
ছবি: সংগৃহীত
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাম্প্রতিক মন্তব্য, যেখানে তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গাজার মতো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন, তা নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং এই মুহূর্তে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন দেখছে না।
এই ইস্যুতে যমুনা টিভির টকশো ‘২৪ ঘণ্টা’য় অংশগ্রহণ করে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মনিউল ইসলাম আখন্দ বলেন, "যুদ্ধ এখন আর সরাসরি ময়দানে হয় না, কারণ তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এখন যুদ্ধ হয় প্রক্সি মাধ্যমে, মিডিয়া যুদ্ধ, অর্থনৈতিক যুদ্ধ, কূটনৈতিক যুদ্ধ, এমনকি পানির যুদ্ধের মাধ্যমে। ভারত ইতোমধ্যে এইসব ক্ষেত্রেই এগিয়ে রয়েছে।"
তিনি বলেন, "ভারত এই ধরনের যুদ্ধ পরিচালনায় আমাদের এবং পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবে বিজেপি নেতার এমন বক্তব্যের তেমন কোনো গুরুত্ব নেই। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং দক্ষিণ ভারত বিজেপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাই আগামী কেন্দ্রীয় ও রাজ্যসভার নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এমন উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলা হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী নিয়মিত অসংলগ্ন কথা বলেন। তবে বাংলাদেশ গাজায় পরিণত হবে—এটি এত সহজ নয়।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী এই অঞ্চলের অন্যতম পেশাদার বাহিনী। আমরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ অবদানকারী দেশ। আমাদের সেনাবাহিনী আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত। যদিও সংখ্যায় ভারতের সেনাবাহিনী বড়, তবুও ভারতকেও চারদিকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। পাকিস্তান সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন রয়েছে, কাশ্মীরে তিন লাখের বেশি সেনা রয়েছে, চীন সীমান্তে বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, এছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতেও বড়সড় মোতায়েন আছে।"
মনিউল ইসলাম আখন্দ ব্যাখ্যা করে বলেন, "বাংলাদেশ আক্রমণ করতে হলে ভারতের অন্তত ৬ থেকে ৮ লাখ সেনার প্রয়োজন হবে, কারণ আক্রমণকারী বাহিনীর শক্তি প্রতিরক্ষাকারীর তুলনায় কমপক্ষে তিনগুণ বড় হওয়া চাই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত প্রশিক্ষিত ও ঐক্যবদ্ধ।"
দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, "আমি সবাইকে নিশ্চিত করতে চাই—বাংলাদেশের কোনো বাহ্যিক হুমকি নেই। এসব অসংলগ্ন কথাবার্তায় কান দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।"
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=-fyrzkQHlPI
আবীর