
ছবিঃ সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের হঠাৎ করে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ নতুন দুশ্চিন্তায় ফেলেছে দেশটির উদ্যোক্তাদের। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, তিন মাস পরেও যদি এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে, তবে বিপদে পড়বে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুই খাত—পোশাক ও ব্যাংকিং।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে, যার বার্ষিক মূল্য ৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এর বড় অংশই তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে। আগে যেখানে ১০ ডলারের একটি টি-শার্ট রপ্তানি করতে খরচ হতো সাড়ে ১১ ডলার, এখন সেই খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ১৫ ডলারে। এই বাড়তি দরে রপ্তানি করে উদ্যোক্তারা আদৌ লাভবান হবেন কি না, নাকি বিকল্প বাজার খোঁজা প্রয়োজন, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই একটি সংলাপের আয়োজন করে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
সংলাপে সিপিডির মোস্তাফিজুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত নয়। আগেই দেশটি বাংলাদেশকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শ্রমিক অধিকারসহ একাধিক ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছিল।
সিপিডির পরামর্শ, পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত বিকল্প বাজার খুঁজে বের করতে হবে। সম্ভাবনাময় গন্তব্য হিসেবে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে বিবেচনায় নিতে হবে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সংলাপও চালিয়ে যেতে হবে, যাতে একটি সমাধান পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/1CbPe1C3e4/
মারিয়া