
ছবিঃ সংগৃহীত
দেড় দশক পর আগামীকাল পাকিস্তানের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ। ফরেন অফিস কনসাল্টেশন বা পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের এই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশাবাদী সরকার।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে স্বাভাবিক যোগাযোগ স্থাপন জরুরি। তারা বলছেন, একাত্তরের সম্পদ ফিরে পাওয়া, গণহত্যার স্বীকৃতি ও বিচার, পাশাপাশি পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন গতি পাবে।
জাতিসংঘ সম্মেলনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মো: ইউনূস। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তাকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
আওয়ামী লীগের পতনের পর ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কে গতি আসে। আগস্টে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার। ২০১০ সালের পর এবারই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে বসছেন দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব।
ঢাকার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অমীমাংসিত সব বিষয়ই আলোচনায় তোলা হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, “বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে আমরা কূটনৈতিকভাবে যা সম্ভব, সেটাই করছি।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক আবারো আলোচনার দ্বার খুলছে, যেটি ইতিবাচক।
এ মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
স্বাধীনতার আগের বাংলাদেশের সম্পদ, আটকে থাকা পাকিস্তানিদের ফিরিয়ে আনা, গণহত্যার স্বীকৃতি ও দোষীদের বিচার এবং আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার মতো বহু বিষয় এখনো অমীমাংসিত।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বলেন, “পাকিস্তান একসময় আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার নীতিতে সম্মত হয়েছিল। এখন যদি তারা আবার সে দায় স্বীকার করে, তবে সম্পর্ক সহজ করতে একটি বড় বাধা দূর হবে।”
অন্যদিকে সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, “১৫ বছর ধরে যেখানে কোনো আলাপই হয়নি, সেখানে একেবারে শুরুতেই এসব বিষয় তুললে আলোচনা বেশি দূর এগোবে না। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে উপযুক্ত মুহূর্তের।”
মারিয়া