
ছবি: সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা ভূমি অফিস, লাল-নীল কাগজ, ব্যানার-ফেস্টুনে সাজানো চত্বর, যেন উৎসবের আমেজ। ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়িসহ আছে গ্রামীণ নানা অনুষঙ্গ।
গেল পহেলা বৈশাখ ঘিরে ভূমিকর বা খাজনা আদায়ের লক্ষ্যে করা হয় এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন। হালখাতায় অংশ নিয়ে খাজনা পরিষদকারীদের খাওয়ানো হয় মোয়া-মুড়কি ও মিষ্টি। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে খুশি জমির মালিকরা। বলছেন, সরকারি দপ্তরে যেখানে দুর্ভোগ ছাড়া সেবা মেলে না, সেখানে ব্যতিক্রমী হালখাতা এনে দিয়েছে স্বাচ্ছন্দ্য।
আয়োজকরা জানান, বাংলা সনের সাথে ভূমিকর নেওয়ার মাধ্যমে চালু হওয়া হালখাতা বাঙালি জীবনের অংশ। হারিয়ে যাওয়া সেই হালখাতা ফিরিয়ে আনতে উপজেলা জুড়ে এই আয়োজন। আগামীতেও এমন আয়োজন আশা করেন তারা।
নাগেশ্বরী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ভূমি অফিস নিয়ে মানুষের যে ভয়, সেই শঙ্কাটা কাটানোর জন্য আমার এই উদ্যোগটি আমি গ্রহণ করেছি। যাতে মানুষ সহজে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান এবং সরকারি সেবাগুলো পেয়ে থাকেন। আমরা সবাইকে জানাচ্ছি কীভাবে পেতে হয় এবং আদায়ও করছি।’
নাগেশ্বরী উপজেলায় সর্বমোট ভূমি উন্নয়ন করের টার্গেট ৬৫ লক্ষ টাকা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নববর্ষের প্রথম দিনেই সাড়ে ৬ লক্ষ বা ১০% কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ বলেন, ‘হালখাতা বাঙালির জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। বছরের শুরুতেই বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ীরা এই হালখাতা অনুষ্ঠানটি করে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলা ভূমি অফিস এই হালখাতার আয়োজন করেছে।’
সচেতন মহল বলছেন, দালালদের দৌরাত্ম্য আর দুর্নীতি কমাতেই প্রতিবছর হালখাতা করা গেলে উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ, বাড়বে সরকারি রাজস্ব।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=ylFcr-SuoJQ
রাকিব