ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

জনগণ সাফার করছে, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিন

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

জনগণ সাফার করছে, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিন

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘বর্তমানে একটা নির্বাচন কমিশন রয়েছে। তারা বলছে, ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো নাকি নির্বাচন উপহার দেবে। আমরা তাদের অ্যাসিড টেস্ট দেখতে চাই। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে তাদের জাতীয় নির্বাচনে দেশ চলবে পাঁচ বছর। জনগণ এখন সাফার করছে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিধি না থাকার কারণে। আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনটা দিন। আমরা দেখি আপনাদের সদিচ্ছা এবং সক্ষমতা কতটুকু। যদি এতে জনগণ সন্তুষ্ট হয়, জনগণের পরবর্তী খেদমতের জন্য আপনাদের পূর্ণ সমর্থন করবে।’

আজ শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘নারী অধিকার সংস্কারের নামে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট জমা হয়েছে। সেই রিপোর্টের বেশ কিছু জায়গায় কোরআন ও সুন্নাহর সম্পূর্ণ খেলাপ কিছু সুপারিশ জমা হয়েছে। কিন্তু যাঁরা এই সুপারিশ পেশ করেছেন, তাঁরা এ দেশের সাড়ে ৯ কোটি মায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তাঁরা যে জায়গায় সমাজকে নিতে চান, সেটা হতে দেওয়া হবে না। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলেই এটি বাতিলের জন্য আহ্বান জানানো হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য রমজানে কিছুটা সহনীয় ছিল, মানুষ কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছিল। এখন আবার উত্তপ্ত হচ্ছে। আমরা সরকারকে বলব সেদিকে নজর দিন।’

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘যারা সাড়ে ১৫ বছর এবং শেষ প্রান্তে এসে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের কাউকে আইনের বাইরে রাখবেন না। তাদের বিচার নিশ্চিত করুন। বিগত সরকার সাড়ে ১৫ বছরে যে জঞ্জাল সৃষ্টি করেছে, তার পর্যাপ্ত ন্যায়ানুগ সংস্কার করুন। কালো টাকা ও পেশিশক্তি থেকে বের হয়ে আসার জন্য সমস্ত মানুষের ভোট এবং সঠিক প্রতিনিধিত্ব সংসদে নিশ্চিত করার জন্য পিআর সিস্টেমে ভোট নিশ্চিত করতে হবে।’ জামায়াতের আমীর বলেন, ‘আমরা শুনতে পারছি, সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে—নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ। মোট কর্তৃত্ব থাকবে নিম্নকক্ষের হাতে। সেটা বর্তমান পদ্ধতিতে। আর উচ্চকক্ষের প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে পিআর সিস্টেমে। উচ্চকক্ষ যদি পিআর সিস্টেমের প্রয়োজন হয়, তাহলে নিম্নকক্ষ নয় কেন? একই দেশে দুই কক্ষের প্রয়োজনটা কী; দুনিয়ার ৬২টা দেশ পিআর সিস্টেমে নির্বাচন করে। সম্প্রতি ইউরোপ সফর করে এলাম, সেই ইউরোপের ২৬টা দেশের মধ্যে ১৬টা দেশ পিআর সিস্টেমে নির্বাচন করে। তারা যদি সেই সুফল ভোগ করতে পারে, তাহলে আমরা জাতিকে বঞ্চিত করার কে। সুতরাং এই অধিকার জাতির হাতে তুলে দিতে হবে। এটা যাঁরা মানবেন না, তাহলে বুঝতে হবে বিচার মানি তালগাছটা আমার। আমরা বলব, বিচার মানুন, রায়ে তালগাছ যার তার হাতে চলে যাবে। এবং সেই বিচারটা হতে হবে ন্যায়বিচার।’

 

 

ভিডিও লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=2fd7GajF0kQ

শিহাব

×