ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

জুলাই বিপ্লবকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় না আনলে এরকম বক্তব্য সামনে আরো শুনতে হবে: হাসনাত

প্রকাশিত: ০২:২২, ২২ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০২:২৩, ২২ এপ্রিল ২০২৫

জুলাই বিপ্লবকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় না আনলে এরকম বক্তব্য সামনে আরো শুনতে হবে: হাসনাত

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, “জুলাই বিপ্লবকে যদি এখনো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় রূপান্তরিত করা না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এমন সত্যভিত্তিক বক্তব্য বারবার সামনে আসবে, এবং কেউ ঠেকাতে পারবে না।”

রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “৫ই আগস্ট পরবর্তীতে আমরা রাজনৈতিক পরিসরে নীতি-নৈতিকতার চর্চা প্রত্যাশা করেছি, যেখানে সত্যকে স্বীকার করা হবে অকপটে, মিথ্যাকে চিহ্নিত করা হবে নির্ভয়ে। ঢাবি ছাত্রদল সভাপতির জুলাই আন্দোলনকে ‘তথাকথিত’ মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ এবং নিজের ভুল অকপটে স্বীকার করা একটি সাহসী দৃষ্টান্ত। আমরা এই মনোভাবকে শ্রদ্ধা করি ও স্বাগত জানাই।”

তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে উল্লেখ করেন, “জুলাই বিপ্লব হয়ে যাওয়ার এত মাস পরেও আজও তা নিয়ে কোনো সাংবিধানিক স্বীকৃতি নেই। বিপ্লবের পেছনের লক্ষ-কোটি সাধারণ মানুষের সংগ্রামকে বারবার অপমান ও তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে।”

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “২০১০-১১ সালের জেসমিন বিপ্লবের পরে তিউনিসিয়া, ২০০৬ সালের বলিভিয়ার ডেমোক্রেটিক অ্যান্ড কালচারাল রেভল্যুশন, কিংবা ৯০-এর দশকে নেপালের ‘পিপলস মুভমেন্ট’ – প্রতিটি বিপ্লবই পরবর্তীতে সংবিধানে স্বীকৃতি পেয়েছে। কারণ, ইতিহাসের পাতায় বিপ্লবকে জায়গা না দিলে তা অস্বীকার বা বিকৃত করার সুযোগ তৈরি হয়।”

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, “এটাই নিয়ম, এটাই স্বাভাবিকতা। বিপ্লবের প্রতি সাংবিধানিক শ্রদ্ধা জানানোই জনতার প্রতি প্রকৃত সম্মান। না হলে ভবিষ্যতে আরও বেশি করে এমন বক্তব্য সামনে আসবে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।” 

আসিফ

×