গ্রামে গ্রামে অভিযান চালাচ্ছে। 

এই অবস্থায় কি জান্তা সরকারের পক্ষে রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব। বাস্তব অবস্থা হলো কোনোভাবেই সম্ভন নয়। এর আগে যখন জান্তা সরকার স্থিতিশীল ছিল তখনই নেয়নি। লোক দেখানো তালিকা করে তারিখ নির্ধারণ করেও প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি। কারণ তাদের নিতে হলে যে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদানসহ যে সকল শর্ত পূরণ দরকার ছিল তা করেনি। অর্থাৎ জান্তা সরকার আন্তরিক ছিল না রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া ক্ষেত্রে। আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও তারা সেটা করেনি। কারণ, তাদের পেছনে রয়েছে চীন, রাশিয়া, ভারত, জাপানসহ একাধিক বড় দেশ। এসব দেশের সমর্থনের কারণেই মিয়ানমার কারো কথায় পাত্তা দিচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান ঝুলিয়ে রেখেছে এবং সীমান্ত পরিস্থিতি ঘোলা করার সাহস পাচ্ছে মিয়ানমার।

তাহলে দ্বিতীয় অপশন হচ্ছে জান্তা সরকারের বিদায়। জান্তা সরকার বিদায় হলে কারা ক্ষমতায় আসবে সেটি একটি বিষয়। যদি অং সান সুচির দল ক্ষমতায় আসে তাহলে গণতন্ত্রের স্বার্থে সুচি হয় তো রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে রাশিয়া, চীন ও ভারতের ভূমিকা কী হবে তা একটি বিবেচ্য বিষয়। আবার আরাকান বাহিনীর সঙ্গে রোহিঙ্গাদের কতটা সদ্ভাব আছে সেটিও দেখার বিষয়। আরাকান বাহিনী বিরোধীতা করলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাস কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সেক্ষেত্রে প্রত্যাবাসন জটিল হয়ে পড়তে পারে। তাই আরাকান আর্মির সঙ্গেও বাংলাদেশকে একটা বোঝাপড়ায় আসতে হবে। না হলে রোহিঙ্গারা সেখানে গিয়েও থাকতে পারবে না।

জান্তা সরকার বিদায় নিলে মিয়ানমারের ওপর হয় তো চীন রাশিয়ার প্রভাব কমে যাবে। সেক্ষেত্রে মিয়ানমার থেকে চীনে গ্যাস সরবরাহের অবস্থা কী দাঁড়াবে সেটা একটি বিষয়। যদি ব্যবসায়িক স্বার্থে ভবিষ্যত মিয়ানমার সরকার ১২০০ কিলোমিটার দূরত্বে চীনের কুনমিঙে পাইপলাইনে গ্যাস ও তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখতে চায়, তখন চীনের একটি প্রভাব ওই সরকারের ওপর থেকে যাবে। আবার চট্টগ্রামের নাকের ডগায় মিয়ানমারে চাইপিউ নামে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর আছে, যা চীনারা তৈরি করেছে। ওখানে একই সঙ্গে সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।  এসব প্রকল্পের ঋণ শোধের একটি চাপ থাকবে চীনের। 

এক্ষেত্রে চীন রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে ওই সরকারকে কতটা সমর্থন দেবে তার ওপর নির্ভর করতে প্রত্যাবাসন। সর্বশেষ ভারতের ভূমিকাও তখন হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চীনের সঙ্গে বিরোধীতার কারণে ভারত বর্তমানে ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছে। বর্তমান গৃহযুদ্ধে যারা উদ্বাস্তু হচ্ছে তারা ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে। তার মানে ভারত তাদের আশ্রয় দিচ্ছে। ফলে মিয়ানমারে নতুন সরকার ক্ষমতায় এলে ভারতের একটি ভূমিকা থাকবে। মিয়ানমারে তার বিপুল বিনিয়োগ রক্ষার্থে ভারত নিজ স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কতটা আন্তরিক হবে সেটাও একটি প্রশ্ন। সর্বপরি রোহিঙ্গাদের কট্টর ধর্মান্ধতাও এই প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সমাজ ও সংস্কৃতি তথ্য মুল স্রোতের সঙ্গে কতটা মিশনে পারবে সেটিও ভূমিকা রাখতে এই প্রত্যাবাসনে। ফলে মিয়ানমারের নতুন গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা পেলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জটিল হয়ে দাঁড়াতে পারে। এক্ষেত্রে এসবদিক বিবেচনা করেই বাংলাদেশকে কৌশলী কূটনৈতিক ভূমিকা পালন করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে মিয়ানমার একটি জটিল রাষ্ট্র। তাই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান একটি জটিল সমীকরণ বলেই মনে হচ্ছে।     

লেখক: কাওসার রহমান, চিফ রিপোর্টার, দৈনিক জনকণ্ঠ।

কেআর

সম্পর্কিত বিষয়:

×