
গেল রোববার প্রকাশিত গেজেটের মাধ্যমে এই নির্দেশনা জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস উইং। যেখানে জানানো হয়, ভারত নেপাল ও ভুটান থেকে বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ।
ভারত থেকে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া পণ্যগুলো হলো-ডুপ্লেক্স বোর্ড, নিউজপ্রিন্ট, ক্রাফট পেপার, সিগারেট পেপার, মাছ, সুতা, আলু, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, রেডিও-টিভি পার্টস, সাইকেল ও মোটর পার্টস, ফরমিকা শিট, সিরামিকওয়্যার, স্যানিটারিওয়্যার, স্টেইনলেস স্টিলওয়্যার, মার্বেল স্ল্যাব ও টাইলস এবং মিক্সড ফেব্রিক্স।
অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সদ্য চীন সফরে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য বা সেভেন সিস্টার্সকে ‘ল্যান্ড লক’ বলে মন্তব্য করেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, এই অঞ্চলের সমুদ্রে প্রবেশের জন্য বঙ্গোপসাগরের ‘গার্ডিয়ান’ বাংলাদেশ।
ড. ইউনূসের এমন মন্তব্যের পর অঞ্চলটি নিয়ে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতের মোদি সরকার।
মূলত, চীন সফরে উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭ রাজ্য নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যের পরই নড়েচড়ে বসেছে ভারত। এই রাজ্যটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করাসহ অঞ্চলটিতে অর্থনৈতিক গতি আনতেও কাজ করছে দেশটি।
এর আগে, চীন সফরে উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭ রাজ্য নিয়ে ড. ইউনূস বলেছিলেন, ‘উত্তর-পূর্বে ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের দেখভাল করি (বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের গার্ডিয়ান)। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। এটি চীনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণ হতে পারে।
ড. ইউনূসের এমন মন্তব্যের পর এ নিয়ে নানা মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এমন মন্তব্যের নেপথ্যের আসল অর্থ কী? তা নিয়ে ভারতে চলছে নানা আলোচনা।ঢাকায় বিনিয়োগ সম্মেলন চলাকালীন বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে দেয় ভারত।
তবে ছেড়ে কথা বলেনি ঢাকাও। ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলকে বরং সুযোগ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ভারত থেকে সুতাসহ কয়েকটি পণ্য আমদানি স্থগিত করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসতে ঢাকা আন্তর্জাতিক ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ।
ফুয়াদ