ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

খাদ্য সংকটের ঝুঁকি মোকাবিলায় করণীয়

ড. মোঃ জামাল উদ্দিন

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ১৫ অক্টোবর ২০২২

খাদ্য সংকটের ঝুঁকি মোকাবিলায় করণীয়

১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস

১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস। প্রতি বছর ঘটা করে প্রায় সারাবিশ্বে পালিত হয় দিবসটি। দেশেও এ দিবসকে ঘিরে বহু আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়েছে। বিদ্যমান বৈশ্বিক সংকটে এবারের দিবসটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।  বৈশ্বিক সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী অপুষ্টি, দারিদ্র্য ও খাদ্যপণ্যের দাম আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনার অভিঘাত ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ মূলত এই সংকটের জন্য দায়ী।

এফএও’র মহাপরিচালক কিউ দোংয়ু গত বছর ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বক্তব্যে বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্বব্যাপী মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি রেজিলিয়েন্ট, ইনক্লুসিভ ও সাসটেইনেবল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। জাতিসংঘসহ আইএমএফও অনুরূপ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।
বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২২ এর প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘খঊঅঠঊ ঘঙ ঙঘঊ ইঊঐওঘউ. Better production, better nutrition, a better environment and a better life.’ বাংলা ভাবার্থ-‘কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়। ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন’। প্রতিপাদ্য বিষয়টি অত্যন্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী।

