ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত অধিকাংশ খবরই অতিরঞ্জিত: ভারতীয় সাংবাদিক

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:২৩, ১৮ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০১:২৪, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত অধিকাংশ খবরই অতিরঞ্জিত: ভারতীয় সাংবাদিক

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত কিছু সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে অপতথ্য ও গুজব ছড়ানো হয়েছে (এখন কমে গেলেও চলছে) বলে বাংলাদেশ, এমনকি খোদ ভারতেরও অনেকেই অভিযোগ করছেন। তাদের এই অভিযোগ যে অমূলক নয়, তার কিছুটা আভাস পাওয়া গেলো কলকাতার এক সাংবাদিকের লেখায়।

কলকাতা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় পত্রিকা ‘সংবাদ প্রতিদিন’ এর ডেপুটি নিউজ এডিটর শীর্ষেন্দু চক্রবর্তী অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ ভ্রমণ শেষে নিজ দেশে ফিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে (১৭ এপ্রিল) লিখেছেন, ‘বেঁচে আছি। সুস্থ আছি, অক্ষত আছি। শরীরে বিন্দুমাত্র কোনও আঘাত লাগেনি। বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় ফিরে এই কথাগুলো মনে হয় এবার বলার সময় হয়েছে, তাই বললাম। কারণ, সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত বা বিভিন্নভাবে বাংলাদেশ সম্পর্কে খোঁজখবর রাখা মানুষজন আমার বাংলাদেশ সফরের কথা শুনেই রে রে করে উঠেছিলেন।’

পরিচিত, বন্ধু, সিনিয়র সাংবাদিকদের কাছ থেকে একের পর এক আতঙ্ক বাণী পেতে শুরু করেছিলেন উল্লেখ করে শীর্ষেন্দু চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘বিষয়টা এমনভাবে আমার সামনে তুলে ধরা হয়েছিল, যেন আমি আগুনের মধ্যে ঝাঁপ দিচ্ছি। নরকে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ সম্পর্কে যাঁরা খোঁজখবর রাখেন বলে তথাকথিতভাবে দাবি করে থাকেন, তাঁদের কাছ থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ এমন আতঙ্ক বাণী পেয়ে একটু ভয় করেনি তা নয়। তাও মনের সাহস নিয়ে এগিয়ে যাই।

গোটা ঢাকা কমবেশি চষে ফেলার পর আজ বলতে ইচ্ছা করছে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে যা প্রচার করা হচ্ছে তার অধিকাংশই অতিরঞ্জিত। রাত্রি এগারোটা-সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ঢাকা শহরে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়িয়েছি। সবার সঙ্গে কথা বলেছি। হ্যাঁ, এটা ঠিক একটা চাপা টেনশন অবশ্যই আছে। মৌলবাদের বাড়বাড়ন্ত অবশ্যই হয়েছে। কিন্তু তা বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে (বিশেষ করে একটি আগুন ছোটা চ্যানেলে) যা তুলে ধরা হচ্ছে তা সত্যিই ঠিক নয়। অনেক ক্ষেত্রেই মনগড়া গল্পকথা তুলে ধরা হচ্ছে বারবার।’

(কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি তারিক চয়নের এই লেখাটি ফেসবুক থেকে নেওয়া)

রাকিব

আরো পড়ুন  

×