আওয়ামী লীগ পরিচয় দিলে মানুষ পঁচা ডিম মারবে: রেজা কিবরিয়া

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার পুত্র এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া সম্প্রতি একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের টকশোতে অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন।

রেজা কিবরিয়া বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নয়, তবে দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হতে পারে—এমন কথাও শোনা যাচ্ছে প্রশ্নে আমি বলবো, ভারতীয় সেনাবাহিনীই চাক, কিংবা ভারতের সেনাবাহিনীর প্রধানের বাপও চাক, বাংলাদেশের যে কোনো বাজারে যদি একজন আওয়ামী লীগ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেয়, তাহলে পঁচা টমেটো, পঁচা ডিম তাকে খেতেই হবে—এটা ঠেকানোর কোনো উপায় নেই। এখানে ভারতীয়রা কী চায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ না, বাংলাদেশের জনগণ কী চায় সেটাই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটাই হবে।” 

তিনি আরও বলেন, "যখন মানুষ দেখবে যে তার বাচ্চাকে গুলি করে মেরেছে যে মহিলা, তার ফাঁসি হয়েছে, শেখ রেহানা সাগর-রুনি হত্যায় জড়িত ছিল, তার ফাঁসি হয়েছে, তখন মানুষের শান্তি হবে—তার আগে না।"

রেজা কিবরিয়া বলেন, “এই যে এতোগুলো বাচ্চাকে গুলি করে মারলো, ওদের বিরুদ্ধে কেস করে ওদের বাংলাদেশে এনে বিচার করা দরকার। আমি মনে করি এই বাচ্চাদের বাবা-মায়েরা কেন শান্তি পাবে না? যতদিন শেখ হাসিনা ফাঁসির মঞ্চে না ঝুলবে, কোনো শান্তি আসবে না।”

সরকারের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তিনি বলেন, “এটা করার জন্য সরকার কী খুব শক্তিশালী পদক্ষেপ নিচ্ছে, আমি সেটা দেখিনি। এটা একটা সিরিয়াস জিনিস। আমাদের এই ইনসিডেন্টটাকে ক্লোজারে আনা দরকার। ক্লোজারে আসবে কিভাবে? যখন মানুষ দেখবে তার বাচ্চাকে গুলি করে মেরেছে যে মহিলা তার ফাঁসি হয়েছে।”

সরকারের বক্তব্য নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এই সরকারের কথাবার্তাও আমি ঠিক পছন্দ করছি না। তারা যে ধরনের নিরামিষ কথাবার্তা বলছে, আমি পছন্দ করি না। তারা বলছে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া উচিত। যে দল বাংলাদেশে দুইবার গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, বহুদলীয় গণতন্ত্র—তাদেরকে কেন এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে? নাৎসি পার্টিকে যেমন সুযোগ দেওয়া হয়নি, আওয়ামী লীগকেও দেওয়ার কোনো যুক্তি নাই।”

তিনি আরও বলেন, “এটা যেই বলুক না কেন, আমি শুনেছি বড় একটি রাজনৈতিক দলের একজন নেতা বলেছেন ওদেরকে সুযোগ দেওয়া উচিত। আমি বলবো—এদের বিচার হোক, কয়েকশ’ লোকের ফাঁসি হোক, তারপর আমরা আলাপ করতে পারি যে ওদের নিয়ে একটি নতুন আওয়ামী লীগ যদি করতে চায়—কারা থাকতে পারে, ক্লিন ইমেজের কেউ যদি বেঁচে থাকে, তাদের নিয়ে দল করতে চাইলে করুক। কিন্তু তাদের বিচার হওয়ার আগে আমি এ ধরনের কথা শুনতে চাই না। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের জনগণও সেটা শুনতে চায় না।”

তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/1BG4dweawP/