ছবিঃ সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার এক টকশোতে বলেন, “ইউটোপিয়ার মতো শোনালেও আমাদের প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো বাস্তবসম্মত এবং অনেক দেশেই এগুলো প্রচলিত।”
তিনি বলেন, “আমরা যেটাকে ইউটোপিয়া বলে মনে করি, সেটাই আসলে পৃথিবীর অনেক দেশে—বিশেষ করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক রাষ্ট্রগুলোতে—চর্চিত এবং প্রতিষ্ঠিত। আমরা গত ১৫ বছরে এমন এক ডিস্টোপিয়ায় বাস করেছি, যেখানে রাষ্ট্র, সরকার, দল ও প্রশাসনের মধ্যে কোনো সেপারেশন ছিল না। এই ব্যবস্থাকে যদি বদলানো না হয়, তাহলে আমরা ওই ডিস্টোপিয়াতেই রয়ে যাব।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের পলিটিক্যাল কালচার এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে একটি দল ক্ষমতায় গেলে তার প্রধানই রাষ্ট্র, সরকার, দল এবং প্রশাসনের সর্বেসর্বা হয়ে যান। এতে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ হয় এবং গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ডের মতো একটি স্পষ্ট সেপারেশন দরকার।”
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সীমিত করা এবং একই ব্যক্তি যেন আজীবন প্রধানমন্ত্রী না থাকতে পারেন—এমন একটি প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, “যিনি সংসদ নেতা, তিনিই প্রধানমন্ত্রী এবং তিনিই দলের প্রধান—এই কেন্দ্রিকতা জনগণ আদৌ চায় কি না, সেটা জনগণের কাছে জিজ্ঞেস করে দেখা উচিত। ডেমোক্রেসির মানে শুধু নির্বাচন নয়। আপনি যদি সংস্কার চান, তাহলে তার জন্য জনগণের মতামত আলাদাভাবে নেওয়া প্রয়োজন। আমাদের দলগুলো সেই সুযোগটা দেয় না, বরং সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতাকেই সীমিত করে দেয়।”
সারোয়ার তুষার স্পষ্টভাবে জানান, “আমরা যদি সত্যি পরিবর্তন চাই, তাহলে রাষ্ট্র, সরকার ও দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে তুলতে হবে। ইউটোপিয়ার মতো মনে হলেও এই সংস্কারগুলো বাস্তবসম্মত এবং সময়ের দাবি।”
মারিয়া
