ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

২৭ এপ্রিল শুরু হচ্ছে বিকল্প কার্গো ফ্লাইট

তিন বিমানবন্দর দিয়ে রপ্তানির উদ্যোগ

আজাদ সুলায়মান

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

তিন বিমানবন্দর দিয়ে রপ্তানির উদ্যোগ

.

হঠাৎ ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করায় বিকল্প উপায়ে কার্গো রপ্তানির পথ খুঁজছে ঢাকা। এক সপ্তাহ ধরে সড়ক পথে ঢাকা থেকে দিল্লি হয়ে সেখান থেকে আকাশ পথে কার্গো রপ্তানি বন্ধ। এতে গার্র্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন জানালেন- এ বাড়তি ব্যয় ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই জটিলতা কাটিয়ে বিকল্প পথে কার্গো রপ্তানি আগের মতো স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দিল্লির সিদ্ধান্ত মোকাবিলায় ঢাকায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও অ্যারোনটিক্যাল চার্জসহ অন্যান্য ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ও এ জটিলতা নিরসনে সব ধরনের চার্জ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কার্গো ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শুধু এয়ারপোর্টের চার্জ কমানো হলেই আগের মতো চাঙ্গা হয়ে যাবে আকাশ পথের রপ্তানি। তখন ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, আমাদের সঙ্গে এ নিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে নির্দেশনা রয়েছে যেভাবেই হোক- এই ব্যয় কমিয়ে যেন আকাশ পথে কার্গোর চাকা সচল রাখা হয়। সড়ক পথে দিল্লি হয়ে আকাশ পথে কার্গো পরিবহনে যে প্রক্রিয়া ছিল, সেটার বিকল্প হিসেবে আগের মতোই হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে আপনাদের জানানো সম্ভব হবে। আমরা এয়ারপোর্টের বিভিন্ন চার্জ কমিয়ে রপ্তানিকারকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। যাতে ঢাকার শাহ্জালাল, সিলেটের ওসমানী ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়েই স্বাচ্ছন্দ্যে কার্গো রপ্তানি করা যায় বিশ্বব্যাপী।
আকস্মিক অযৌক্তিকভাবে ভারত তার ভূখণ্ড ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ঢাকা। তবে ভারতের এ নির্দেশনা স্থগিতের চেষ্টা বা পাল্টা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার কথা বলেছে অন্তর্বর্র্তী সরকার। বরং বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশের সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এরই অংশ হিসেবে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে পণ্য রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়েও কার্গো পরিবহনের জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ  শীঘ্রই চার্জ কমানো হচ্ছে। রপ্তানির চাকা ঠিক রাখতে হবে যে কোনো মূল্যে।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে সরাসরি ইউরোপসহ অন্যান্য দেশে কার্গো রপ্তানি অত্যধিক ব্যয়বহুল। এই বিমানবন্দর দিয়ে রপ্তানি ব্যয় এত বেশি যে বিদেশী ক্রেতারা এখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এতে গার্মেন্টস মালিকরা সড়ক পথে বেনাপোল ও পেট্রাপোল দিয়ে দিল্লি হয়ে আকাশ পথে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে আসছিল গত তিন বছর ধরে। এ নিয়ে কার্গো ফ্রেইট ফরোয়ার্ড এজেন্সিগুলো বারবার সরকারের কাছে এয়ারপোর্টের বিভিন্ন চার্জ ও উড়োজাহাজের ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু এতে কেউ কর্ণপাত না করায় গার্মেন্টস মালিকরা বিকল্প পথে ঢাকা থেকে সড়ক পথে যশোর হয়ে দিল্লি পাঠাত। সেখান থেকে আকাশ পথে সেই পণ্য যেত গোটা বিশ্বে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ- এক কেজি গার্মেন্টস