ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

এ টিম আজহারের মুক্তি না হওয়ার কারণ জানালেন শিশির মনির

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

এ টিম আজহারের মুক্তি না হওয়ার কারণ জানালেন শিশির মনির

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মামলায় নতুন করে অগ্রগতি হয়েছে। ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই নেতার বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে, যা এখন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারিত হয়েছে আগামী ৬ মে।

শিশির মনির বলেন, "আমরা এই মামলায় রিভিউ আবেদন করেছি পাঁচটি গ্রাউন্ডে, যেটি লিভ পিটিশনের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে। যেহেতু আগে পাঁচজন বিচারপতির সমন্বয়ে এই মামলার রায় হয়েছিল, তাই এটি এখন সাত বিচারপতির বর্তমান বেঞ্চে শুনানি হবে, যা বর্তমানের ‘ফুল কোর্ট’ হিসেবে ধরা হচ্ছে। কারণ, মামলায় অতীতের বিচারিক সিদ্ধান্ত ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রযোজ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "এটি শুধু একটি ব্যক্তির মুক্তির বিষয় নয়—এখানে কাদের মোল্লা, মীর কাসেম আলী, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ ও কামরুজ্জামানদের ফাঁসির পেছনে যে বিচারিক ভিত্তি ছিল, তা পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের প্রযোজ্যতা আগের রায়ে অস্বীকার করা হয়েছিল, আমরা বলছি, সেটিই বেআইনি সিদ্ধান্ত ছিল।"

জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ও প্রতীক সংক্রান্ত মামলা

জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক সংক্রান্ত মামলাটিও আপিল বিভাগে শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। চার বিচারপতির একটি বেঞ্চে এই মামলার আংশিক শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। শিশির মনির বলেন, “তিনদিন শুনানি হয়েছে। এটি আংশিক শ্রুত হওয়ায়, পরবর্তী শুনানি সেই একই বেঞ্চেই হতে হবে। অন্য কোনো বেঞ্চে স্থানান্তর করা যাবে না।”

প্রধান বিচারপতির বিদেশ সফরের কারণে মামলাটি আপাতত স্থগিত রয়েছে। তিনি ৩০ এপ্রিল দেশে ফিরবেন। এরপর মে মাসের শুরুতে এটি নিয়মিত কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এতে জামায়াতের নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক সংক্রান্ত বিষয়গুলোও নিষ্পত্তি হতে পারে।

শিশির মনির বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা, এটিএম আজহারুল ইসলামের বিচার, তার মুক্তি, জামায়াতের নিবন্ধন এবং প্রতীকের বিষয়গুলো খুব শিগগিরই উচ্চ আদালতের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে আইনিভাবে নিষ্পন্ন হবে।”

তথ্যসূত্রঃ https://youtu.be/6wjzkt_Olxo?si=IlpV_H1_Pn_dzK0P

মারিয়া

×