ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

যারা সংষ্কারের নামে ধর্মীয় আইনের বিরুদ্ধে কৃপাণ তোলে বাংলাদেশের মানুষ তাদের সংষ্কার প্রস্তাব ছুড়ে ফেলে দেবে: পিনাকী

প্রকাশিত: ০০:৫২, ২০ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০০:৫৩, ২০ এপ্রিল ২০২৫

যারা সংষ্কারের নামে ধর্মীয় আইনের বিরুদ্ধে কৃপাণ তোলে বাংলাদেশের মানুষ তাদের সংষ্কার প্রস্তাব ছুড়ে ফেলে দেবে: পিনাকী

ছবিঃ সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন পিনাকী ভট্টাচার্য। যারা সংষ্কারের নামে ধর্মীয় আইনের বিরুদ্ধে কৃপাণ তোলে বাংলাদেশের মানুষ তাদের সংষ্কার প্রস্তাব ছুড়ে ফেলে দেবে বলে প্রতিবেদন নিয়ে  মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, “এই কমিটি প্রতিনিধিত্বমূলক না। বাংলাদেশের আপামর নারীদের অংশগ্রহণ নেই এই কমিটিতে"। 

এই প্রেক্ষিতে পিনাকী ভট্টাচার্য আরও লেখেন, “ধর্মীয় আইন অনুসরণ করা যেকোনো ধর্মের অনুসারীদের জন্যই বাধ্যতামূলক। ধর্মের অনুসারীরা তা আনন্দচিত্তেই অনুসরণ করেন এবং মেনে চলেন। কিন্তু কেউ যদি দাবি করে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার জন্য বৈষম্য হচ্ছে, এটা খুবই ভ্রান্ত অনুসিদ্ধান্ত। এর অর্থ হচ্ছে, ধর্মীয় আইন মানা যাবে না, তার চূড়ান্ত মানে হচ্ছে ধর্ম থেকে দূরে থাকতে হবে। এইটাই স্যার বাঙ্গু স্যেকুলারদের চুলকানি।” 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদের অধীনে নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্যমূলক বিধান বিদ্যমান, বিশেষ করে বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ ও ভরণপোষণের ক্ষেত্রে ধর্মীয় আইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক হওয়ায় নারীরা বৈষম্যের শিকার হন। যার ফলে পুরুষ ও নারীর মধ্যে বিদ্যমান অসমতা তাদের সামাজিকভাবে পশ্চাৎপদ করে রাখছে। নারী নির্যাতন, পারিবারিক সহিংসতা ও অভিভাবকত্ব সম্পর্কিত আইনের বাস্তবায়নে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আদালতের অপর্যাপ্ত সংখ্যা, দীর্ঘসূত্রিতা, পুরাতন অবকাঠামো এবং ন্যূনতম মৌলিক সুবিধার অভাবে নারীরা নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। আইন সংস্কারের পাশাপাশি সংবিধানের সংশোধনও প্রয়োজন।

তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/p/1Gs7LGLgHu/

মারিয়া

×