
ছবিঃ সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা রানা প্লাজার হত্যাকান্ড স্মরণ করে বলেছেন, “রানা প্লাজার হত্যাকান্ড আমার কিশোর জীবনে নতুন উপলব্ধি যোগ করে।”
আজ (২৫ এপ্রিল) উমামা ফাতেমা তাঁর ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ কথা বলেন।
তিনি তার ফেসবুক পোস্টে বলেন,
রানা প্লাজা হত্যাকান্ডের ১২ বছর হয়েছে। বিচার এখনো অধরা রয়ে গেল। গেন্ডারিয়ার জুরাইন কবরস্থানে জুলাইয়ের শহীদ আনাসের কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিলাম। আনাসের কবরের বিপরীতেই রানা প্লাজার বেওয়ারিশ লাশগুলো কবর দেয়া হয়েছিল। কি নিদারুণ অবহেলায় এই মানুষেরা শুয়ে আছেন সেখানে! রানা প্লাজার নিহতদের কবর সংরক্ষণে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ জরুরি। একইভাবে ঘাতক সোহেল রানার বিচার চাই, এর মধ্যদিয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান দেখতে চাই।
নিচের প্রথম ছবিটা হিমু ভাইয়ের। রানা প্লাজার উদ্ধারকার্যে অংশ নিতে গিয়ে তিনি শারীরিক, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে সবকিছু থেকে। ২০১৯ এ তিনি আত্মহত্যা করেন। হিমু ভাইয়ের মৃত্যুর পর দেখেছিলাম, রানা প্লাজার উদ্ধারকর্মী আর আহতরা কতটা ভেঙে পড়েছিলেন ভেতর থেকে। রাষ্ট্রীয় বিচারহীনতা ও নাগরিকের প্রতি অবহেলা দেশের অনেক গভীর ক্ষতি করে, এই ক্ষতি পরিমাপ করা যায় না, কিন্তু প্রভাব টের পাওয়া যায় যখন হিমু ভাই আত্মহত্যা করেন। রানা প্লাজার হত্যাকান্ড আমার কিশোর জীবনে নতুন উপলব্ধি যোগ করে।
সেবার দেখেছিলাম কিভাবে মানুষের জীবন স্রেফ সংখ্যায় পরিণত হয়। আমরা সারাদিন টিভির সামনে বসে থাকতাম, টিভি স্ক্রিনে এক এক করে মৃত্যুসংখ্যা বাড়তে থাকত।
শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের ক্ষোভ একদিনে জন্মায়নি। অনেক ঘটনা ঘটতে হয়, অনেক হারাইতে হয়, বছরের পর বছর স্ট্রাগল করতে হয় এভাবে গণজোয়ারের মাধ্যমে একটা রেজিম ফল করার জন্য। এই লড়াইটাই সত্য, লড়াইটাই শুভ্র। আমরা মৃতদের স্মরণ করব ও জীবিতদের জন্য লড়াই করব।
Never Forgive or Forget.
সূত্রঃ https://www.facebook.com/100008002688625/posts/4063768673899849/?rdid=O41kfkhA6o2IT4YU#
ইমরান