পণ্য ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে ইউরোপ পাঠাতে খরচ লাগে প্রায় তিন ডলার। অথচ পথে ওই পণ্য ঢাকা থেকে যশোর  কলকাতা  হয়ে দিল্লি বিমানবন্দর পাঠিয়ে সেখান থেকে আকাশ পথে বিভিন্ন গন্তেব্যে পৌঁছাতে সম্ভব এক ডলার কম ব্যয়ে। এত বিরাট ফারাক থাকায় এ রুটটাই বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ায় গার্মেন্টস মালিকরা মুখ ফিরিয়ে নেয় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। কিন্তু হঠাৎ গত ৮ এপ্রিল এই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল ঘোষণা করে দিল্লি। এতে বিপাকে পড়েন ঢাকার ব্যবসায়ীরা। সেদিনই কয়েকটি পণ্যবাহী ট্রাক ফিরিয়ে দেওয়া হয় সীমান্ত থেকে। এমন অবস্থায় টনক নড়ে অন্তর্বর্তী সরকারের। নির্দেশ দেওয়া হয় বিমানবন্দরের বিভিন্ন চার্জ কমানোসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করার। তারই ধারাবাহিকতায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইট চালুর।
আগামী ২৭ এপ্রিল শুরু হচ্ছে বিকল্প উপায়ের এই কার্গো ফ্লাইট। ইতোমধ্যে এ জন্য বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নতসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন- আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি  ঢাকা ছাড়াও সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট অপারেট করার।  সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ক্যাটেগরি ১-এ উন্নীত হয়েছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের (আইকাও) একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে এ ঘোষণা দেয়। এ দুটি বিমানবন্দর দিয়ে কার্গো ফ্লাইট চালু হলে একদিকে ভোগান্তি কমবে, অন্যদিকে বাড়তি অর্থ খরচের হাত থেকে রক্ষা পাবেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি পণ্য দ্রুত আমদানিকারক দেশে পৌঁছানো যাবে। তিনি বলেন- পণ্য রপ্তানিতে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা ও পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে নিরাপত্তাবিষয়ক সব কিছু প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল প্রথম কার্গো ফ্লাইট উড়াল দেবে।
এ বিষয়ে হাসিম উদ্দিনের নামের এক কার্গো ব্যবসায়ী জানান- সিলেটের সঙ্গে চট্টগ্রামের বেশ কিছু পণ্যের আদান-প্রদান হয়। খাতুনগঞ্জে সিলেটের অনেক পণ্য আসে। যদি সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট চালু হয়, তা হলে দুই বিভাগের ব্যবসায়ীদের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে।  
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশন সাব-কমিটির চেয়ারম্যান হিজকিল গুলজার বলেন, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইটে পণ্য পরিবহনের দাবি ছিল ব্যবসায়ীদের। সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে।
দেশে আটটি কার্গো এয়ারলাইন্সের কার্যক্রম চলছে। এর সবই ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পরিচালিত হয়।  জানতে চাইলে তৈরি পোশাক খাতের নিট ক্যাটেগরির পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান- ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ করে দেওয়ায় রপ্তানি খাতে কোনো সমস্যা হবে না। গত ১৫ মাসে ৪৬ কোটি ডলারের পণ্য ভারতের বন্দর ব্যবহারের  মাধ্যমে রপ্তানি হয়েছে। এর ৫০ শতাংশ তৈরি পোশাক। এখন সিলেট বিমানবন্দর দিয়ে যদি রপ্তানি সহজ করা হয়, তা হলে একই পরিমাণ পণ্য সিলেট দিয়ে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। ভারত থেকে রপ্তানি করলে পরিবহন ব্যয় কম লাগত। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করলে খরচ প্রায় দ্বিগুণ। এ বিষয়ে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া উপায় নেই।
