
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে। বৈঠকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জনগণের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে, তা আমাদের পূরণ করতে হবে—এটা জাতির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার।”
তিনি বলেন, “সংস্কার বলতে আমরা বুঝি মৌলিক সংস্কার—যার মাধ্যমে রাষ্ট্র কাঠামোর আমূল পরিবর্তন ও গুণগত উন্নয়ন সম্ভব। আজ বাংলাদেশ একটি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে দেশে নতুন বাংলাদেশের যে স্বপ্ন সৃষ্টি হয়েছে, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “এই আলোচনার পেছনে মূল প্রেক্ষাপট হচ্ছে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান—যেখানে বাংলাদেশের জনগণ ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসককে পলায়নে বাধ্য করেছে। হাজারো মানুষের জীবন উৎসর্গ এবং অসংখ্য আহত মানুষের বিনিময়ে আজকের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”
তিনি বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি ওই ঐতিহাসিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আত্মপ্রকাশ করেছে। এ দলটির মূল শক্তি হচ্ছে দেশের তরুণ সমাজ। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত রাষ্ট্র গঠন এবং নতুন রাজনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা—যা ক্ষমতার পালাবদল নয় বরং মৌলিক রাষ্ট্রীয় সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করবে।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে বহুবার জনগণ রাস্তায় নেমেছে, আন্দোলন করেছে—আমরা ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস পড়েছি। কিন্তু এসব আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষাগুলো অনেক সময় বাস্তবায়ন হয়নি। সেই ব্যর্থতাগুলো থেকেই দেশে দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সত্যিকারের পরিবর্তন আসবে এবং একটি গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=t_II45oiFOE
আবীর