
ছবিঃ সংগৃহীত
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের মেজো ছেলে সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, "জনগণ ফ্যাসিস্ট সরকারকে ঝাঁটাপেটা করে বিদায় দিয়ে ড. ইউনূসকে "পরোক্ষ নির্বাচনে"র মাধ্যমে ক্ষমতা দিয়েছে।"
তিনি তার স্ট্যাটাসে বলেছেন,
গণতন্ত্র হলো "অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল"- জনগণের মধ্য হতে, জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা।
"বাই দ্য পিপল" এর ব্যখ্যা কি?
মানুষ কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করবে তা তো কোরআন, হাদীস, বাইবেল, তাওরাত এ নেই। ব্যালট পেপারে সীল দিয়েই "বাই দ্য পিপল" এর প্রতিফলন দেখাতে হবে এটা মানব আবিষ্কৃত পদ্ধতি। এর বিকল্প কোন পদ্ধতি কেন হতে/ থাকতে পারবেনা?
ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায়, চার খলিফার কোন খলিফাই ব্যালট পেপারে সীল দিয়ে নির্বাচিত হননি। কিন্তু, তখনো জনমতের প্রতিফলন দেখা যায় ভিন্ন ভিন্ন ফরমে।
ড. ইউনূসও জনগণের দ্বারা 'পরোক্ষভাবে নির্বাচিত'। সংসদে যদি কন্ঠভোটে "হ্যা/না" জয়যুক্ত হতে পারে, তাহলে জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে "জনগণের কন্ঠভোটে" নির্বাচিত ড. ইউনূসকে কেন "জনগণের নির্বাচিত" বলে মেনে নেয়া যাবেনা?
প্রেসিডেন্ট জিয়া, প্রেসিডেন্ট এরশাদ, জেনারেল মঈন যখন দেশের ক্ষমতার মসনদে বসেছিলেন, তখন কি জনগণের ম্যান্ডেট ছিল? কৈ তখন তো কাউকে এ নিয়ে সামান্য কথা বলতে দেখিনি! যিনি যতদিন ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন ততদিন থেকেছেন। কোন রাজনৈতিক দল তো তখন "নির্বাচনের রোডম্যাপ" এর জন্য চিৎকার করেনি। এখন কেন এত চেঁচামেচি?
জনগণ ফ্যাসিবাদ সরকারকে ঝাঁটাপেটা করে বিদায় দিয়ে ডক্টর ইউনূসকে "পরোক্ষ নির্বাচনে"র মাধ্যমে ক্ষমতা দিয়েছে। ফ্যাসিবাদ পরবর্তী নয়া আযাদীর এই সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধ্বংসপ্রাপ্ত সকল কিছু ঠিক করে, যালিমের বিচার সম্পন্ন ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন দেয়ার জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন ততটুকু দিতেই হবে। এর আর কোন বিকল্প নেই।
ইমরান