ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে

এলজিইডিতে দুদকের অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:০৩, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

এলজিইডিতে দুদকের অভিযান

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভরি ইমার্জেন্সি অ্যান্ড রেসপন্স বা বি-স্ট্রং প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান শেষে এ কথা জানায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।
তারা জানান, ২০২৪ সালের বন্যা পরবর্তী বি-স্ট্রং প্রকল্প চট্টগ্রাম বিভাগের ছয় জেলা, ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্ল­া, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য নেওয়া হয়। এই প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয় এক হাজার ৯০৯ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরুর আগেই প্রকল্পের বিভিন্ন জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক দাম নির্ধারণ করার প্রমাণ পায় দুদক। এরই প্রেক্ষিতে এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা জানান, বি-স্ট্রং প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে ব্যয় বেশি দেখানো হয়েছে। অভিযানে আমরা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছি। অভিযান চলাকালে দেখা যায় যে, প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে।

প্রকল্পটির জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে পরিকল্পনা কমিশন কিছু বিষয় কাটছাঁট করে পুনরায় ডিপিপি প্রস্তুত করে পাঠাতে বলে। সে প্রেক্ষিতে এলজিইডি পরিকল্পনা কমিশনের সুপারিশ আমলে নিয়ে পুনরায় ডিপিপি প্রস্তুত করে পাঠায়। পরে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে গত ২০ এপ্রিল।
তিনি জানান, প্রকল্পের এখনো আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে প্রকল্পের বিভিন্ন জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দাম নির্ধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরাও অনুসন্ধানে আসি। এই প্রকল্পের ডিপিপি যিনি প্রস্তুত করেছেন, তিনি কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না।
পাপন কুমার সাহা বলেন, নতুন ডিপিপিতে বিভিন্ন অযৌক্তিক বিষয় হচ্ছে, স্ট্রিটলাইট স্থাপন, গাড়ি ক্রয় বাতিলসহ বজ্র নিরোধক ৫০০টির পরিবর্তে ১০০টি করা হয় মর্মে তথ্য পায় টিম। প্রকল্পের স্ট্রিট সোলার লাইটের একেকটার দাম ধরা হয়েছে ৭২ হাজার টাকা। অথচ পরিকল্পনা কমিশন জানায়, এই সোলার লাইটের প্রয়োজন নেই। ৬০টি মোটরসাইকেলের প্রস্তাব করা হলে পরিকল্পনা কমিশন থেকে ৩৬টি কেনার কথা বলা হয়।

কম্পিউটার ল্যাপটপ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণসহ অন্যান্য যে ব্যয় দেখানো হয়েছে, তা অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। এ ছাড়া চারটি ল্যাপটপের দাম ১১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটির বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানান পাপন কুমার সাহা। 
এক হাজার ৯০৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে এক হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে।
এই ব্যাপারে এলজিইডি প্রধান কার্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের প্রধান প্রকৌশলী ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন। এ প্রকল্পের এখনো কাজ শুরু হয়নি। কেবল একনেকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে আব্দুল মান্নান জানান, প্রকল্পে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হয়। অভিযুক্তকারী সাসপেন্ড করা হয়।  যেখানে অনিয়ম হয়েছে, ওখানে সাসপেন্ড হচ্ছে।
দুদক জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) মো. আকতারুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান কার্যালয়সহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ৩৬টি কার্যালয়ে একযোগে অভিযান চালিয়েছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। 
এর আগে ১৬ এপ্রিল দেশের ৩৫টি সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে একযোগে অভিযান চালিয়েছিল দুদক। ঘুষ গ্রহণ, অনিয়ম, দুর্নীতি, গ্রাহকদের সেবা থেকে বঞ্চিত করা, অতিরিক্ত ফি আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভরি ইমার্জেন্সি অ্যান্ড রেসপন্স বা বি-স্ট্রং প্রকল্পের ১৯০৯ কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতির দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান শেষে এ কথা জানিয়েছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।
তারা জানান, ২০২৪ সালের বন্যা পরবর্তী বি-স্ট্রং প্রকল্প চট্টগ্রাম বিভাগের ছয় জেলা, ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্ল­া, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্যে নেওয়া এই প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয় ১ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরুর আগেই প্রকল্পের বিভিন্ন জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক দাম নির্ধারণ করার প্রমাণ পায় দুদক। এরই প্রেক্ষিতে এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা জানান, বি-স্ট্রং প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে ব্যয় বেশি দেখানো হয়েছে। অভিযানে আমরা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। অভিযান চলাকালে দেখা যায় যে, প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে।

