
ছবিঃ সংগৃহীত
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে ভারতের নজরদারি এবং সেনা তৎপরতা বেড়েছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী জল, স্থল ও আকাশপথে নজরদারির মাত্রা বাড়িয়েছে। সীমান্তে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক রাডার, নাইট ভিশন ক্যামেরাসহ ড্রোন। এ অবস্থায় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস-এর খবরে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের হাসিমারা এবং বাগডোগরা বিমান ঘাঁটিতে রাফাল যুদ্ধবিমান মোতায়েনের প্রস্তুতি নিয়েছে ভারত। এমনকি সিআইবিএম (কম্প্রিহেন্সিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)-এর আওতায় সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নিশ্ছিদ্র করা হচ্ছে।
এই অতিরিক্ত সতর্কতার মূল কারণ হিসেবে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্তেজনাকেই দায়ী করা হচ্ছে। কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে যেকোনো সময় সঙ্ঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমন এক প্রেক্ষাপটে ইসলামাবাদ বাংলাদেশের সাথে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারের বার্তা দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বাংলাদেশকে এ বিষয়ে ইতিবাচক আহ্বান জানান। তবে এই ঘনিষ্ঠতা ভালোভাবে দেখছে না দিল্লি। ভারতের ধারণা, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতের ওপর আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে।
সীমান্তে এই সম্ভাব্য হুমকিকে সামনে রেখে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ করে কাটাতারবিহীন এলাকাগুলোতে নাইট ভিশন ক্যামেরা, সিসিটিভি এবং ড্রোন ব্যবহার করে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত প্রায় ৪০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ, যার বেশিরভাগই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে। এই দীর্ঘ সীমান্তকে নিরাপদ রাখতে আধা সেনা ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে।
বর্তমানে সীমান্তজুড়ে ভারতের এমন প্রস্তুতি ও কার্যক্রম বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে ঢাকা।
মারিয়া