
ছবিঃ সংগৃহীত
ফাইবার অ্যাট হোম কর্তৃপক্ষ অর্থমন্ত্রণালয়কে ইন্টারনেটের দাম তিনটি স্তরে কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে, যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকদের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে। তবে দাম তিন স্তরে কমানোর অনুমোদন মিলবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ইন্টারনেট বর্তমান বিশ্বের যোগাযোগ, তথ্য, শিক্ষা ও বিনোদনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। এটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে একত্রিত করে এবং মুহূর্তেই তথ্য আদান-প্রদানকে সহজতর করে তোলে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজ দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়।
এবার দেশের তিন স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমাতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব। তিনি জানান, ফাইবার অ্যাট হোম কর্তৃপক্ষ তাদের তিন পর্যায়ের সংযোগের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
২০ এপ্রিল সকালে ফয়েজ আহমেদ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এসব তথ্য জানিয়ে একটি পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ফাইবার অ্যাট হোম—আইসিটি পর্যায়ে ১০ শতাংশ, আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ এবং এনটিটিএন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ দাম কমাবে। এ নিয়ে ইন্টারনেট লাইসেন্স পর্যায়ে মোট তিন থেকে চারটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি তাদের সব ধরনের সেবায় ইতিমধ্যেই ১০ শতাংশ দাম কমিয়েছে।
এছাড়া, ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপি এবি গ্রাহক পর্যায়ে ৫০০ টাকায় এখন থেকে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন থেকে সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটক ১০ শতাংশ মূল্যছাড়ের ঘোষণা দেয়।
ফয়েজ আহমেদ আরও বলেন, ইতিমধ্যে সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডব্লিউডিএম নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের যন্ত্র (Dense Wavelength Division Multiplexing) ও ডার্ক ফাইবার সুবিধা প্রদান করেছে। এই অবস্থায় বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোর কোনো যৌক্তিক কারণ কিংবা অজুহাত অবশিষ্ট থাকে না। সরকার মোবাইল অপারেটরদের পলিসি সাপোর্ট দিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরে পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেটের দামও কমিয়েছে। এখন তাদের জাতীয় উদ্যোগে শরিক হওয়ার পালা।
তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর পদক্ষেপে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমে আসবে। পাশাপাশি তিনি আশা করেন, দ্রুতই তিনটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটর যৌক্তিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর ঘোষণা দেবে।
ফয়েজ আহমেদ জানান, সরকার এখানে দুই ধরনের মূল্যছাড় আশা করে। প্রথমত, সরকারের পক্ষ থেকে শুল্ক বৃদ্ধির পর অপারেটররা যে এডজাস্টমেন্টমূলক দাম বৃদ্ধি করেছিল, তা কমাবে। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক গেটওয়ে, আইসিটি, আইআইজি ও ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে যতটুকু পাইকারি দাম কমানো হয়েছে, তার সমানুপাতিক হারে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমানো হবে।
প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের মান নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। এ অবস্থায় গ্রাহক স্বার্থে যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইমরান