
ছবি: সংগৃহীত।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবোর্ড) বিভিন্ন অফিসে ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রতীক, স্লোগান ও ছবি’ বহাল রাখার অভিযোগ এনেছে সার্বভৌমত্ব আন্দোলন বাংলাদেশ। এ ঘটনাকে শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি ‘চরম অবমাননা’ উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বুধবার বিকেলে সংগঠনটি বাপবিবোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।
রাজধানীর নিকুঞ্জে বাপবিবোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা জানান, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে ২৪ জুলাই আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ওই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার পতনের পথ তৈরি হয়েছিল। অথচ আজও বাপবিবোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, অফিস ভবনের দেয়াল ও বিভিন্ন প্রকাশনায় সেই ফ্যাসিবাদী সরকারের ছবি ও স্লোগান বহাল রয়েছে, যা ‘সরকারি প্রজ্ঞাপনবিরোধী’ এবং শহিদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
সার্বভৌমত্ব আন্দোলনের সংগঠক সজীব আহমেদ বলেন, “এই উপাদানগুলো সংরক্ষণে জড়িত ব্যক্তিরা শুধু একটি দলের দোসর নন—তারা গণতন্ত্র, সংবিধান ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।”
তাদের দাবিসমূহের মধ্যে ছিল: ১. বাপবিবোর্ডের সব অফিস, ওয়েবসাইট, প্রকাশনা ও নথি থেকে রাজনৈতিক প্রতীক, ব্যক্তিপূজামূলক ছবি এবং নিষিদ্ধ স্লোগান অপসারণ।
২. নিষিদ্ধ উপাদান প্রচারে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করে বরখাস্ত ও শাস্তির আওতায় আনা।
নাম প্রকাশ করে তারা আরও দাবি করেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসীম উদ্দিন মুন্সী (সিলেট), শাহজালাল নির্ঝর (জামালপুর), দিলিপ কুমার (খুলনা), নারিফুর রহমান (চট্টগ্রাম-উত্তর), শাহীনুর রহমান (নেত্রকোনা), গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া (সুনামগঞ্জ), সুজিত রায় (বরিশাল), রফিকুল ইসলাম (নাটোর), আব্দুল মজিদ মিয়া (ফরিদপুর), মুস্তাফিজুর রহমান (বাগেরহাট), কাজী মুনিরুজ্জামান (ঝিনাইদহ) ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অরূপ কুমার বিশ্বাস (সিরাজগঞ্জ)—এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ার করে বলেন, প্রয়োজনে গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
সায়মা ইসলাম