ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

শিবির ট্যাগিং করে কাউকে বঞ্চিত করলে পরিণতি ভালো হবে না: আবু সাদিকের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: ০১:৩৫, ২৯ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০১:৩৬, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

শিবির ট্যাগিং করে কাউকে বঞ্চিত করলে পরিণতি ভালো হবে না: আবু সাদিকের হুঁশিয়ারি

ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ছাত্রশিবির সংশ্লিষ্ট কোনো যোগ্য ব্যক্তিকে যদি প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়, তবে তার পরিণতি ভালো হবে না।

রোববার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে সাদিক কায়েম এ মন্তব্য করেন। তিনি আবিদ রাফি নামে এক তরুণের বিমান বাহিনীতে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে প্রকাশিত অভিযোগের পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, "শাহবাগ কায়েমের মাধ্যমে হাসিনা জামায়াত ও ছাত্রশিবির সংশ্লিষ্টদের মৌলিক অধিকার হরণ করেছিল। এখনো কেউ যদি জামায়াত-ছাত্রশিবিরের প্রতি সমর্থন বা সমমনা হয়, তাকে ট্যাগিং করে মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা চলছে।"

সাদিক কায়েম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "কথা ছিল খুনী হাসিনার পতনের পর এই ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতি কবর রচিত হবে। অথচ এখনো ছাত্রশিবির ট্যাগ দিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে।"

আবিদ রাফির ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়, তিনি নৌবাহিনীর অফিসার ক্যাডেট পদে মেডিকেল পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষার সময় তার বাড়ি সাতকানিয়া শুনে তাকে ছাত্রশিবির সংশ্লিষ্ট বলে সন্দেহ করা হয় এবং এরপর থেকে পরীক্ষার আচরণে পরিবর্তন আসে। এক পর্যায়ে মেডিকেল পরীক্ষায় ছোটখাটো দাগকে 'ছিড়াগুলি'র দাগ বলা হয়, যদিও তা ছিল চিকেন পক্সের দাগ।

আবিদ অভিযোগ করেন, তার ভাইভা পরীক্ষার সুযোগও নষ্ট হয়ে যায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "নতুন বাংলাদেশেও কি পুরনো ফ্যাসিস্ট সিস্টেম চলবে? যেখানে রাজনৈতিক চিন্তা ও এলাকার পরিচয় দেখেই বঞ্চিত হতে হয়?"

তিনি আরো বলেন, দাঁড়ি ক্লিনশেভ না থাকায় শুরু থেকেই তার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব দেখানো হয়।
আবিদের প্রশ্ন, "নৌবাহিনীর মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোনো প্রার্থীর ব্যক্তিগত রাজনৈতিক চিন্তা যাচাইয়ের নামে এমন আচরণ কতটা বৈধ?"

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনাটি নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই স্বাধীন মত প্রকাশ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি তুলেছেন।

নুসরাত

×