ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

এখনো টিউলিপ বাংলাদেশের এনআইডি-পাসপোর্টধারী, মিলেছে প্রমাণ

প্রকাশিত: ১২:৩৬, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

এখনো টিউলিপ বাংলাদেশের এনআইডি-পাসপোর্টধারী, মিলেছে প্রমাণ

ছবিঃ সংগৃহীত

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, "আমি বাংলাদেশি নই, আমি একজন ব্রিটিশ নাগরিক।" এই বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক।

তবে বিভিন্ন সরকারি নথি ও উপাত্ত অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, টিউলিপ সিদ্দিক এখনও বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে তালিকাভুক্ত। জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট এবং আয়কর রিটার্নের নথিপত্র অনুযায়ী তিনি একজন বাংলাদেশি নাগরিক এবং ভোটার।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক নামে তার এনআইডি ইস্যু করা হয়। সেখানে তার জন্ম তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮২, রক্তের গ্রুপ B+, এবং ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ আছে: ৫৪, রোড নম্বর ৫, ধানমন্ডি, নিউ মার্কেট পোস্ট অফিস, ঢাকা-১২০৫ — যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনের হোল্ডিং নম্বর হিসেবেও পরিচিত।

টিউলিপ সিদ্দিক ঢাকা শহরের একজন তালিকাভুক্ত ভোটার এবং ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী তার ভোটার নম্বরও নির্ধারিত রয়েছে।

এছাড়া জানা যায়, তার প্রথম বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু হয় ২০০১ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, লন্ডনে। ওই পাসপোর্টে জন্মস্থান হিসেবে লন্ডন, ইউকে উল্লেখ করা হয়েছে এবং পেশা ‘শিক্ষার্থী’ হিসেবে লেখা ছিল। ২০০৬ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি ২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি পাসপোর্ট নবায়ন করেন, যা আগারগাঁও, ঢাকায় ইস্যু করা হয়। ওই পাসপোর্টের ‘ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট’ হিসেবে টিউলিপের চাচা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকীর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করা ছিল।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদচ্যুত হওয়ার পর তার শাসনামলের বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর অংশ হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রণালয়ে তার ‘সিটি মিনিস্টার’ পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

সম্প্রতি ঢাকার একটি আদালত প্লট কেলেঙ্কারির মামলায় টিউলিপ সিদ্দিক, শেখ হাসিনা সহ মোট ৫৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এ বিষয়ে লন্ডনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিউলিপ বলেন, “বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। আমার আইনজীবীরা তাদের কাছে চিঠি পাঠালেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।”
 

তথ্যসূত্রঃ https://youtu.be/khzJGblXdhs?si=5rK6GVzN_lvJ9NHl

মারিয়া

×