
ছবি: সংগৃহীত
দেশজুড়ে বিদ্যুৎচাহিদা বাড়ায় শুধু গ্রাম নয়, শহরেও লোডশেডিং হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। রোববার (২৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট, যেখানে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। এই ঘাটতির কারণে লোডশেডিং পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে না। তবে চাহিদা অনুযায়ী তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বাড়িয়ে লোডশেডিংকে সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা চলছে।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা জানান, গ্যাস সংকট মোকাবিলায় অতিরিক্ত দুটি এলএনজি কার্গো আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, "এলএনজি আমদানি সম্ভব হলে গ্যাস সংকট কিছুটা কমবে, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও।"
শনিবার (২৬ এপ্রিল) 'বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত "এনার্জি ক্রাইসিস: ওয়ে ফরওয়ার্ড" শীর্ষক সেমিনারেও ফাওজুল কবির খান বলেছিলেন, "গ্রীষ্মকালে লোডশেডিং সহনীয় মাত্রায় রাখার চেষ্টা করা হবে। তবে পুরোপুরি লোডশেডিং মুক্ত থাকা সম্ভব হবে না। এজন্য অতিরিক্ত এলএনজি ও কয়লা আমদানি করার চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে জ্বালানি তেলের ব্যবহারও সীমিত রাখা হবে।"
তিনি বলেন, "বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৬ হাজার মেগাওয়াট। এর মধ্যে সামান্য ১৭৯ মেগাওয়াটের ঘাটতি রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ১৮ হাজার মেগাওয়াট পূরণে আমরা কাজ করছি।"
অর্থনীতির অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমাদের অর্থনীতি নিম্নমুখী ছিল, এখন তা স্থিতিশীল। আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবো বলে আশা করছি। তবে গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না। একইভাবে লোডশেডিং হবে।"
বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় কোনো পাওয়ার প্ল্যান্ট হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, "বিশেষ করে গরমকালে এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই এসব মাথায় রেখেই এলএনজি ও কয়লা আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"
ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, "খরচ কমানোর জন্য জ্বালানি তেলের ব্যবহার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখা হবে। তবে মনে রাখতে হবে, 'ক্রাইসিস' শব্দেরও একটি মাত্রা থাকা উচিত। অনেক সময় ছোট সংকটকে রাজনৈতিক সুবিধার জন্য বড় করে তোলা হয়, যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে। তাই সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে।"
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/f0zBmo7SKnY?si=QX_MTyGI6aODRd74
এম.কে.