ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

উত্তেজনার মাঝে বাংলাদেশকে কাছে টানছে পাকিস্তান

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

উত্তেজনার মাঝে বাংলাদেশকে কাছে টানছে পাকিস্তান

ছবিঃ সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগাম ঘটনার পর উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান। পাল্টাপাল্টি হামলার হুমকির মধ্য দিয়ে বাড়ছে যুদ্ধের শঙ্কা। দুই দেশের এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে পাকিস্তান।

দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই পরাশক্তির মধ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যে সীমান্তে বাড়ছে গুলি বিনিময়। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকাকে নিজেদের ঘনিষ্ঠ করতে চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। বাংলাদেশের সাথে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাচ্ছে দেশটি।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর পাকিস্তান আয়োজন করেছে বাংলাদেশের ৫৪তম জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন। ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন খান ও তার স্ত্রী রওশন নাহিদের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন খাজা আসিফ। তিনি জানান, ঢাকা ও ইসলামাবাদ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বাড়াতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্যবান উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তান বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান খাজা আসিফ। পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির প্রশংসা করেন এবং দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এমন মুহূর্তে পাকিস্তান বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদারের কথা বলছে, যখন ভারতের সাথে তাদের সম্পর্ক চরম উত্তেজনাপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর ভারত-বাংলাদেশ সুসম্পর্ক বজায় থাকলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের (শেখ হাসিনার সরকারের পতনের) পর সেই সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দিয়েছে। বিপরীতে, পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা কিছুটা বেড়েছে এবং এখন পাকিস্তান সেই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চাচ্ছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি হলো: "সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রুতা নয়।" অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এই নীতি মেনে শুরু থেকেই ভারতের সাথে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করেছে এবং পাকিস্তানের সাথেও সুসম্পর্ক বজায় রাখার নীতিতে চলেছে। তবে ভারত শুরু থেকেই বাংলাদেশের নতুন সরকারের প্রতি নিরুৎসাহিত মনোভাব দেখিয়ে আসছে।

তবুও বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না। গোটা পৃথিবী যখন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মুখোমুখি, তখন বাংলাদেশ চায় অন্তত এশিয়ার এই অঞ্চলে শান্তি বজায় থাকুক। সেই লক্ষ্যে ভারত-পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতার ভূমিকাও পালন করতে আগ্রহী বাংলাদেশ।

সূত্রঃ https://youtu.be/eOudmbnG40o?si=TiX84CyGrsqvUeLe

ইমরান

×