
ছবিঃ সংগৃহীত
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে মামলার তিন নম্বর আসামি, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহাথির হাসান। এর আগে এই হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় আরেক আসামি কামাল শেখ। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালতে এই জবানবন্দি দেন আসামিরা। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, এদের মধ্যে দুই আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
গতকাল (২৩ এপ্রিল) এই মামলার তিন নম্বর আসামি মাহাথির হাসানকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময় মাহাথির হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের খাসকক্ষে নেওয়া হয়। পরে তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মাইনুদ্দিন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে মাহাথিরকে কারাগারে পাঠান আদালত।
এর আগে একই আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন আরেক আসামি কামাল শেখ। এদিন দুপুরে পারভেজ হত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে সিএমএম কোর্ট চত্বরে বিক্ষোভ করেন সহপাঠীরা। তারা বলেন, পারভেজকে যারা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে, তাদের অনেকেই এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তারা।
এই মামলার এক নম্বর আসামি মেহেরাজকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে র্যাব। র্যাব-১ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পারভেজ হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে মেহেরাজ।
র্যাব-১ এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. জাকিউল করিম বলেন, “মেহেরাজ তার শেষ অবস্থান পরিবর্তন করে গাইবান্ধায় চলে যায় এবং আমাদের গাইবান্ধা ইউনিটের সহায়তা ও প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে আমরা গতকাল তাকে আটক করতে সমর্থ হই। বাকি যে সকল এজাহারনামীয় আসামি রয়েছে, তাদেরও গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।”
ব্রিফিং শেষে মেহেরাজকে বনানী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ইমরান