ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

বাউফলে জামিন অযোগ্য আসামীকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দিলেন পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী।

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

বাউফলে জামিন অযোগ্য আসামীকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দিলেন পুলিশ

ছবিঃ প্রতিবেদক

বাউফলে জামিন অযোগ্য একটি মামলার আসামীকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তার নাম জিহাদ হোসেন (৩৫)। বাবার নাম আলাউদ্দিন ব্যাপারী। বাউফলের সূর্যমনি ইউনিয়নের নুরাইনপুর গ্রামে তার বাড়ি।

জানা গেছে, জিহাদ ব্যাপারী বিরুদ্ধে বাউফল থানায় বাংলাদেশ দন্ডবিধির ধারা ১৪৩, ১৪১, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৭, ৩৭৯ ও ৫০৬ ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়। (মামলা নম্বর-১৫ তারিখ ৮/৪/২৫) ওই মামলায় জিহাদ তিন নম্বর আসামী। বাউফল পৌর ছাত্রদলের তিন নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি  শাহিন খান বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য সূত্র জানায়, বাউফল থানার এসআই ইব্রাহিম ওই মামলার তিন নম্বর আসামী জিহাদ হোসেনকে আজ শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) তার নুরাইনপুরস্থ গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন এবং ওই সময় তার সঙ্গের পুলিশ সদস্য জিহাদকে হাতকড়া পরান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতক্ষদর্শী জানান, জিহাদকে হাতকড়া পরানোর কিছুক্ষন পর হাতকড়া খুলে দেয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে পুলিশের সাথে আাপোষ রফার পর তার হাতকড়া খুলে তাকে মুক্ত করা হয়।

জিহাদ হোসেন পতিত আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সাথে তার ছবি রয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী ও বাউফল পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের  ছাত্রদলের সভাপতি শাহিন হোসেন বলেন, ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন  ছাত্র লীগের কর্মীরা আমার উপর হামলা করে। এ ঘটনায় আমি বাউফল থানায় মামলা করি। এ মামলায় জিহাদ হোসেন তিন নম্বর আসামী। পুলিশ শুক্রবার সকালে জিহাদ হেসেনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর শুনলাম তাকে ছেড়ে দিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর কিভাবে ছেড়ে দিয়েছে তা আপনাদের মাধ্যমে জানতে চাই।’

অভিযুক্ত এসআই ইব্রাহিম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার সিনিয়রদের সাথে কথা বলেন।’ এ ব্যাপারে বাউফল থানার নবাগত ওসি আক্তারুজ্জামান স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ বিষয়ে মামলার সাথে আসামীর সম্পৃক্ততা  না থাকলে তাকে ছেড়ে দিতেই পারে।’

এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি(তদন্ত) আতিকুল ইসলাম স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেন।’

পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার জাহিদ আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে ছুটিতে ঢাকা আছি। খোঁজ নিচ্ছি।’

পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতের আইনজীবী উজ্জল বোস বলেন, ‘জিহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা হয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি ধারা আছে জামিন অযোগ্য। তাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠাবেন এটাই নিয়ম।’

আরশি

আরো পড়ুন  

×