প্রকল্পটির জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করে পরিকল্পপনা কমিশনে প্রেরণ করা হলে পরিকল্পনা কমিশন কিছু বিষয় কাটছাঁট করে পুনরায় ডিপিপি প্রস্তুত করে পাঠাতে বলে। সে প্রেক্ষিতে এলজিইডি পরিকল্পনা কমিশনের সুপারিশ আমলে নিয়ে পুনরায় ডিপিপি প্রস্তুত করে পাঠায়। পরে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে গত ২০ এপ্রিল।
তিনি জানান, প্রকল্পের এখনও আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে প্রকল্পের বিভিন্ন জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দাম নির্ধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরাও অনুসন্ধানে আসি। এই প্রকল্পের ডিপিপি যিনি প্রস্তুত করেছেন তিনি কার্যালয় উপস্থিত ছিলেন না।
পাপন কুমার সাহা বলেন, নতুন ডিপিপিতে বিভিন্ন অযৌক্তিক বিষয় হচ্ছে, স্ট্রিটলাইট স্থাপন, গাড়ি ক্রয় বাতিলসহ বজ্র নিরোধক ৫০০টির পরিবর্তে ১০০টি করা হয় মর্মে তথ্য পায় টিম। প্রকল্পের স্ট্রিট সোলার লাইট- একেকটার দাম ধরা হয়েছে ৭২ হাজার টাকা। অথচ পরিকল্পনা কমিশন জানায়, এই সোলার লাইটের প্রয়োজন নেই। ৬০টি মোটরসাইকেলের প্রস্তাব করা হলে পরিকল্পনা কমিশন থেকে ৩৬টি কেনার কথা বলা হয়।