এ বিষয়ে কার্গো ব্যবসায়ীরা জানান- বিগত ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী কোভিড মহামারির লকডাউনে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কর্মকা-ে চরম ভাটা পড়ে ভারতের স্থল ও বিমানবন্দরগুলোতে। সেই অবস্থায় ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, প্রতিবেশী বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা চাইলে ভারতের বন্দরগুলো ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে তাদের পণ্য পাঠাতে পারবে– অর্থাৎ এই বন্দরগুলোকে ‘ট্রান্সশিপমেন্ট হাব’ হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে।তার পরই ঢাকার নজর পড়ে দিল্লির ওই ঘোষণায়। কেননা তখন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে পণ্য রপ্তানির ব্যয় ছিল অনেক বেশি। বিশ্বের অন্যান্য দেশ তো বটেই- এমনকি ভারতের তুলনায়ও এ ব্যয় ছিল বেশি। ফলে বাধ্য হয়ে কার্গো রপ্তানিকারক বিশেষ করে গার্মেন্টস মালিকদের নজর পড়ে সড়ক পথে দিল্লি হয়ে আকাশ পথে বিশ্বব্যাপী পণ্য পাঠানো।
এ বিষয়ে ঢাকার ফ্রেইট ফরোয়ার্ড এজেন্সিগুলোর মালিকরা জানিয়েছেন, শুধু বেবিচকের উচ্চমাত্রার বিভিন্ন চার্জের দরুন শাহজালাল এয়ারপোর্টের পরিবর্তে সড়ক পথে যশোর দিয়ে কলকাতা দিল্লি হয়ে সেখান থেকে আকাশ পথে বহির্বিশ্বে গার্মেন্টস পণ্য পাঠানো হচ্ছে। ভারত গত ৮ এপ্রিল সেই ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করার আগ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের দিল্লি ও কলকাতা এয়ারপোর্টকে ব্যবহার করত। কারণ এতে ঢাকার তুলনায় ব্যয় অনেক কম। শুধু খরচ কম হওয়ায় ঢাকা থেকে ১৯ শত কিলোমিটার দূরের দিল্লিকে বিদেশী ক্রেতারাও অগ্রাধিকার দিত। কারণ সময় একটু বেশি লাগলেও সেবার মান ও ব্যয়ের দিক থেকে কেজি প্রতি পণ্যে অন্তত ২ ডলার বেশী সাশ্রয় হয়। অন্যদিকে বলা যায়, শুধু ঢাকার পরিবর্তে দিল্লি এয়ারপোর্ট ব্যবহার করলেও কেজি প্রতি ২ ডলার বেশি লাভ করা যায়। তার পরও যদি বেবিচক কিংবা ঢাকার টনক না নড়ে তা হলে সেটার খেসারত দিতে হবে অনেক। কেননা- রপ্তানি কোনো না কোনো উপায়ে হবেই। বাংলাদেশী রপ্তানিকারকরা অনুধাবন করেন, দিল্লি বিমানবন্দর দিয়ে এয়ার কার্গো পাঠানোর অপশন অনেক বেশি। কারণ পৃথিবীর প্রায় সব বড় বড় এয়ারলাইনের দিল্লিতে উপস্থিতি আছে। খরচও ঢাকা বা চট্টগ্রামের তুলনায় অনেক কম। তা ছাড়া তখন লোহিত সাগরে অস্থিরতা চলায় সমুদ্রপথে পণ্য পাঠাতে কেপ অব গুড হোপ হয়ে অনেক বেশি সময় লাগছিল, কাজেই আকাশ পথে রপ্তানির চাহিদাও বাড়ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কার্গো ব্যবসায়ী বলেন- বাংলাদেশের যে সব গার্মেন্ট ব্যবসায়ী ‘ফাস্ট ফ্যাশনে’র ব্যবসা করেন- তাদের দ্রুত পণ্য পাঠানো খুব জরুরি হওয়ায় এই রেটটা তাদের কাছে খুবই লাভজনক হয়ে ওঠে। ইউরোপ-আমেরিকার ফ্যাশন শোতে প্রদর্শিত যে সব পোশাকের স্টাইল খুব জনপ্রিয় হয়, দ্রুত সেগুলোর নকল তৈরি করে পশ্চিমের বাজারে ছাড়ার ঘটনাকেই বলে ‘ফাস্ট ফ্যাশন। কিন্তু এই পোশাকগুলো যতদিন ট্রেন্ডিং থাকে তার মধ্যেই বাজারে আনতে হয় বলে সময়টা এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লি তাদের এই সুবিধাটা দিতে পারছিল। এখন ভারতের একটা সিদ্ধান্তে সেটা সুবিধা বাতিল হওয়ায় ঢাকা নতুন উদ্যোগে কার্গো সাজানোর সুযোগটা নিতে পাারে। অর্থনীতি বাঁচাতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই। শুধু বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং ও অ্যারোনটিক্যাল চার্জটা দিল্লির মতো রেট নির্ধারণ করলেই এই জটিলতা নিরসন হয়। রপ্তানিও বিমানবন্দর দিয়ে আগের মতোই জোরদার করা যায়।

প্যানেল

×