
রোহিঙ্গা সংকট আগামীতে আরও জটিল হতে পারে
রোহিঙ্গা সংকট আগামীতে আরও জটিল হতে পারে। মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে নন স্টেট অ্যাক্টর আরাকান আর্মি বেশিরভাগ এলাকা দখল করায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। এখন শুধু জান্তা সরকার নয়, আরাকান আর্মিও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে আর্বিভূত হচ্ছে। সেই কারণে আগামীতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আরও কঠিন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
খোদ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন পর্যন্ত বলেছেন, আরাকান আর্মি গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইসুতে আরাকান আর্মির সঙ্গে আলোচনা শুরুর আগেই জান্তা প্রশাসন কড়া বার্তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে। সব মিলে আগামীতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুধু কঠিন নয়, এক প্রকার দুরূহই মনে হচ্ছে।
কূটনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। কারণ জাতিসংঘসহ দাতাসংস্থাগুলো সুস্থ ও সঠিক প্রত্যাবাসন ছাড়া রাখাইনে রোহিঙ্গা পাঠানো ঠিক হবে না। সেই কারণে গত বছরে চীনের মধ্যস্থতায় রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এক প্রকার স্থগিত হয়ে গেছে। এর আগে ২০২৩ সালে চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও জান্তা কর্তৃপক্ষ রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি হয়।
এলক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল রাখাইনের বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখে। এই সময়ে প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সরেজিমন দেখার পর রোহিঙ্গা নেতারা নিজ ভূমিতে সুস্থ প্রত্যাবাসনের বিরোধিতা করেন। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থাও এই সময়ে সঠিক প্রত্যাবাসন ছাড়া রোহিঙ্গাদের পাঠানো ঠিক হবে না বলে মত দেন। এর মধ্যেই রাখাইন অঞ্চলে নন স্টেট অ্যাক্টর আরাকান আর্মি দখল নেয়। বর্তমানে রাখাইনের প্রায় ৯০ শতাংশ ভূমির দখলে আরাকান আর্মি। সংগঠন জান্তা বাহিনীর কর আদায়ের মতো রীতিমতো চাঁদা আদায় করছে সীমান্তের বিভিন্ন খাত থেকে।
চলতি সপ্তাহে কাতারের দোহায় এক সেমিনারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমানে রোহিঙ্গা সংকট কেবল একটি মানবিক সমস্যা নয়; এটি একটি বহুমাত্রিক সংকট, যার সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব রয়েছে।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ প্রায় ১৩ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিককে (রোহিঙ্গা) আশ্রয় দিয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ৩২ হাজার নবজাতক যুক্ত হচ্ছে। নানা চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও শুধু মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিচ্ছে। বাংলাদেশ মনে করে, এ সংকটের একমাত্র সমাধান হচ্ছে টেকসই প্রত্যাবাসন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাখাইনের পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। আরাকান আর্মি (এএ) বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ২৭১ কিমি এবং রাখাইনের ১৭টির মধ্যে ১৪টি টাউনশিপ নিয়ন্ত্রণ করছে।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির তথ্যানুযায়ী, রাখাইনে মোট অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১ জন রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গা দীর্ঘমেয়াদে ২১টি ক্যাম্প ও তিনটি গ্রামে বসবাস করছে। নতুন করে বাস্তুচ্যুত ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮০৫ জন (অধিকাংশ রাখাইন) ১ হাজার ২১৯টি স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ রোহিঙ্গাদের নাজুক পরিস্থিতি অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্যানুসার, গত ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে আরাকান আর্মির হামলার মুখে ৯০৯ জন মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে ৮৭৫ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং ৩৪ জনকে শীঘ্রই পাঠানো হবে। তবে আনঅফিসিয়ালি সূত্রে জানা গেছে, শুধু ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন এবং রাখাইনে আরাকান আর্মির প্রভাব বাড়ার কারণে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সীমানার ওপারে অবস্থান করছে আরও অনেকে।
আরাকান আর্মি গলার কাঁটা ॥ আরাকান আর্মি বর্তমানে রাখাইনের বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ২৭১ কিলোমিটারের দখল নন স্টেট অ্যাক্টরের হাতে। এই গোষ্ঠী আবার শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব সম্পন্ন। রোহিঙ্গা নিয়ে গোষ্ঠীটির ধারণা ইতিবাচক নয়। কিন্তু রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনার বিকল্প নেই। কিন্তু সেই প্রক্রিয়াতেও বাধা আসছে। বিশেষ করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার আরাকান আর্মির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করছে।
খোদ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গত ১৮ এপ্রিল সাংবাদিকদের বলেছেন, আরাকান আর্মি এখন গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এটি এখন বড় অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে। আমরা এখন আরাকান আর্মিকে ফেলতেও পারছি না আবার গিলতেও পারছি না।
