
পঞ্চগড়ে এক গণসমাবেশে ভারতের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, তিন দিক থেকে ত্রিমুখী যুদ্ধ শুরু হলে ভারত টিকতে পারবে না। নুরুল হক নুর বলেন, "ভারতের অন্যদিকে দখল হয়ে যাচ্ছে। চীন, পাকিস্তান সামাল দিতে তাদের জান শেষ। বাংলাদেশের সাথে লাগতে আইসেন না। তিনদিক থেকে ত্রিমুখী যুদ্ধ যদি শুরু করে, টিকতে পারবেন না।"
শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কের মুক্তমঞ্চে গণ অধিকার পরিষদ পঞ্চগড় জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে এসব কথা বলেন নুরুল হক নুর।
নুর বলেন, "ওপারের কিছু উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী, যারা ধর্মের নামে রাজনীতি করে একটা শংকা সৃষ্টি করতে চায়। পশ্চিমবঙ্গের কিছু লোকেরা কিছু হলেই মুসলমানদের নিয়ে গালি দেয়, কিংবা বলে এইখানে তারা ঢুকবে, এইখানে তারা দখল করবে। এই ধরনের উস্কানিমূলক কথাবার্তি বলে শুভেন্দু অধিকারীসহ বিজেপির কিছু লোকজন। তারা বাংলাদেশ দখলের কথা বলে। বাংলাদেশ দখল করা এত সহজ? এত সহজ না।"
নুর আরও বলেন, "প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে আমরা চাই ভারতের সাথে আমাদের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হবে। একটা ন্যয্যতার সম্পর্ক হবে। গোলাগুলির সম্পর্ক নয়।"
নুরুল হক নুর বলেন, "আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে আমাদের দেশের মানুষ সীমান্তে মারা গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে একটা প্রতিবাদ করে নাই। বরঞ্চ সরকারের মন্ত্রীরা নির্লজ্জ বেহায়ার মত বলেছে ভারতের সাথে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক।"
তিনি আরও বলেন, "এই নির্লজ্জ বেহায়ারা জনগণের প্রতিরোধের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে এখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে নাম পরিবর্তন করেছে, মুসলমান থেকে হিন্দু নাম নিয়েছে বাঁচার জন্য।"
নুর বলেন, "এটা প্রমাণিত যে আওয়ামী লীগ ভারতের একটা এক্সটেনশন। এরা ভারতের দাসত্ব করার জন্য এখানে রাজনীতি করে। এই জুলাইয়ের গণভথানে শুধু আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটায়নি, এই দেশের জনগণ ভারতীয় আধিপত্যবাদকেও উচ্ছেদ করেছে।"
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কোনো ঠাঁই থাকবে না। আওয়ামী লীগ দেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন জঘন্য গণহত্যা ও বর্বরতার পর কোনো রাজনৈতিক দল টিকে থাকতে পারেনি।"
সুত্র:https://tinyurl.com/4pk4wum3
আফরোজা