
ছবি: জনকন্ঠ
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার ওয়াই গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী তারামিয়া ফকির (৬২) হত্যায় জড়িত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে উদ্ধার করতে পেরেছে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য। জবানবন্দিতে আসামীরা স্বীকার করেছে, তারা প্রত্যেকেই মাদকাসক্ত। মাদক সেবনের প্রতিবাদ জানানোর কারণেই তারা পরিকল্পিতভাবে তারামিয়া ফকিরকে হত্যা করেছে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান শুক্রবার বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হচ্ছে, একই উপজেলার ওয়াই গ্রামের নয়ন মিয়ার ছেলে আফজাল হোসেন (২৪), জুলহাস মিয়ার ছেলে সজল মিয়া (২০), বন্দেরবাড়ি গ্রামের জাবেদ মিয়ার ছেলে রিয়াজ (২০) ও কাটাহুসিয়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে শামীম মিয়া (২৫)। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, গড়াডোবা ইউনিয়নের ওয়াই গ্রামের তারামিয়া ফকির স্থানীয় বাসটি বাজারে সবজির ব্যবসা করতেন। গত ২১ মার্চ রাত সোয়া নয়টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু বাড়িতে আর ফেরেননি। পরদিন সকাল ৬টার দিকে কাটাহুসিয়া গ্রামের সাতারখালি ব্রিজের পাশে তার লাশ পাওয়া যায়। লাশের মাথা ও মুখের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করা হলে থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত শুরু করে। তদন্তে উল্লিখিত চার আসামির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায় পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার জল্লী গ্রাম থেকে আফজাল হোসেন, কবিচন্দ্রপুর গ্রাম থেকে সজল মিয়া, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে রিয়াজ ও কেন্দুয়ার ওয়াই গ্রাম থেকে শামীম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, তারা প্রত্যেকে মাদকাসক্ত। তারামিয়া রাতে বাড়ি ফেরার পথে প্রায়সময়ই তাদেরকে রাস্তায় বসে মাদক সেবন করতে দেখতেন। এ কারণে তিনি প্রতিবাদ করতেন এবং তাদেরকে বকাঝকা করতেন। এর জের ধরেই তারা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে।
সঞ্জয়/রবিউল