
ছবি: সংগৃহীত
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে, পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ইশতিয়াক আহমেদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন।
রাশেদ খান অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের ১ জুলাই তাকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হলে, এডিসি ইশতিয়াক আহমেদ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং শারীরিক নির্যাতন করেন। তিনি বলেন, আমি শেখ হাসিনাকে গালি দিয়েছি। এই বলে সে চেয়ার থেকে উঠে এসে তার পায়ে থাকা বুট জুতা দিয়ে আমার অন্ডকোষে লাথি মারে। আমি তখন চিৎকার করে উঠি। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পেটান এবং মুখে গামছা ঢুকিয়ে চিৎকার বন্ধ করার চেষ্টা করেন। এই নির্যাতনের ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং দীর্ঘদিন শারীরিক ও মানসিকভাবে ভুগেছেন।
রাশেদ খান আরও বলেন, এডিসি ইশতিয়াক আহমেদ ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমন করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। তিনি ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নজরদারি করতেন এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতেন। তিনি দাবি করেন, ইশতিয়াক আহমেদের মতো পুলিশ কর্মকর্তারা এখনো বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
রাশেদ খান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় এডিসি ইশতিয়াক আহমেদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন। তিনি বলেন, এই অপরাধীর শাস্তি না হলে শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=TxzPSKtMtmQ
আবীর