কম্পিউটার ল্যাপটপ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণসহ অন্যান্য ব্যয় দেখানো হয়েছে। তা অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। এছাড়া ৪টি ল্যাপটপের দাম ১১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটির বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানান পাপন কুমার সাহা। 
১,৯০৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে ১,৬৪৭ কোটি টাকা। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে।
এই ব্যাপারে এলজিআইডি প্রধান কার্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের প্রধান প্রকৌশলী ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন। এ প্রকল্পের এখনও কাজ শুরু হয়নি। কেবল একনেকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে  আব্দুল মান্নান জানান, প্রকল্পে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন গ্রহণ করা হয়। অভিযুক্তকারী সাসপেন্ড করা হয়।  যেখানে অনিয়ম হয়েছে, ওখানে সাসপেন্ড হচ্ছে।
দুদক জনসংযোগ কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান কার্যালয়সহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ৩৬টি কার্যালয়ে একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। 
এর মধ্যে গাজীপুর জেলা সদরের শিংরাতলী থেকে ভবানীপুর রাস্তার কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগে সরেজমিন পরিদর্শনকালে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের সত্যতা প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়। দেখা যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তিন হাজার মিটার রাস্তার কাজ ইতোমধ্যেই শেষ করেছে। সেখান থেকে রাস্তায় ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে নির্মাণাধীন বাকি ১ হাজার ১৮৫  মিটার রাস্তা থেকেও আলাদা নির্মাণ সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এদিকে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় কাশিনগর ইউপির যাত্রাপুর থেকে শ্রীপুর ইউপির পারুয়ারা পর্যন্ত ২.৩ কিলোমিটার সড়ক পরিদর্শনকালে টিম সড়কটির কার্পেটিংয়ের কাজ ডিসেম্বর ২০২৪-এ সমাপ্ত হয়েছে মর্মে জানতে পারে। এ ছাড়াও পরিদর্শনকালে টিম সড়কটির কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা, ফিনিশিং সমস্যা, কম পুরুত্বের কার্পেটিং এবং সড়কের দুই পাশের শোল্ডার না থাকার চিত্র দেখতে পায়।
অপরদিকে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খলশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশের চটা ব্যবহারের অভিযোগে অভিযান পরিচালনাকালে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের গাঠনিক কাজ শেষ হলেও অন্যান্য কাজ চলমান এবং তাতে বাঁশের চটা ব্যবহার করা হয়েছে। স্কুল ভবনের উইন্ডো সিলিং এবং সেলফ ঢালাইয়ের কাজে রড ব্যবহার, ভবনের ৭ ফুট ১১ ইঞ্চি সেলফের ঢালাই কাজে লং ডিসটেন্সে মাত্র একটি রড এবং শর্ট ডিসটেন্সে মাত্র ৩টি রড ব্যবহার করা হয়েছে মর্মে অভিযানকালে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে গোপালগঞ্জ জেলায় কাশিয়ানী উপজেলার সিংগা হাই স্কুল থেকে রামদিয়া পর্যন্ত ৭.৫ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিংয়ে অনিয়মের অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। টিম জানতে পারে, সড়কের কার্পেটিংয়ের মানে ত্রুটি ছিল এবং কিছু অংশ ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে। সরেজমিন পরিদর্শনেও রাস্তার কার্পেটিং-এর পুরুত্ব কম পাওয়া যায়।
এলজিইডি, কমলনগর উপজেলা, লক্ষ্মীপুরের একটি চলমান প্রকল্পে রাস্তা নির্মাণে বালুর পরিবর্তে মাটি এবং নিম্নমানের ইটের খোয়া ও নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে কয়েকটি জায়গা খুঁড়ে ইটের খোয়া, বালি এবং মিশ্রণের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ সময় রাস্তা নির্মাণে ব্যবহৃত ইটের খোয়া নিম্নমানের মর্মে এনফোর্সমেন্ট টিমের নিকট প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার কালিখোলা বলভদ্রপুর কালিমন্দির থেকে বালিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণসহ উক্ত উপজেলায় এলজিইডি কর্তৃক অন্যান্য সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একজন ল্যাব সহকারীসহ উক্ত সড়ক পরিদর্শনপূর্বক সড়কের বিভিন্ন অংশের পরিমাপ এবং সড়কে ব্যবহৃত সামগ্রীর গুণগত মান যাচাই করা হয়। অভিযানকালে দেখা যায়, আলোচ্য সড়কে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগ, ফুলছড়ি, গাইবান্ধার বিরুদ্ধে এডিপির বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনাকালে বাস্তবায়িত চারটি প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে প্রকল্পগুলোর মধ্যে চৌধুরীপাড়া গণপাঠাগার এবং একতা সংঘের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি এবং অন্য ১টি প্রকল্পের আংশিক কাজ পাওয়া যায়।
শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের সিকদার মার্কেট থেকে আবেদ আলী মুন্সী কান্দির সড়কে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও বিটুমিন ব্যবহারসহ রাস্তার আস্তরণ উঠে যাওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট অভিযানকালে পরিদর্শনে দেখা যায়, ২,০০৭ (দুই হাজার সাত) মিটার দীর্ঘ সড়কের কয়েকটি স্থানে মাটির কাজে ত্রুটি রয়েছে এবং প্রতিশ্রুত ১৭০ মিটার প্যালাসাইডিংয়ের পরিবর্তে মাত্র ৫০-৭০ মিটার কাজ করা হয়েছে। সংশ্লি­ষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ছাড়াও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর ও জামালপুর, উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, বরিশালের মুলাদী, বগুড়ার শিবগঞ্জ, কক্সবাজারের রামু, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ, মাগুরার শ্রীপুর, খুলনার বটিয়াঘাটা, কিশোরগঞ্জ সদর, কুড়িগ্রামের উলিপুর, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, নারায়ণগঞ্জের বন্দর, নোয়াখালীর কবিরহাট, নওগাঁ সদর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, পটুয়াখালী সদর, পিরোজপুরের নাজিরপুর, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, রাঙামাটির কাপ্তাই ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল -এ পরিচালিত অভিযানে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যায়।
সকল অভিযানসমূহে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে এনফোর্সমেন্ট টিমসমূহ কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এর আগে ১৬ এপ্রিল  দেশের ৩৫টি সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে একযোগে অভিযান চালিয়েছিল দুদক। ঘুষ গ্রহণ, অনিয়ম, দুর্নীতি, গ্রাহকদের সেবা থেকে বঞ্চিত করা, অতিরিক্ত ফি আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়।

×

শীর্ষ সংবাদ:

যেই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে: আমীর খসরু
জামায়াত নেতারা রাজাকার হলে পাকিস্তানে গাড়ি বাড়ি থাকতো : শামীম সাঈদী
এনসিপির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা নেই- উমামা ফাতেমা
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান
ইয়েমেনে হামলা চালিয়েই সাগরে ডুবে গেল মার্কিন সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান
জামিন পেলেননা তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন
লন্ডনে আজ আর্সেনাল পিএসজি মহারণ
১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে মামলা, তালিকায় আছেন নুসরাত ফারিয়া-অপু বিশ্বাস-ভাবনাসহ অনেকেই
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল
স্বর্ণের দাম, রেকর্ড উচ্চতা থেকে পতনের পথে
কুমিল্লায় পুলিশ-সেনাবাহিনীর চাকরির নামে প্রতারণা: দালালসহ ১৩ জন গ্রেফতার
১২ বছর বয়সী ছেলে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার