
ছবিঃ সংগৃহীত
নীলফামারীতে ১০০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান চূড়ান্ত, চীনের সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হারুন অর রশিদ।
নীলফামারীতে চীনের সহযোগিতায় ১০০০ শয্যার একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যে পৃথকভাবে আলোচনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে রংপুর ও তার আশপাশে স্থান নির্ধারণের প্রস্তাব আসে। তবে নির্ধারিত একটি স্থানের প্রবেশপথ (এন্ট্রান্স) সন্তোষজনক না হওয়ায় বিকল্প স্থানের খোঁজ শুরু হয়। এসময় নীলফামারীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মহোদয়ের দ্রুত পদক্ষেপ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় রিপোর্ট প্রদান প্রকল্পের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান চিহ্নিত করতে সহায়তা করে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ডিসি মহোদয়ের এই তাৎক্ষণিক উদ্যোগ প্রকল্পের সম্মান ও গতি রক্ষা করেছে।
বর্তমানে প্রস্তাবিত স্থানে নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ালেও সেগুলো আমলে নেওয়ার মতো নয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে ১০-১২ একর জমির কথা বলা হলেও, বাস্তবে নির্ধারিত জায়গাটির পরিসর ২০-২৫ একর। ফলে সেখানে উন্নত ও সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে অন্যান্য সহায়ক সুবিধাও গড়ে তোলা যাবে।
স্থানীয় প্রশাসনের ভাষ্যমতে, উত্তরবঙ্গের মানুষ স্বভাবগতভাবেই শান্তিপ্রিয় ও শৃঙ্খলাপরায়ণ। তাছাড়া, রংপুরে একটি কার্যকর বিমানবন্দর এবং ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতির ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেক উন্নত হয়েছে। সবকিছু বিবেচনায়, নীলফামারীর এই স্থানটিকে প্রকল্পের জন্য ‘নাম্বার ওয়ান সিলেকশন’ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সকলের প্রত্যাশা, শিগগিরই চূড়ান্ত অনুমোদনের পর হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ইনশাআল্লাহ।
মারিয়া