ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

সীতাকুণ্ডে মহাসড়কের পাশে ময়লার স্তূপ, ২২ বছরেও হয়নি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

আশরাফ উদ্দিন, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ২২:২৫, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

সীতাকুণ্ডে মহাসড়কের পাশে ময়লার স্তূপ, ২২ বছরেও হয়নি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

ছবি: সীতাকুণ্ডে মহাসড়কের পাশে ময়লার স্তূপ

দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইনখ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের একটি স্থান যেন মরা পশু, হাঁস-মুরগি আর ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড় হয়ে উঠেছে।

সীতাকুণ্ড পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড নুনাছড়া ও ২নং ওয়ার্ড শেখপাড়া এলাকার মহাসড়কের পাশে অন্তত ৪০০ গজ জায়গা জুড়ে চোখে পড়বে ময়লার ভাগাড়। মহাসড়কের পাশে স্তূপ করে রাখা ময়লার দুর্গন্ধের এমন অবস্থা যেন নাক চেপে ধরেও সহ্য করার জোঁ নেই।

অথচ সীতাকুণ্ড পৌরসভা পার করেছে প্রতিষ্ঠার ২৬টি বছর। মহাসড়কের পশ্চিম পাশের খালি জায়গায় ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে (ডাস্টবিন) পরিণত হয়েছে। পথচারীরা দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চেপে চলাচল করছে, কেউ কেউ হাত দিয়ে নাক মুখ চেপে ধরে চলাচল করছেন।

আবর্জনার দুর্গন্ধ বাতাসে মিশে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এই এলাকা দিয়ে চলাচল করার সময় ময়লার দুর্গন্ধে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নারী ও শিশুরা। ভুগছেন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য সাধারণ মানুষ। 

বছরের পর বছর সড়কের ধারে ময়লা ফেলা হচ্ছে, কৃষি জমি, শস্য ও পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে, সেইসাথে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। 

কুমিল্লা থেকে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটক তানজিল বলেন, 'হঠাৎ এই স্থানটি অতিক্রম করার সময় দুর্গন্ধ নাকে ধাক্কা দেয়। এই অবস্থায় এস্থান দিয়ে স্বাভাবিক যাতায়াত করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়।'

আরেক পর্যটক সাকিব বলেন, 'আসলে এই পথ দিয়ে চলাচল করা কারো জন্য উচিত নয়।'

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারগামী লাখো মানুষ ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি স্কুল কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করে। অথচ সড়কের পাশেই দিনের পর দিন এভাবে আবর্জনা পড়ে থাকায় দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। আবর্জনার ডিপোর উভয় পাশে অন্তত এক কিলোমিটার এলাকায় সারাক্ষণ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বিগত ২২ বছর ধরে পৌরসভার যাবতীয় বর্জ্য এখানে এনে ফেলা হচ্ছে। অথচ প্রতিবার নির্বাচনের আগে মেয়র প্রার্থীরা বিজয়ী হলে এখান থেকে বর্জ্য’র স্তূপ সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে আশ্বাস শুধুমাত্র আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থাকে। 


এ প্রসঙ্গে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক বলেন, পৌর এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদের সীতাকুণ্ড পৌরসভা পালন করে থাকে। আমাদের এখানে  যে ডাম্পিং স্টেশনটি রয়েছে বিভিন্ন সময়ে স্টেশনটির অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ পেয়ে থাকি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর কয়েকটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।'

রবিউল হাসান

×