
ছবি: সংগৃহীত
ভুয়া মামলা দায়ের করে কাউকে ফাঁসাতে গেলে এখন থেকে ২০ হাজার নয়, গুনতে হবে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। সিভিল মামলা পরিচালনার প্রক্রিয়ায় (সিপিসি বা কোড অব সিভিল প্রসিডিউর) এমনই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সংশোধনীর অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বাংলাদেশে একটা প্রচলিত কথা আছে—কাউকে শত্রু মনে করলে তার নামে একটা জমির মামলা দিয়ে দাও, তাতে তিন পুরুষ কেটে যাবে। এমন অবস্থা যেন না হয়, সেজন্য সিপিসিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে।"
তিনি জানান, বিচারপ্রার্থীদের সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের জন্য সিপিসির বিভিন্ন ধারা হালনাগাদ করা হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে প্রণীত এই আইনকে যুগোপযোগী করতে এসব সংশোধনীর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মূল পরিবর্তনগুলো যা থাকছে সিপিসিতে:
-
ভুয়া মামলা দায়ের করলে জরিমানা ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
-
মামলার রায় হওয়ার পর বাস্তবায়নের জন্য আলাদা জারি মোকদ্দমার প্রয়োজন হবে না; রায়ের মধ্যেই তা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
-
মামলা চলাকালে একাধিকবার সময় চেয়ে প্রক্রিয়া দীর্ঘ করা যাবে না; সময় চাওয়ার সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
-
সমন বা নোটিশ পাঠানোর ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার (ফোন, মেসেজ, ই-মেইল ইত্যাদি) বৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা পরিষদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আমরাই উকিলরা মাঝে মাঝে নানা অজুহাতে মামলার সময় বিলম্ব করি। এসব প্রক্রিয়া দ্রুত ও কার্যকর করার জন্যই এ ধরনের পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি ছিল।”
এছাড়া তিনি আরও জানান, অর্থনৈতিক অপরাধ দমনে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে, যাতে করে এসব অপরাধ দ্রুত বিচারের আওতায় আনা যায়।
শিহাব