বিশ্ব খাদ্য দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো- ক্ষুধা, অপুষ্টি ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলা, কৃষির উন্নতিতে মনোযোগ দেয়া, কৃষিভিত্তিক উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান করা, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা গ্রহণে উৎসাহ প্রদান, গ্রামীণ জনগণ বিশেষ করে নারী ও পিছিয়ে পড়া মানুষের অবদানে উৎসাহ দান এবং প্রযুক্তির সমৃদ্ধিকে বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া।
বিশ্বের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। কৃষিকে কেন্দ্র করে বিশ্বের মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্যের জোগান, দরিদ্র ও পুষ্টিহীনতা দূর করে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ১৯৪৫ সালের ১৬ অক্টোবরে জন্ম নেয় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা। বাংলাদেশে সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে জাতিসংঘের এ সংস্থাটি। বিশ্বব্যাপী খাদ্য দিবস উদ্যাপনের মূল আয়োজক এ সংস্থাটি। বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সহযোগী মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে এফএও সমন্বয় করে প্রতিবছর ১৬ অক্টোবর বেশ আড়ম্বরপূর্ণভাবে দিবসটি উদ্যাপন করে। তাই এ দিবসকে ঘিরে রয়েছে মানুষের বহু প্রত্যাশা।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়ের অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক হলো কাউকে পশ্চাতে রেখে এগিয়ে যাওয়া নয়। এফএও-এর ভাষ্যমতে কাউকে পিছনে না ফেলা মানে একই সঙ্গে অনেক ফ্রন্টে কাজ করা। যার মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ কর্মসংস্থান এবং পরিষেবার প্রচার, সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং শিশু শ্রমের অবসান, লিঙ্গ সমতা বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সম্প্রদায়কে সমর্থন করা, যারা পৃথিবীর বেশিরভাগ জীববৈচিত্র্যের রক্ষক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ (খরা, বন্যা, হারিকেন, জলোচ্ছ্বাস ভূমিকম্প, মহামারী, ইত্যাদি), যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক সংকটে বেশি নিপতিত হয় পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী। একটি ভালো ভবিষ্যতের আশায় সকলের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা, শান্তি ও সমতাকে অগ্রাধিকার দিতে সরকার, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারী খাত, একাডেমিয়া এবং সুশীল সমাজকে একত্রে কাজ করা দরকার বলে সংস্থাটি মনে করে।
মহামারীর প্রায় তিনটি বছর অতিবাহিত হলো! এরপর যুক্ত হলো ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাত। এ সংঘাতের কারণে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণে আজ বিশ্বজুড়ে ৩ বিলিয়ন মানুষ এখনও স্বাস্থ্যকর খাবারের সামর্থ্য রাখে না। তাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ জীবিকা নির্বাহের জন্য কৃষির ওপর নির্ভর করে। এমতাবস্থায় একটি টেকসই বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য আমাদের সংহতি এবং সম্মিলিত পদক্ষেপের শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে, এমনটি মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যেখানে প্রত্যেকেরই পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবারের নিয়মিত নিশ্চয়তা থাকবে।
২০৩০ সালে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি ১৩ লাখ মানুষ ক্ষুধার ঝুঁকিতে থাকবে। আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইএফপিআরআই) এই পূর্বাভাস দিয়েছে। ‘গ্লোবাল ফুড পলিসি রিপোর্ট-২০২২ : ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ফুড সিস্টেম’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, সারা বিশ্বে ২০৩০ সালে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫২ কোটি ৮০ লাখে। এই সময়ে বাংলাদেশে ক্ষুধার্ত মানুষ হবে এক কোটি ১৩ লাখ। তবে এই সংখ্যা ২০৫০ সালে নেমে দাঁড়াবে ৬৯ লাখে। আগামী ২০৩০ সালে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি ১৩ লাখ মানুষ ক্ষুধার ঝুঁকিতে থাকবে। আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইএফপিআরআই) এই পূর্বাভাস দিয়েছে। এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ আবদুর রাজ্জাক জাতীয় এক দৈনিকে মন্তব্য করেন, ‘সারা বিশ্বেই ক্ষুধার ঝুঁকিতে থাকা মানুষ রয়েছে। বাংলাদেশে ক্ষুধার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জন্য সবচেয়ে কার্যকর ও অন্যতম বড় উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে আসছে সরকার। সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম ও বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকারিভাবে বিশেষ উদ্যোগে মানুষ এখন আর না খেয়ে নেই। কৃষি ও খাদ্যপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সরকারের কার্যকর উদ্যোগের কারণেই সেটি সম্ভব হয়েছে।’
দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার বদৌলতে বাংলাদেশ খাদ্যশস্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এ যাবত প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ফসলের ৬২৫টি উচ্চ ফলনশীল, রোগ প্রতিরোধক্ষম ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিরোধী জাত এবং ৬১২টি উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তিসহ মোট ১ হাজার ২৩৭টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে। এসব উন্নত জাত ও প্রযুক্তিসমূহ দ্রুত কৃষকের মাঠে পৌঁছে দিয়ে তাদের আয় বাড়াতে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আবদুর রাজ্জাক, সম্প্রতি বারির এক কর্মশালায় তাগিদ দিয়েছেন।
এফএও, ২০২২ তথ্যমতে বর্তমান বিশ্বে ৩ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ, যা বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৪০% স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না। ২০২১ সালে প্রায় ১৯৩ মিলিয়ন লোককে তাদের বেঁচে থাকার জন্য মানবিক সহায়তার প্রয়োজন ছিল। ২০২১ সালে ২৪টি দেশ ও অঞ্চলজুড়ে ১৩৯ মিলিয়ন মানুষের জন্য উচ্চ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার প্রধান চালক ছিল সংঘাত। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতেও এই প্রবণতা বাড়ছে। চরম দরিদ্রদের ৮০% এরও বেশি গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করে। উচ্চ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে দুই-তৃতীয়াংশই গ্রামীণ খাদ্য উৎপাদনকারী।
স্বাধীনতার পর থেকে আমাদেরও নানা পুষ্টি সমস্যা ছিল। মানুষের ওজন কম ছিল, স্বাস্থ্য কম ছিল, খর্বাকৃতি ছিল। এখন তা কমে এসেছে। তবে নগরায়ণের ফলে পুষ্টি চ্যালেঞ্জও বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশি শিশু প্রোটিন ও ক্যালরিজনিত পুষ্টিহীনতায় ভোগে, যার মধ্যে খর্বাকৃতি ২৮ শতাংশ, কৃষকায় ৯.৮ শতাংশ এবং নিম্ন ওজনে রয়েছে ২৬.৬ শতাংশ (এমআইসিএস-২০১৯)। গড়ে এক-চতুর্থাংশ মহিলা দীর্ঘস্থায়ী ক্যালরিজনিত অপুষ্টিতে ভোগে, যাদের অধিকাংশেরই দেহে একই সঙ্গে জিঙ্ক, আয়রন ও আয়োডিনের ঘাটতি রয়েছে। মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে প্রাণিজ আমিষ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আমাদের অনেক অর্জন সত্ত্বেও পুষ্টিতে বেশ পিছিয়ে আছি আমরা। তা উত্তরণে সরকারিভাবে একটি মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইডলাইন অনুযায়ী আমাদের শক্তির ৬০ শতাংশ আসার কথা শস্যজাতীয় পণ্য থেকে।
খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় কাউকে পিছিয়ে না রাখার হাতিয়ার হিসেবে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে এগোতে হবে। তাদের আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে ফসলের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির দিকে বিশেষ মনোনিবেশ দরকার। কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণে কোন্ শ্রেণির কৃষক পেছনে আছে, তা চিহ্নিত করে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ দরকার। সুবিধাভোগী শ্রেণি ব্যবধান কমাতে নীতিগুলো ডিজাইন করা; আসন্ন বৈশ্বিক সংকট ও খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি বিষয়ে প্রান্তিক কৃষকসহ সকল সম্প্রদায়কে সতর্ক করা; প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক করা; বিনিয়োগ নীতিগুলোকে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে উপযোগী করে গড়ে তোলা; সে সঙ্গে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করা; কৃষিখাদ্য ব্যবস্থায় সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; প্রান্তিক কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান; টেকসইভাবে উৎপাদিত খাবার সরবরাহ করতে খাদ্য শৃঙ্খল ঠিক রাখা; খাদ্যের ক্ষয়ক্ষতি ও অপচয় রোধ করতে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও টেকসই প্যাকেজিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা সময়ের দাবি।
দরিদ্র এবং দুর্বল কৃষি পরিবারকে ফসল উৎপাদন করতে উন্নত বীজ, রোপণের উপকরণ, সার, বাগান করার সরঞ্জামসহ প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ চলমান রাখা; টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনার আলোকে কৃষক এবং পরিবেশের জন্য সবচেয়ে স্মার্ট সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। পিছিয়ে পড়া কৃষক পরিবার যাতে ফসল ফলিয়ে আয় বাড়িয়ে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে পারে এবং কৃষক ব্যয়বহুল রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে অর্থ সাশ্রয় করতে পারে, সে জন্য উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা দরকার। পিছিয়ে পড়া কৃষকদের বসতবাড়ির আঙ্গিনায় বা তাদের ক্ষুদ্র জমিতে প্রদর্শনী প্লট স্থাপনে সহযোগিতা করা দরকার। সে জন্য বর্তমানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একটি বৃহৎ পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্প চলমান রয়েছে। বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার চালানো; চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুফল হিসেবে জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারলে জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে উদ্ভাবনী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে দেশে একটি সহনশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই কৃষিখাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর ঘটাতে পারলে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে পারে আগামীতে।

লেখক : কৃষি অর্থনীতিবিদ, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি; সাবেক ন্যাশনাল কনসালটেন্ট, এফএও, জাতিসংঘ

×