
ছবি: সংগৃহীত।
দেশে এখন সংযোজন করা হচ্ছে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড মার্সিডিজ, মিতসুবিশি ও প্রোটনের গাড়ি। উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, আমদানি করা নতুন গাড়ির মতোই এসব দেশে সংযোজিত গাড়ির গুণগত মান নিশ্চিত করা হচ্ছে। রিকন্ডিশন যানবাহনের তুলনায় দেশে তৈরি এই নতুন গাড়িগুলো বেশি পরিবেশবান্ধব বলেও দাবি করছেন তারা।
উদ্যোক্তাদের আশা, সরকারের নীতিগত সহায়তা অব্যাহত থাকলে আগামী জুন মাস থেকেই পুরনো গাড়ির দামে দেশে সংযোজিত নতুন গাড়ি কেনা সম্ভব হবে।
জাপান বা চীন নয়, এই গাড়ির কারখানাটি স্থাপিত হয়েছে রাজধানী ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের কাশিমপুরে। দেশীয় টেকনিশিয়ানদের দক্ষ হাতে তৈরি হচ্ছে মার্সিডিজ বেঞ্জ, মিতসুবিশি এবং মালয়েশিয়ান ব্র্যান্ড প্রোটনের গাড়ি।
এসব গাড়ির ইঞ্জিনসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সরাসরি আমদানি করা হয় বিশ্বখ্যাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে। এরপর সেগুলো নিপুণভাবে সংযোজনের মাধ্যমে রূপান্তরিত হয় পূর্ণাঙ্গ গাড়িতে।
এক উদ্যোক্তা বলেন, "আমরা যে প্রোডাক্ট তৈরি করছি, আশা করি বাজারে যখন এটি আসবে, তখন 'মেড ইন বাংলাদেশ' ট্যাগসহ একটি উচ্চমানের প্রোডাক্ট আপনাদের উপহার দিতে পারবো।"
প্রতিটি গাড়ি উন্নত প্রযুক্তির পেইন্ট শপ ও অ্যাসেম্বলি লাইন অতিক্রম করে। ব্র্যান্ড প্রতিনিধিরা বলছেন, বাংলাদেশের সস্তা শ্রম ও বড় বাজারের কারণে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর সংযোজন কারখানা স্থাপনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে এখানে।
ফিনিশিংয়ের পর প্রতিটি গাড়ির কঠোর মান পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় গুণগত মান। উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশে সংযোজন করা হলেও মানের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
তাদের ভাষায়, "আমরা বাংলাদেশের জনগণের জন্য কোয়ালিটি সম্পন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যের গাড়ি দিতে চাই। আমাদের গাড়ির সাথে থাকবে ফাইভ ইয়ার্স ওয়ারেন্টি এবং বিক্রয়োত্তর সেবা।"
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিখ্যাত ব্র্যান্ডের গাড়ি সংযোজনকারী কোম্পানিগুলোকে সমান সুযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি, দেশের অবকাঠামো সুবিধা এবং দক্ষ জনশক্তিকে বিবেচনায় রেখে আরও বড় পরিসরে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
তাদের মতে, "ভালভাবে বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আশপাশের দেশে গাড়ি রপ্তানিরও সুযোগ পেতে পারে। সংযোজন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে যেতে এক সময় দেশে পুরো গাড়ি নির্মাণের সক্ষমতা অর্জন সম্ভব। এজন্য এখন থেকেই সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।"
নুসরাত