
ছবি: সংগৃহীত
রাখাইনে প্রস্তাবিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান। তার মতে, এই করিডোর স্থাপন সংক্রান্ত পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইন, নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্নবিদ্ধ।
তিনি বলেন, এই করিডোর কোথা থেকে কোথায় যাবে, কোন ভূমি ব্যবহার করে স্থাপন করা হবে, এবং কে বা কারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে—এসব বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।
তিনি আরও জানান, বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে করিডোর স্থাপনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর লিখিত সম্মতি প্রয়োজন হয়। কিন্তু রাখাইনের দুই সংঘাতরত পক্ষ—মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির—কোনো পক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তিনি সতর্ক করে বলেন, একপক্ষের সম্মতি ছাড়া করিডোর স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী হতে পারে। জাতিসংঘের অধীনে হলেও, নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়া এটি বৈধ হবে না।
মুনীরুজ্জামান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, করিডোরটি ‘ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক’ হবে—তা নিশ্চিত নয়। ভবিষ্যতে ওই করিডোর ব্যবহারে বিপরীত দিক থেকে অনুপ্রবেশ বা অন্যরকম নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা যদি আইন ভঙ্গ করে অন্য দেশে করিডোর স্থাপন করি, ভবিষ্যতে কেউ আমাদের দেশের ভেতরেও একই দাবি তুলতে পারে।
তার মতে, এই ধরনের পদক্ষেপ যদি বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে তা কতটা আইনসম্মত—তা খতিয়ে দেখা জরুরি। তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার দিকে নজর না দিয়ে এই উদ্যোগ চালানো হলে, তা আমাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদে বিপদ ডেকে আনতে পারে।
তথ্যসূত্র:https://youtu.be/ujp3BmGWNY0?si=HEtLagVyVUKQ7FZk
এসএফ