ছবি: প্রতীকী
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক নারীর (২২) বাড়িতে ঢুকে তার হাত-পা শিকল দিয়ে ও মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে আলমারি ভেঙে নগদ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, ২ ভরি স্বর্ণালংকার ও জমিসংক্রান্ত দলিলপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের কান্দাল উত্তর পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মৃত ছবর আলীর ছেলে ইমাম হোসেন ইমনের পরিবারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ নিয়ে মারামারির ঘটনাও ঘটে এবং ইমন থানায় মামলা করেন। এরই মধ্যে একটি অজ্ঞাত ফেসবুক আইডি থেকে ওই নারী ও তার স্বামীকে এক সপ্তাহ ধরে ধর্ষণ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসা হচ্ছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে মামলার প্রধান আসামী ইমন হোসেনের নেতৃত্বে ৩-৪ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়ির ছাদ দিয়ে ঢুকে, কাঠের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এরপর নারীর হাত-পায়ে শিকল বেঁধে তালা লাগিয়ে ও মুখে কাপড় বেঁধে এক অভিযুক্ত তাকে ধর্ষণ করে এবং অন্যরা তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়।
পরে তারা আলমারির তালা ভেঙে নগদ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, ২ ভরি স্বর্ণালংকার এবং গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র লুট করে। এমনকি ওই নারীর মাথার চুল পর্যন্ত কেটে দেয়। ভয়ভীতির মধ্যে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার ও জিহ্বা কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
পরিবারের সদস্যরা পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নারীর হাত-পায়ের শিকল খুলে তাকে উদ্ধার করে এবং আলামত সংগ্রহ করে।
পরে নির্যাতিতা নারী ২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামী ইমাম হোসেন ইমন (২৪) কে গ্রেফতার করে।
নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে এবং প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
বেলাল/রবিউল