কমছে জেআরপি ॥ রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবিলায় যৌথ সহায়তা পরিকল্পনার (জেআরপি) অর্থায়ন ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। ২০২৪ সালে জেআরপি ৮৫২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার আহ্বান করা হলেও প্রাপ্ত অর্থ ৬৪ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থাৎ ৫৪৮ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার। ২০২৫-২৬ সালের জেআরপি ২০২৫ সালের ২৪ মার্চ শুরু হয়। এর আওতায় ১৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন মানুষ রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে প্রয়োজন ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশী সাহায্য হ্রাস করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
আরাকান আর্মির সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ, ক্ষুব্ধ জান্তা ॥ বাংলাদেশ সরকার ও মিয়ানমারের আরাকান আর্মির মধ্যে যোগাযোগের বিষয়টি সামনে আসার পর, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ঢাকায় কূটনৈতিকভাবে পাঠানো এক পত্রে জান্তা সরকার এই যোগাযোগকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখ করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি চিঠি পাঠিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আরাকান আর্মির ‘যোগাযোগের বিষয়ে’ অসন্তোষ জানানো হয়। জান্তা সরকারের দাবি, আরাকান আর্মি একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ এবং ‘নন-স্টেট অ্যাক্টর’। ‘একটা সন্ত্রাসী সংগঠন ও নন-স্টেট অ্যাক্টরের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার কীভাবে যোগাযোগ করে’ সেই প্রশ্নও রেখেছে জেনারেল মিন অং হ্লায়িংয়ের সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মিয়ানমারের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই কূটনৈতিক জানান, চিঠির জবাব প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং উপযুক্ত ভাষায় মিয়ানমার সরকারকে উত্তর পাঠানো হবে। আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি মূলত প্রকাশ্যে আসে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে।
বিগত সময়ে আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ থাকলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান। ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে খলিলুর রহমান বলেছিলেন, বাংলাদেশ আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। যেদিন আরাকান আর্মি সীমান্তে তাদের পতাকা উত্তোলন করেছিল, সেদিনই বুঝতে পেরেছিলাম যে এটি একটি নতুন বিশ্ব। ফলে তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।
আমি বুঝতে পেরেছিলাম আরাকান আর্মিকে একটি সংকেত পাঠানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একটি নির্দিষ্ট স্তরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের আগে বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত জুলি বিশপের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বলে অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে মিয়ানমার অনুবিভাগ নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশের সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ বিগত সময়ে হয়েছে। তবে এটি কখনো প্রকাশ্যে আনা হয়নি। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। শুধু তা-ই নয়, মিয়ানমারে থাকা বাংলাদেশের একটি মিশনও অনানুষ্ঠানিকভাবে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করত। জান্তা সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে। সেই কারণে চলমান পরিস্থিতি ও কূটনৈতিক সম্পর্ক উভয় দিক বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশকে এগোতে হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে গেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান চুলিক নিকোল, পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু আর হেরাপ এবং মায়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসন। সফরকালে তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন, রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান ও পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিনের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
এসব বৈঠকের রোহিঙ্গা ফান্ডে অর্থায়ন কমে যাওয়া, তাদের সঠিক প্রত্যাবাসন ও মিয়ানমারসহ আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই পক্ষ রোহিঙ্গা সমস্যাকে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের সুস্থ প্রত্যাবাসনসহ আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জীবনধারণের জন্য আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখার জোর দাবি জানিয়েছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবপক্ষকে নিয়ে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নেওয়ার আলোচনায় জান্তা সরকার ॥ চলতি মাসের শুরুতে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন মিয়ানমারের জান্তা সরকারপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লায়িং। বৈঠকের পর ৪ এপ্রিল অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে জান্তা সরকার জানায়, ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া ৮ লাখের তালিকা থেকে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে চূড়ান্ত যাচাই করার কথা জানিয়েছে মিয়ানমার।
শুধু তাই নয়, যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের প্রত্যাবাসনও করা হবে রাখাইনে। তবে রাখাইনের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে জান্তা সরকারের ঘোষণাকে কিছুটা কৌশল হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ তারা বলছেন, রাখাইনের বেশিরভাগ এলাকা এখন নন স্টেট অ্যাক্টর আরাকান আর্মির দখলে সেই কারণে সেখানে কিভাবে প্রত্যাবাসন সম্ভব সেটি দেশটির সরকার বলছে না। এটি তাদের কূট কৌশলের অংশ হিসেবে দেখছেন তারা।