
ছবি: সংগৃহীত
যমুনা টেলিভিশনের একটি টকশোতে উপস্থাপক প্রশ্ন তোলেন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা যুদ্ধাংদেহী মনোভাব এবং সামরিক প্রস্তুতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে। উত্তরে সাংবাদিক ও কলামিস্ট আনিস আলমগীর বলেন, “গত দুই দিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। কী হতে যাচ্ছে—সেটি নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা কাজ করছে।”
তিনি বলেন, “কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়েছেন। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, এই হামলা পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ইন্ধনে সংঘটিত হয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের কাশ্মীর ইস্যুতে সাম্প্রতিক এক বক্তব্যকে ঘিরে সন্দেহের তীর পাকিস্তানের দিকেই।”
আনিস আলমগীর আরও বলেন, “অন্যদিকে নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জাতীয়তাবাদী আবেগ জাগিয়ে তুলতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনার কৌশলগত ব্যবহার করছেন। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর যেমন তিনি বালাকোট স্ট্রাইকের মাধ্যমে রাজনৈতিক সুবিধা নিয়েছিলেন, এবারও হয়তো তেমন কিছু ঘটতে পারে।”
তিনি আরও জানান, “ভারত ইতোমধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে পানি সরবরাহ চুক্তি বাস্তবায়নে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে তোলা এবং আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে কিছু নেতার বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য দেওয়া শুরু করা।”
বাংলাদেশের জন্য করণীয় বিষয়ে আনিস আলমগীর বলেন, “আমাদের এখানে খুবই সতর্ক হতে হবে। আমাদের বক্তব্য ও অবস্থান হতে হবে সংযত ও নিরপেক্ষ। ভারত বা পাকিস্তান—কারও বিরুদ্ধে যেন বাংলাদেশকে ব্যবহার করা না হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ‘উভয় প্রতিবেশীর সঙ্গে সহাবস্থান’ নীতির প্রতি অঙ্গীকার বজায় রাখা এখন সময়ের দাবি।”
সূত্রঃ https://www.youtube.com/watch?v=7b8kEg5y-hs
আবীর