ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

রায়পুরে বিএনপির দুই কর্মী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১৭

নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২০:১৪, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

রায়পুরে বিএনপির দুই কর্মী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১৭

ছবি: জনকণ্ঠ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন দুই নেতাকর্মী। স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা জসিম উদ্দিন বেপারী হত্যা মামলায় জিএম শামীম গাজীর অনুসারী ১৪ এবং সাইফুদ্দিন হত্যা মামলায় ৪ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, র‌্যাবের সহযোগিতায় রাজধানী ঢাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে জসিম হত্যা মামলায় এবং ৩ জনকে বিএনপি কর্মী সাইজ উদ্দিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

দুইটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। সাইজ উদ্দিনের ভাই হানিফ দেওয়ান ২৬ জনের নামসহ ১৮৬ জনকে এবং জসিম উদ্দিনের বাবা হজল করিম বেপারী ৪৮ জনের নামসহ ৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সরকার পরিবর্তনের পর উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মেহেদী কবিরাজ ও জিএম শামীম গাজীর অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এর জেরে গত ৭ এপ্রিল খাসেরহাট এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেলে প্রতিপক্ষের হামলায় সাইজ উদ্দিন নিহত হন। সেদিন সন্ধ্যায় অন্তত ৩০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট হয়, অগ্নিসংযোগ করা হয় তিনটি বসতঘরে।

আহত জসিম উদ্দিন বেপারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ এপ্রিল মারা যান। এতে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, মামলা তুলে নিতে সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত হামলা চালাচ্ছে, হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

রায়পুর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব সফিকুল আলম আলমাস জানান, সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে দলের ১৫ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ রাখলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রায়পুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জামিলুল হক জানান, "রায়পুরের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। চারটি মামলায় এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।"

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খান বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত থাকবে।”

শিহাব

×