
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশো অনুষ্ঠানে সাবেক সচিব ও রাজনীতি বিশ্লেষক আবু আলম শহীদ খান ১৯৭৪ সালে পাস হওয়া বিশেষ ক্ষমতা আইনকে ‘জংলী আইন’ আখ্যা দিয়েছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বিগত আট মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের দেশ সংস্কারের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আট মাসে কোনো সংস্কার হয় নাই, কিন্তু এই আট মাসে অনেক কিছু করা সম্ভব ছিল। সেগুলো তো সরকার করেন নাই।’ সংস্কারে যাওয়ার জন্য আলাপ-আলোচনা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কখন সংস্কার হবে, আমার কাছে কোনো টাইমলাইন নাই, তবে দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।’
আবু আলম শহীদ খানের ভাষ্যে, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরে এতোদিনে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (সংশোধিত রূপে সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩) মতো নিবর্তনমূলক আইনকে বাতিল করতে পারতেন।
১৯৭৪ সালে পাস হওয়া স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্টকে (বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪) ‘জংলী আইন’ আখ্যা দিয়ে আবু আলম শহীদ খান বলেন, ‘শেখ মুজিবকে হত্যার বা তার সরকারের পতন ঘটানোর যদি ১০১টা কারণ থাকে, সেগুলোর মধ্যে এটা (বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪) একটা অন্যতম কারণ ছিল।’
উল্লেখ্য, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর ক্ষমতাবলে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য কাউকে আটক করে রাখা যেতে পারে। পতিত আওয়ামী লীগ প্রভাবিত বাংলাদেশ সংসদ ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই নিবর্তনমূলক আইনটি পাস করে।
অন্তর্বর্তী সরকার কেন এই নিবর্তনমূলক আইনটি বাতিল করে না প্রশ্ন তুলে আবু আলম শহীদ খান বলেন, ‘কোনো সরকার এই আইনটি বাতিল করেনি। এটি বাতিল করার জন্য কিন্তু সংস্কার করার কোনো দরকার নেই, কোনো কমিশনের বৈঠক দরকার নেই, দরকার জাস্ট একটা স্ট্রোক অফ।’
সূত্র: https://www.facebook.com/share/v/17pcG6XB7B/
রাকিব