
ছবি: প্রতীকী
১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের মধ্য দিয়ে উপমহাদেশে নতুন সংকটের সূচনা হয়। পাকিস্তানের অংশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। দীর্ঘ সময় শাসন ও শোষণের পর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালিত হলেও প্রতিবেশী ভারতের প্রভাব সবসময়ই দৃশ্যমান ছিল। ভারতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশ বহুবার নানা সমঝোতায় যেতে বাধ্য হয়েছে। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের এই নির্ভরশীলতার চিত্র বদলাতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ এখন আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীন সিদ্ধান্তে অটল অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে ভারত অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নানা সংকটে জর্জরিত। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অসন্তোষ, কাশ্মীর ইস্যু এবং পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার কারণে মোদি সরকারের উপর চাপ বেড়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, যুক্তরাষ্ট্রের আগের সমর্থনও এখন কমে এসেছে।
বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখার পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ শান্তি চায় এবং কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে প্রয়োজনে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত। তবে এটি ভারতের ও পাকিস্তানের সম্মতির ওপর নির্ভর করবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মধ্যস্থতা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বাংলাদেশের কূটনৈতিক শক্তি বাড়িয়েছে। এখন দেখার বিষয়, ভারত ও পাকিস্তান বাংলাদেশের প্রস্তাবে সাড়া দেয় কিনা।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=LcOyHlooxlw
রাকিব