
ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে তার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী— ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং রাজনৈতিক পরিমণ্ডল থেকে— তাকে চুপ থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন। কেউ অনুরোধ করছেন, কেউ উপদেশ দিচ্ছেন, আবার কেউ সরাসরি বলে দিচ্ছেন যেন তিনি আপাতত কঠিন সত্যগুলো প্রকাশ না করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, এই পরামর্শগুলোর জবাব তিনি এখনও সরাসরি দেননি, তবে তিনি বিষয়টি অনুভব করার চেষ্টা করছেন।
ফজলুর রহমান বলেন, "এই কারণেই গত সাতদিন আমি মাত্র একবার টকশোতে কথা বলেছি। সেখানে আমি উল্লেখ করেছি, এবারের পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানগুলো আমার কাছে আদৌ ঐতিহ্যবাহী পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতির প্রতিফলন বলে মনে হয়নি। হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির যে নিদর্শন এই দিনে প্রতিফলিত হওয়ার কথা, সেগুলোর কোন সুষ্পষ্ট চিহ্ন এবার দেখতে পাইনি।"
তিনি আরও বলেন, "অনুষ্ঠানগুলোর অনেকটাই বিকৃতভাবে পরিবেশিত হয়েছে, আর যেগুলো আটকানো যাচ্ছিল না, সেগুলো কাটছাঁট করে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর চেয়েও বড় বিষয় হলো, যাঁরা এক সময় পহেলা বৈশাখকে 'বেদাত', 'নাজায়েজ' এবং 'মুসলমানদের কাজ নয়' বলে ফতোয়া দিতেন, তারাই আজ হাজারে হাজারে মাঠে নামছেন, মিছিল করছেন। এমনকি কেউ কেউ ঘোষণা দিয়েছেন যে, তারা গিয়ে চিত্রকলার সামনে গরু জবাই করবেন। সৌভাগ্যক্রমে তারা শেষ পর্যন্ত তা করেননি, তবে গরু জবাই সংক্রান্ত নানা বক্তব্য তারা দিয়েছেন।"
ফজলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, "তাদের অনেককে দেখা গেছে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গান-বাজনার আয়োজন করতেও। আমি নিজ কানে শুনেছি, শিল্পকলার উত্তর গেটে তারা গান গাইছে। তবে সেটা ছিল না পহেলা বৈশাখের কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বরং তা ছিল পহেলা বৈশাখকে অবমানিত ও বিকৃত করার একটি অপচেষ্টা। তারা যেভাবে এই গানগুলো পরিবেশন করেছে, তা বৈশাখী চেতনার সৌন্দর্যকে ব্যঙ্গ করার শামিল।"
তিনি বলেন, “এই কাজগুলো ইতিহাসে লেখা থাকবে। আমি যে কারণে এ কথা বলেছি, তা হলো— এইসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড আমরা ভুলে যেতে পারি না।”
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/g7RVLJxP4Sk?si=TWQUKg-IYWz80DGq
এম.কে.