
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত—এমনটাই জানিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। গত ৮ এপ্রিল ভারত বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে। এর ঠিক এক সপ্তাহ পর অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই প্রেক্ষাপটেই বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়ায় দিল্লি পাল্টা ব্যবস্থা নাও নিতে পারে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ভারতের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে জট কমাতে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার ‘সেভেন সিস্টার্স’ মন্তব্যের জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ থেকে নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তের কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না—এ বিষয়ে ভারত সরকার আশ্বস্ত করেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া দাবি করেছে, ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করার আগেই বাংলাদেশ গত মার্চে তিনটি বন্দর বন্ধ এবং স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশনা দেওয়া হয় এপ্রিলের শুরুতে।
তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে সতর্কতা জারি করে বাংলাদেশ, যা দু’দেশের বাণিজ্যে কিছুটা প্রভাব ফেলেছিল।
এছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য শুরু হওয়াকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। তারা জানায়, ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান ট্রেডিং কর্পোরেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করেছে, যা ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
শিহাব