
ছবি: সংগৃহীত
নিজের বাবার একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স বাতিলের প্রসঙ্গে ফেসবুকে খোলাখুলি ব্যাখ্যা ও ক্ষমা চেয়ে আলোচনায় এসেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বাবার পুরোনো লাইসেন্স ইস্যুতে সমালোচনার মুখে পড়ার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এর দায় স্বীকার করেন।
এই প্রসঙ্গে দীপ্ত টিভির একটি টকশোতে সাবেক সচিব ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবু আলম মোহাম্মদ শহিদ খান বলেন, “আমি উনার ফেসবুক পোস্টটি দেখেছি। উনার বাবার আবেদনের ভিত্তিতে যে ঠিকাদারি লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, এটা সর্বশেষ তথ্য। তিনি (আসিফ মাহমুদ) নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন যে হয়তো কেউ উনার বাবাকে ভুল বুঝিয়ে এই আবেদনে উৎসাহিত করেছিল। কিন্তু তিনি যা করেছেন, সেটাই ব্যতিক্রম এবং প্রশংসনীয়।”
সাবেক সচিব আরও বলেন, “এ ধরনের পদক্ষেপ এর আগে কোনো মন্ত্রী, সচিব কিংবা উপদেষ্টার কাছ থেকে আমরা দেখিনি। লাইসেন্স ইস্যু করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়, আর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স ইস্যু করে। এছাড়া, প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট সময় লাইসেন্স নবায়নের সুযোগও দেওয়া হয়।”
তিনি বলেন, “আমি এটিকে বড় কোনো দুর্নীতি হিসেবে দেখি না। বরং একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে তিনি লাইসেন্স বাতিল করিয়ে সঠিক কাজটি করেছেন। এটি আমাদের সবার জন্য একটি শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত। কারণ, সরকারি কোনো পদে দায়িত্বে থাকলে তার আত্মীয়স্বজন ওই জায়গায় ব্যবসা করতে পারেন না। এটি আমাদের সরকারি সেবা বিধিমালা ও কন্ট্রাক্ট রুলসেও স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। মন্ত্রীদের শপথেও এ বিষয়টি বলা হয়।”
সাবেক এই আমলা আরও বলেন, “এই ঘটনাটি কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট বা স্বার্থের দ্বন্দ্ব কীভাবে এড়িয়ে চলা যায়, তার একটি ভালো উদাহরণ হয়ে থাকবে।”
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=D_W3vT0unTw
আবীর