
ছবিঃ সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, “বাংলাদেশ এখনো ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়নি। পুরো রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে যেভাবে ফ্যাসিবাদ গেঁথে গেছে, তা বিলোপ না করলে প্রকৃত মুক্তি সম্ভব নয়।”
একটি বেসরকারি টেলিভিশন এস এ টিভি’র আয়োজিত ‘লেট এডিশন’ শীর্ষক টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনার শুরুতে উপস্থাপক সামান্তা শারমিনকে প্রশ্ন করেন— “গণঅভ্যুত্থানের বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে যেভাবে ‘ঐক্যতান’ তৈরি হয়েছে, তাতে কি বাংলাদেশ ৫ আগস্টের ঘটনার আট মাস পর ফ্যাসিবাদের অবসানের পথে অগ্রসর হতে পেরেছে?”
প্রশ্নের জবাবে সামান্তা শারমিন বলেন, “ধন্যবাদ আপনাকে, এস এ টিভির সকল দর্শক, এবং আমার সহ-আলোচকদের। সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও সালাম। আজকের এই নববর্ষ, আমার মতে, একটি ঐতিহাসিক নববর্ষ। কারণ আমার স্মৃতিতে এর আগের কোনো নববর্ষে এমন আনন্দ অনুভব করিনি। বরং বিগত ১৫ বছর মানুষ শুধু আতঙ্ক, জুলুম আর নির্যাতনের মধ্য দিয়ে দিন পার করেছে। এমনও মানুষ ছিল, যারা রোজার সময় ইফতারের টেবিল থেকেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং পরে তারা নিখোঁজ কিংবা ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদ মুক্তির প্রশ্নে বলবো— বাংলাদেশ এখনও ফ্যাসিবাদ মুক্ত নয়। কারণ, ফ্যাসিবাদ এখানে কেবল রাজনৈতিক মতাদর্শ নয়, বরং এটি একটি কাঠামো— একটি স্টেট স্পন্সরড এবং স্টেট স্ট্রাকচারড সিস্টেম। এই কাঠামো ভেঙে না ফেলা পর্যন্ত ফ্যাসিবাদ মুক্তির দাবি করা যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা অবশ্যই একটি বড় বিজয় অর্জন করেছি। কারণ, এই ফ্যাসিবাদী কাঠামোর প্রধান ধারক ও বাহক ছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি ছিলেন ফ্যাসিবাদের প্রধান প্রতীক, মূল আইকন। তিনি একনায়কতন্ত্রকে এমনভাবে চর্চা করেছেন যে, আমরা বাধ্য হয়েছি তাঁকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলতে। এটি আমাদের জন্য গর্বের নয়, বরং দুঃখজনক বাস্তবতা।”
সামান্তা শারমিন আরও বলেন, “শেখ হাসিনার অধীনে রাষ্ট্রের মূল ভিত্তিগুলো— যেমন সংবিধান, প্রতিষ্ঠানসমূহ, বিচারব্যবস্থা— সবই ফ্যাসিবাদী রূপ পেয়েছিল। তিনি এই অবস্থাকে শুধু বজায় রাখেননি, বরং স্বাচ্ছন্দ্যে উপভোগ করেছেন। তাই এখনো পর্যন্ত সেই কাঠামো অক্ষত রয়েছে। আমাদের বারবার বলতে হচ্ছে— এই কাঠামোকে অবিলম্বে বিলোপ করতে হবে।”
সূত্রঃ https://www.facebook.com/watch/?v=573125498530266&rdid=3c67BRA533iseqew
ইমরান